বংশাবলি ১1 আদম, শেখ, ইনোশ, কৈনন, মহললেল, য়েরদ, হনোক, মথূশেলহ, লেমক, নোহ| 2 3 4 নোহর তিন পুত্র| তাদের নাম ছিল শেম, হাম এবং য়েফত্| 5 য়েফতের সাত পুত্রের নাম হল: গোমর, মাগোগ, মাদয়, যবন, তুবল, মেশক আর তীরস| 6 গোমরের পুত্রদের নাম: অস্কিনস, দীফত্ আর তোগর্ম| 7 যবনের পুত্ররা হল: ইলীশা, তর্শীশ, কিত্তীম ও রোদানীম| 8 হামের পুত্রদের নাম: কূশ, মিশর, পূট ও কনান| 9 কূশের পুত্রদের নাম: সবা, হবীলা, সপ্তা, রয়মা ও সপ্তকা| রয়মার পুত্রদের নাম: শিবা ও দদান| 10 কূশের এক উত্তরপুরুষের নাম ছিল নিম্রোদ| তিনি বড় হয়ে পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী ও সাহসী যোদ্ধা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন| 11 লূদ, অনাম, লহাব, নপ্তুহ, 12 পথ্রোষ, কস্লূহ, কপ্তোর- এদের সকলের পিতা ছিলেন মিশর| কস্লূহ ছিলেন পলেষ্টীয়দের পূর্বপুরুষ| 13 কনানের প্রথম পুত্র ছিল সীদোন| 14 কনান- যিবূষীয়, ইমোরীয়, গির্গাশীয, 15 হিব্বীয়, অর্কীয, সীনীয, অর্বদীয, 16 সমারীয আর হমাতীযদেরও পূর্বপুরুষ| 17 শেমের পুত্রদের নাম: এলম, অশূর, অর্ফক্ষদ, লূদ এবং অরাম| অরামের পুত্ররা হল: ঊষ, হূল, গেথর ও মেশেক| 18 অর্ফক্ষদ ছিলেন শেলহর পিতা এবং এবরের পিতামহ| দিক্ল 19 এবরের দুই পুত্রের এক জনের নাম ছিল পেলগ, কারণ তাঁর জন্মের পর থেকেই পৃথিবীর লোকরা বিভিন্ন ভাষাগোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে যায়| পেলগের ভাইযের নাম ছিল য়ক্তন| ( 20 যক্তন পুত্রদের নাম: অল্মোদদ, শেলফ, হত্সর্মাবত্, য়েরহ, 21 হদোরাম, ঊসল, দিক্ল, 22 এবল, অবীমায়েল, শিবা, 23 ওফীর, হবীলা ও য়োববের পিতা ছিল| ইহারা সকলে যক্তনের পুত্র|) 24 শেমের উত্তরপুরুষ হল অর্ফক্ষদ, শেলহ, 25 এবর, পেলগ, রিয়ূ, 26 সরূগ, নাহোর, তেরহ আর 27 অব্রাম (অব্রাম যাকে অব্রাহামও বলা হয়|) 28 অব্রাহামের দুই পুত্রের নাম ইসহাক ও ইশ্মায়েল| 29 এদের উত্তরপুরুষ নিম্নরূপ:ইশ্মায়েলের প্রথম ও বড় ছেলের নাম নবায়োত্| তাঁর অন্যান্য পুত্রদের নাম হল: কেদর, অদ্বেল, মিব্সম, 30 মিশ্ম, দূমা, মসা, হদদ, তেমা, 31 যিটূর, নাফীশ ও কেদমা| 32 অব্রাহামের উপপত্নী কটূরা- সিম্রণ, যক্ষণ, মদান, মিদিয়ন, যিশ্বক ও শূহ প্রমুখ পুত্রদের জন্ম দিয়েছিলেন|যক্ষণের পুত্রদের নাম: শিবা ও দদান| 33 মিদিয়নের পুত্রদের নাম: ঐফা, এফর, হনোক, অবীদ আর ইল্দায়া|এঁরা সকলেই ছিলেন কটূরার উত্তরপুরুষ| 34 অব্রাহামের এক পুত্রর নাম ইসহাক| ইসহাকের দুই পুত্র- এষৌ আর ইস্রায়েল| 35 এষৌর পুত্রদের নাম: ইলীফস, রূয়েল, যিয়ূশ, যালম আর কোরহ| 36 ইলীফসের পুত্রদের নাম: তৈমন, ওমার, সফী, গয়িতম আর কনস| ইলীফস আর তিথর অমালেক নামেও এক পুত্র ছিল| 37 রূয়েলের পুত্রদের নাম: নহত্, সেরহ, শম্ম আর মিসা| 38 সেয়ীরের পুত্রদের নাম: লোটন, শোবল, সিবিয়োন, অনা, দিশোন, এত্সর আর দীশন| 39 লোটনের পুত্রদের নাম: হোরি আর হোমম| লোটনের তিথা নামে এক বোনও ছিল| 40 শোবলের পুত্রদের নাম: অলিয়ন, মানহত্, এবল, শফী আর ওনম|সিবিয়োনের পুত্রদের নাম: অয়া আর অনা| 41 অনার পুত্র হল দিশোন|দিশোনের পুত্রদের নাম: হম্রণ, ইশ্বন, যিত্রণ আর করাণ| 42 এত্সরের পুত্রদের নাম: বিল্হন, সাবন আর যাকন|দিশনের পুত্রদের নাম: ঊষ আর অরাণ| 43 ইস্রায়েলে রাজতন্ত্র চালু হবার বহু আগে থেকেই ইদোমে রাজতন্ত্র প্রচলিত ছিল| নীচে ইদোমের রাজাদের পরিচয় দেওয়া হল:ইদোমের প্রথম রাজা ছিলেন বিয়োরের পুত্র বেলা| বেলার রাজধানীর নাম ছিল দিন্হাবা| 44 বেলার মৃত্যুর পর বস্রার সেরহের পুত্র য়োব্ব নতুন রাজা হলেন| 45 য়োববের মৃত্যুর পর রাজা হলেন তৈমন দেশের হূশম| 46 হূশম মারা গেলে তাঁর জায়গায় বদদের পুত্র হদদ নতুন রাজা হলেন| তাঁর রাজধানীর নাম ছিল অবীত্| তিনি মোয়াবীয়দের দেশে মিদিযনকে যুদ্ধে পরাজিত করেছিলেন| 47 হদদের মৃত্যুর পর মস্রেকার বাসিন্দা সম্ল তাঁর জায়গায় নতুন রাজা হলেন| 48 সম্ল মারা গেলে ফরাত্ নদীর তীরবর্তী রহোবোতের শৌল নতুন রাজা হলেন| 49 শৌল মারা গেলে রাজা হলেন অক্বোরের পুত্র বাল্-হানন| 50 বাল্-হাননের মৃত্যুর পর রাজা হলেন হদদ| তাঁর রাজধানীর নাম ছিল পায় আর তাঁর স্ত্রীর নাম মহেটবেল| মহেটবেল ছিলেন মট্রেদের কন্যা, মেষাহবের দৌহিত্রী| 51 তারপর হদদের মৃত্যু হল|তিম্ন অলিয়া, য়িথেত্, 52 অহলীবামা, এলা, পীনোন, 53কনস, তৈমন, মিব্সর, 54মগ্দীযেল, ঈরম প্রমুখ ব্যক্তিরা ছিলেন ইদোমের নেতা| 53 54
1 ইস্রায়েলের পুত্রদের নাম: রূবেণ, শিমিয়োন, লেবি, যিহূদা, ইষাখর, সবূলূন, 2 দান, য়োষেফ, বিন্যামীন, নপ্তালি, গাদ ও আশের| 3 যিহূদার পুত্রদের নাম: এর, ওনন এবং শেলা| এঁরা তিনজন কনানীয়া বত্-শূয়ার গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন| প্রভু যখন দেখলেন য়ে, যিহূদার প্রথম পুত্র, এর অসত্, তখন তিনি তাঁকে হত্যা করলেন| 4 যিহূদার পুত্রবধূ তামর ও যিহূদার মিলনের ফলে পেরস ও সেরহর জন্ম হয়| অর্থাত্ সব মিলিয়ে যিহূদার সন্তান সংখ্যা ছিল পাঁচ| 5 পেরসের পুত্রদের নাম: হিষ্রোণ আর হামূল| 6 সেরহের পাঁচ পুত্রের নাম: শিম্রি, এথন, হেমন, কল্কোল আর দারা| 7 শিম্রির পুত্রের নাম কর্মি| কর্মির পুত্রের নাম ছিল আখর| যুদ্ধে লাভ করা জিনিসপত্র ঈশ্বরকে না দিয়ে নিজের কাছে রেখে আখর ইস্রায়েলকে বহুতর সমস্যার মধ্যে ঠেলে দিয়েছিলেন| 8 এথনের পুত্রের নাম অসরিয়| 9 হিষ্রোণের পুত্রদের নাম: য়িরহমেল, রাম আর কালুবায়| 10 রাম ছিলেন যিহূদার লোকদের নেতা নহশোনের পিতামহ এবং অম্মীনাদবের পিতা| 11 নহশোনের পুত্রের নাম সল্মোন, সল্মোনের পুত্রের নাম বোয়স, 12 বোয়সের পুত্রের নাম ওবেদ, ওবেদের পুত্রের নাম যিশয়, যিশয়ের ছিল সাত পুত্র| 13 যিশয়ের বড় ছেলের নাম ইলীয়েব, দ্বিতীয় পুত্রের নাম অবীদানব, তৃতীয় পুত্রের নাম শম্ম, 14 চতুর্থ পুত্রের নাম নথনেল, পঞ্চম পুত্রের নাম রদ্দয়, 15 ষষ্ঠ পুত্রের নাম ওত্সম আর সপ্তম পুত্রের নাম ছিল দায়ূদ| 16 এদের দুই বোনের নাম সরূয়া ও অবীগল| সরূয়ার তিন পুত্র- অবীশয়, য়োয়াব ও অসাহেল| 17 অবীগলের পুত্রের নাম অমাসা আর তাঁর পিতা য়েথর ছিলেন ইশ্মায়েলের বাসিন্দা| 18 হিষ্রোণের পুত্রের নাম ছিল কালেব| কালেব আর তাঁর স্ত্রী, যিরিয়োতের কন্যা অসূবার মিলনের ফলে য়েশর, শোব্ব ও অর্দোন এই তিন পুত্রের জন্ম হয়| 19 অসূবার মৃত্যু হলে কালেব ইফ্রাথাকে বিয়ে করলেন| কালেব আর ইফ্রাথার পুত্রের নাম হূর| 20 হূরের পুত্রের নাম ঊরি আর পৌত্রের নাম বত্সলেল ছিল| 21 হিষ্রোণ 60 বছর বয়সে গিলিয়দের পিতা মাখীরের কন্যাকে বিয়ে করেন| তাঁর ও মাখীরের কন্যার মিলনে সগূবের জন্ম হয়| 22 সগূবের পুত্রের নাম ছিল যায়ীর| গিলিয়দ দেশে যায়ীরের 23টি শহর ছিল| 23 কিন্তু কনাত্ ও আশপাশের 60টি শহরতলী সহ যায়ীরের সমস্ত গ্রাম গেশূর এবং অরাম কেড়ে নিয়েছিল| ঐ 60 খানা ছোট শহরতলীর মালিক ছিলেন গিলিয়দের পিতা মাখীরের ছেলেপুলেরা| 24 ইফ্রাথার কালেব শহরে, হিষ্রোণের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী অবিয়া অস্হূর নামে এক পুত্রের জন্ম দিয়েছিলেন| অস্হূরের পুত্রের নাম ছিল তকোযা| 25 হিষ্রোণের বড় ছেলে যিরহমেলের পুত্রদের নাম ছিল: রাম, বূনা, ওরণ, ওত্সম আর অহিয়| রাম য়িরহমেলের বড় ছেলে| 26 অটারা নামে যিরহমেলের আরেকজন স্ত্রী ছিল| তাঁর পুত্রের নাম ওনম| 27 যিরহমেলের বড় ছেলে রামের পুত্রদের নাম ছিল: মাষ, যামীন আর একর| 28 ওনমের শম্ময় ও যাদা নামে দুই পুত্র ছিল| শম্ময়ের দুই পুত্রের নাম ছিল নাদব ও অবীশূর| 29 অবীশূর আর তাঁর স্ত্রী অবীহযিলের অহবান আর মোলীদ নামে দুই পুত্র ছিল| 30 নাদবের পুত্রদের নাম: সেলদ ও অপপযিম| সেলদ অপুত্রক অবস্থায় মারা যান| 31 অপপযিমের পুত্রের নাম য়িশী| য়িশী ছিলেন শেশনের পিতা আর অহলয়ের পিতামহ| 32 শম্ময়ের ভাই, যাদার পুত্রদের নাম য়েথর ও য়োনাথন| য়েথর অপুত্রক অবস্থাতেই মারা গিয়েছিলেন| 33 য়োনাথনের দুই পুত্রের নাম পেলত্ ও সাসা| এই হল যিরহমেলের সন্তান-সন্ততিদের তালিকা| 34 শেশনের কোন পুত্র ছিল না| তবে তাঁর এক কন্যা ছিল, যাকে তিনি মিশর থেকে আনা যার্হা নামে 35 এক ভৃত্যের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন| এই যার্হা আর তাঁর কন্যার অত্তয় নামে এক পুত্র ছিল| 36 অত্তয়ের পুত্রের নাম নাথন, নাথনের পুত্রের নাম সাবদ, 37 সাবদ ছিল ইফ্ললের পিতা| ইফ্লল ছিল ওবেদের পিতা| 38 ওবেদের পুত্রের নাম য়েহূ, য়েহূর পুত্রের নাম অসরিয়, 39 অসরিয়র পুত্রের নাম হেলস, হেলসের পুত্রের নাম ইলীয়াসা, 40 ইলীয়াসার পুত্রের নাম সিস্ময়, সিস্ময়ের পুত্রের নাম শল্লুম, 41 শল্লুমের পুত্রের নাম যিকমিয়, আর যিকমিয়র পুত্রের নাম ছিল ইলীশামা| 42 য়িরহমেলের ভাই কালেবের পুত্রদের নাম ছিল মেশা ও মারেশা| মেশার পুত্রের নাম সীফ আর মারেশার পুত্রের নাম হিব্রোণ| 43 হিব্রোণের পুত্রদের নাম ছিল: কোরহ, তপূহ, রেকম ও শেমা| 44 শেমার পুত্রের নাম রহম| রহমের পুত্রের নাম ছিল য়র্কিযম| রেকমের পুত্রের নাম ছিল শম্ময়| 45 শম্ময়ের পুত্রের নাম মায়োন আর মায়োনের পুত্র ছিল বৈত্-সুর| 46 কালেবের দাসী ও উপপত্নী ঐফার পুত্রদের নাম ছিল: হারণ, মোত্সা ও গাসেস| হারণের পুত্রের নামও গাসেস| 47 য়েহদয়ের পুত্রদের নাম- রেগম, য়োথম, গেসন, পেলট, ঐফা ও শাফ| 48 কালেবের আরেক দাসী ও উপপত্নী মাখার পুত্রদের নাম ছিল শেবর আর তির্হন: 49 এছাড়াও মাখার শাফ ও শিবা নামে দুই পুত্র ছিল| শাফের পুত্রের নাম মদ্মন্না আর শিবার পুত্রদের নাম ছিল মক্বেনার ও গিবিয়া| কালেবের কন্যার নাম ছিল অক্ষা| 50 “কালেবের উত্তরপুরুষ নিম্নরূপ: হূর ছিলেন কালেবের বড় ছেলে| তাঁর মা ছিলেন ইফ্রাথা| হূরের পুত্রদের নাম শোবল, শল্মা ও হারেফ| এঁরা তিন জন যথাএমে কিরিযত্-যিয়ারীম, বৈত্লেহম আর বৈত্-গাদ শহরের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন| 51 52 কিরিযত্ যিয়ারীমের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শোবল| শোবলের উত্তরপুরুষরা ছিল হারোয়া, মনূহোতের অর্ধেক লোকরা| 53 কিরিযত্-যিয়ারীমের পরিবারগোষ্ঠী হল যিত্রীয়, পূথীয়, শূমাথীয় ও মিশ্রাযীযরা| আবার সরাথীয ও ইষ্টায়োলীযরা মিশ্রাযীযদের থেকে উদ্ভ্ূত হয়| 54 বৈত্লেহম, নটোফা, অট্রোত্-বেত্-য়োয়াব, মনহতের অর্ধেক লোকরা, সরাযীযরা 55 এবং যাবেশে য়ে সব লেখকদের পরিবারগুলি বাস করত তারা হল: তিরিযাথ, শিমিযথ আর সূখাথ| তারা সকলেই কীনীয গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত এবং বেত্-রেখবের প্রতিষ্ঠাতা হম্মতের বংশধর ছিলেন|
1 দায়ূদের কয়েকটি পুত্রের জন্ম হয়েছিল হিব্রোণ শহরে| তাঁর পুত্রদের তালিকা নিম্নরূপ:দায়ূদের প্রথম পুত্রের নাম অথোন| তাঁর মা ছিলেন য়িষ্রিযেলের অহীনোযম|দায়ূদের দ্বিতীয় পুত্র দানিয়েলের মা ছিলেন যিহূদার কর্মিলের অবীগল| 2 দায়ূদের তৃতীয় পুত্র অবশালোমের মা গশূররাজ তল্মযের কন্যা মাখা|চতুর্থ পুত্র আদোনিয়র মায়ের নাম ছিল হগীত| 3 পঞ্চম পুত্র, শফটিয়র মায়ের নাম ছিল অবীটল|ষষ্ঠ পুত্র যিত্রিয়মের মায়ের নাম ছিল ইগ্ল্লা, দায়ূদের স্ত্রী| 4 হিব্রোনে তাঁর এই ছয় পুত্রের জন্ম হয়| মহারাজ দায়ূদ হিব্রোণে সাত বছর ছয় মাস রাজত্ব করেছিলেন| আর তিনি জেরুশালেমে মোট 33 বছর রাজত্ব করেন| 5 জেরুশালেমে তাঁর য়ে সমস্ত পুত্র জন্মগ্রহণ করে তারা হল:অম্মীয়েলের কন্যা বত্সেবার গর্ভে শিমিয়, শোব্ব, নাথন এবং শলোমন প্রমুখ চার পুত্র| 6 এছাড়া য়িভর, ইলীশূয়া, ইলীফেলট, নোগহ, নেফগ, যাফিয়, ইলীশামা, ইলীয়াদা ও ইলীফেলট নামে দায়ূদের আরো নয় পুত্র ছিল| 7 8 9 উপপত্নীদের সঙ্গে মিলনের ফলেও দায়ূদের বেশ কয়েকটি সন্তান হয়| আর তামর নামে তাঁর একটা কন্যাও ছিল| 10 শলোমনের পুত্রের নাম রহবিয়াম, রহবিয়ামের পুত্রের নাম অবিয়, অবিয়র পুত্রের নাম আসা, আসার পুত্রের নাম য়িহোশাফট, 11 যিহোশাফটের পুত্রের নাম ছিল য়োরাম, য়োরামের পুত্রের নাম অহসিয়, অহসিয়র পুত্রের নাম য়োয়াশ, 12 যোয়াশের পুত্রের নাম অমত্সিয়, অমত্সিয়র পুত্রের নাম অসরিয়, অসরিয়র পুত্রের নাম য়োথম, 13 য়োথমের পুত্রের নাম আহস, আহসের পুত্রের নাম হিষ্কিয়, হিষ্কিয়র পুত্রের নাম মনঃশি, 14 মনঃশির পুত্রের নাম আমোন আর আমোনের পুত্রের নাম য়োশিয়| 15 5য়োশিয়র বংশধরদের তালিকা নিম্নরূপ: তাঁর প্রথম পুত্রের নাম য়োহানন, দ্বিতীয় পুত্রের নাম য়িহোযাকীম, তৃতীয় পুত্রের নাম সিদিকিয, চতুর্থ পুত্রের নাম শল্লুম| 16 য়িহোযাকীমের পুত্রদের নাম ছিল য়িকনিয আর সিদিকিয| 17 য়িকনিয বাবিলে বন্দী হবার পর তাঁর পুত্রদের তালিকা নিম্নরূপ: শল্টীযেল, 18 মল্কীরাম, পদায, শিনত্সর, য়িকমিয, হোশামা ও নদবিয| 19 পদাযের পুত্রদের নাম সরুব্বাবিল আর শিমিযি| মশুল্লম আর হনানিয হল সরুব্বাবিলের দুই পুত্র; তাঁদের শলোমীত্ নামে এক বোনও ছিল| 20 হশুবা, ওহেল, বেরিখিয়, হসদিয, যুশব-হেষদ নামে সরুব্বাবিলের আরো পাঁচজন পুত্র ছিল| 21 হনানিযর পুত্রের নাম পলটিয| পলটিযর পুত্রের নাম য়িশাযাহ| য়িশাযাহর পুত্রের নাম রফায, রফাযের পুত্রের নাম অর্ণন, অর্ণনের পুত্রের নাম ওবদিয আর ওবদিযর পুত্রের নাম শখনিয| 22 শখনিযর পুত্র শময়িয়; এবং শময়িয়ের পুত্র হটূশ, য়িগাল, বারীহ, নিযরিয আর শাফট মোট ছয় জন| 23 ইলীযৈনয়, হিষ্কিয় আর অস্রীকাম নামে নিযরিযর তিনটি পুত্র ছিল| 24 আর ইলীযৈনযের হোদবিয, ইলীয়াশীব, পলাযঃ অক্কুব, য়োহানন, দলায আর অনানি নামে সাত পুত্র ছিল|
1 যিহূদার পাঁচ পুত্রের নাম পেরস, হিষ্রোণ, কর্মী, হূর আর শোবল| 2 শোবলের পুত্রের নাম রাযা, রাযার পুত্রের নাম য়হত্ আর য়হতের দুই পুত্রের নাম ছিল অহূময ও লহদ| সরাথীযরা অহূময ও লহদের উত্তরপুরুষ ছিল| 3 ঐটমের পুত্রদের নাম: য়িষ্রিযেল, য়িশ্ামা ও য়িদ্বশ| এদের বোনের নাম ছিল হত্সলিল-পোনী| 4 পনূযেলের পুত্রের নাম ছিল গাদোর| এসর ছিল হূশের পিতা|এরা ছিল হূরের পুত্র| হূর ছিল ইফ্রাথার প্রথম পুত্র| ইফ্রাথা ছিলেন বৈত্লেহমের প্রতিষ্ঠাতা| 5 তকোযের পিতা অস্হূরের হিলা ও নারা নামে দুই স্ত্রী ছিল| 6 নারা ও অস্হূরের পুত্রদের নাম: অহুষম, হেফর, তৈমিনি ও অহষ্টরি| 7 হিলা আর অস্হূরের পুত্রদের নাম: সেরত্, য়িত্সোহর, ইত্নন আর কোস| 8 কোসের দুই পুত্রের নাম ছিল আনূব আর সোব্বো| কোস হারুমের পুত্র অহর্হলের পরিবারের পূর্বপুরুষ ছিলেন| 9 যাবেশের জন্ম তার অন্যান্য ভাইদের জন্মের থেকে বেশী বেদনাদাযক ছিল| যাবেশের মা বলেছিলেন, “ও হবার সময় আমায় খুব কষ্ট পেতে হয়েছিল বলে আমি ওর এই নাম রেখেছি!” 10 যাবেশ ইস্রায়েলের ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে বলেন, “আমি আপনার প্রকৃত আশীর্বাদ প্রার্থনা করি| আমি চাই আপনি আমাকে আরো জমি-জমা দিন| সব সময় আমার কাছাকাছি থেকে যারা আমাকে আঘাত করতে চায় তাদের থেকে আমায় রক্ষা করুন, তাহলে আর আমায় কোন কষ্ট ভোগ করতে হবে না|” ঈশ্বর তাঁর এসমস্ত মনোবাসনা পূর্ণ করেছিলেন| 11 শূহের ভাই কলূবের পুত্রের নাম ছিল মহীর| মহীরের পুত্রের নাম ইষ্টোন, 12 ইষ্টোনের পুত্রদের নাম বৈত্রাফা, পাসেহ ও তহিন্ন| তহিন্নর পুত্রের নাম ঈরনাহস| এঁরা সকলেই রেকার বাসিন্দা ছিলেন| 13 কনসের দুই পুত্রের নাম: অত্নীয়েল আর সরায| অত্নীয়েলের দুই পুত্রের নাম: হথত্ আর মিযোনোথয| 14 মিযোনোথযের পুত্রের নাম ছিল অফ্রা|সরায়ের পুত্রের নাম ছিল য়োয়াব| এই য়োয়াব ছিলেন কুশলী শিল্পী গে হারাসিমদের পূর্বপুরুষ| 15 য়িফুন্নির পুত্র ছিল কালেব| কালেবের পুত্রদের নাম: ঈরূ, এলা ও নয়ম| এলার পুত্রের নাম ছিল কনস| 16 য়িহলিলেলের পুত্রদের নাম: সীফ, সীফা, তীরিয আর অসারেল| 17 ইষ্রার পুত্রদের নাম: য়েথর, মেরদ, এফর আর যালোন| মেরদের এক পক্ষের স্ত্রীর গর্ভে জন্মায় মরিযম, শম্ময ও য়িশ্বহ| য়িশ্বহ ছিল ইষ্টিমোযর পিতা| মেরদের মিশরীয স্ত্রী ফরৌণের কন্যা বিথিযার গর্ভে য়েরদ গদোরের পিতা, হেবর সোখোর পিতা, আর য়িকুথীযেল সানোহর পিতা জন্মগ্রহণ করেন| এই তিন জনের পুত্রদের নাম ছিল যথাএমে গদোর, সোখোর ও সানোহ| 18 19 মেরদের স্ত্রী ছিলেন যিহূদার বাসিন্দা এবং নহমের বোন| তাঁর পৌত্রদের নাম কিযীলা আর ইষ্টিমোয| কিযীলা আর ইষ্টিমোয যথাএমে র্গম্মীয ও মাখাথীযদের পূর্বপুরুষ| 20 শীমোনের পুত্রদের নাম ছিল অথোন, রিণ্ন, বিন্-হানন আর তীলোন|য়িশীর দুই পুত্রের নাম সোহেত্ আর বিন্-সোহেত্| 21 শেলা ছিলেন যিহূদার সন্তান| তাঁর পুত্রদের নাম এর, লাদা আর য়োকীম| কোষেবার লোকরাও তাঁরই বংশধর| এছাড়াও য়োযাশ আর সারফ নামে তাঁর দুই পুত্র মোয়াবীয় মেযেদের বিয়ে করে বৈত্লেহমে চলে গিয়েছিলেন| এরের পুত্রের নাম ছিল লেকার| লাদা ছিলেন মারেশার পিতা এবং বৈত্ অসবেযের তাঁতিদের পরিবারগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা| এই পরিবার সম্পর্কে যা কিছু তথ্য় পাওয়া গিয়েছে তা খুবই প্রাচীন| 22 23 শেলার বংশধররা মাটির জিনিষপত্র বানাতেন| এঁরা নতাযীম ও গদেরায বাস করতেন ও সেখানকার রাজাদের জন্য কাজ করতেন| 24 শিমিযোনের পুত্রদের নাম নমূযেল, যামীন, যারীব, সেরহ আর শৌল| 25 শৌলের পুত্রের নাম শল্লুম, শল্লুমের পুত্রের নাম মিব্সম আর মিব্সমের পুত্রের নাম ছিল মিশ্ম| 26 মিশ্মের পুত্রের নাম হম্মুযেল, হম্মুযেলের পুত্রের নাম শক্কূর আর শক্কূরের পুত্রের নাম ছিল শিমযি| 27 শিমযির ষোল জন পুত্র আর ছয় কন্যা ছিল| কিন্তু শিমযির ভাইদের খুব বেশি পুত্রকন্যা ছিল না| যিহূদার অন্যদের তুলনায় তাদের পরিবারগোষ্ঠী য়থেষ্ট ছোট ছিল| 28 শিমযির উত্তরপুরুষরা বের্-শেবা, হত্সর-শূযাল, মোলাদা শহরতলীসমূহে বাস করত| 29 বিল্হা, এত্সম, তোলদ, 30 বথূযেল, র্হম্মা, সিক্লগ, 31 বৈত্-মর্কাবোত্, হত্সর-সূষীম, বৈত্-বিরী, শারযিম প্রমুখ শহরগুলোয দায়ূদের রাজত্ব কালের আগে পর্য়ন্ত বাস করতেন| 32 এই সব শহরগুলোর কাছে য়ে পাঁচটি গ্রাম ছিল, সেগুলি হল: ঐটম, ঐন, রিম্মোণ, তোখেন ও আশন| 33 বালত্ পর্য়ন্ত আরো অনেক গ্রাম ছিল যেখানে শিমযির বংশধররা থাকতেন| তাঁরা তাঁদের পারিবারিক ইতিহাসও লিখে গিয়েছেন| 34 মশোব্ব, য়ম্লেক, অমত্সিযের পুত্র য়োশঃ, য়োয়েল, য়োশিবিযর পুত্র য়েহূ, সরায়ের পুত্র য়োশিবিয, অসীযেলের পুত্র সরায, ইলিযৈনয়, যাকোবা, য়িশোহায, অসায, অদীযেল, য়িশীমীযেল, বনায়, অলোনের পৌত্র ও শিফির পুত্র সীষঃ প্রমুখ ছিলেন এই সব পরিবারগোষ্ঠীর প্রধান ও নেতা| আলোন ছিলেন য়িদযিযর পুত্র এবং শিম্রির নাতি| আবার শিম্রি ছিলেন শময়িয়ের পুত্র|এই লোকদের পরিবার অতিশয় বৃদ্ধি পেল| 35 36 37 38 39 তারা তাদের মেষ ও গবাদি পশুর জন্য চারণভূমির খোঁজে উপত্যকার পূর্বদিকে গদোরের বহিরাঞ্চলে চলে গেল| 40 এভাবে খুঁজতে খুঁজতে তারা উর্বর সবুজ ও শান্তিপূর্ণ জমি খুঁজে পেলো| হামের উত্তরপুরুষরা অতীতে সেখানে বসবাস করতেন| 41 রাজা হিষ্কিয়র যিহূদায় রাজত্ব কালে এই ঘটনা ঘটেছিল| এই সমস্ত লোক গদোরে এসেছিল, হামীযদের তাঁবুগুলি ধ্বংস করেছিল, তারা মিযূনীযদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাদের ধ্বংস করেছিল| আজ অবধি তাদের একজনও বেঁচে নেই| অতঃপর তারা সেখানে থাকতে শুরু করল কারণ ওখানকার জমিতে তাদের মেষের খাবার মত প্রচুর পরিমাণে ঘাস ছিল| 42 শিমিযোনের পরিবারগোষ্ঠীর পাঁচশো লোক সেযীর পার্বত্য অঞ্চলে বসবাস করতে গিয়েছিলেন| পলটিয, নিযরিয, রফাযিয ও উষীযেল প্রমুখ য়িশীর পুত্ররা এই দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন| শিমিযোনের বংশধররাও এখানকার বাসিন্দা অমালেকীযদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিল এবং 43 যারা বেঁচ্ছেিল সেই সমস্ত অমালেকীযদের তারা মেরে ফেলেছিল| তারপর থেকে আজ অবধি সেই শিমিযোনীযরা সেযীরেই বাস করছেন|
1 রূবেণ ছিলেন ইস্রায়েলের প্রথম সন্তান| তাই, প্রথামত তাঁরই বড় ছেলের বিশেষ সম্মান ও সুবিধে পাবার কথা| কিন্তু য়েহেতু রূবেণ তাঁর পিতার স্ত্রীর সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন সেই কারণে বড় ছেলের অধিকার য়োষেফের পুত্ররা পেয়েছিলেন| পারিবারিক ইতিহাসেও, রূবেণের নাম বড় ছেলের হিসেবে নথিভুক্ত করা নেই| যিহূদা য়েহেতু তাঁর ভাইদের থেকে বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছিলেন, সেহেতু তাঁর পরিবার থেকেই নেতা স্থির করা হত| তা সত্ত্বেও, বড় ছেলের বিশেষ অধিকার ও অন্যান্য ক্ষমতা য়োষেফের বংশের লোকরাই ভোগ করতেন| রূবেণের পুত্ররা ছিল হনোক, পল্লু, হিষ্রোণ ও কর্মী| 2 3 4 য়োয়েলের উত্তরপুরুষদের তালিকা নিম্নরূপ: য়োয়েলের পুত্রের নাম শিমযিয, শিমযিযর পুত্রের নাম গোগ, গোগের পুত্রের নাম শিমিযি, 5 শিমিযির পুত্রের নাম মীখা, মীখার পুত্রের নাম রাযা, রাযার পুত্রের নাম বাল, 6 বালের পুত্রের নাম ছিল বেরা| অশূররাজ তিগ্লত্-পিলেষর রূবেণ পরিবারগোষ্ঠীর এই নেতাকে তার জায়গা ছাড়তে বাধ্য করেন এবং তাঁকে নির্বাসন দেন| 7 য়োয়েলের ভাইদের ও তাঁর পরিবারের পরিচয় তাঁর পরিবারগোষ্ঠীর ইতিহাস অনুযায়ীছিল নিম্নরূপ: এই বংশের বড় ছেলে ছিলেন যিয়ীয়েল, তারপর সখরিয় আর 8 আসসের পুত্র বেলা| আসস ছিলেন শেমার পুত্র| শেমা ছিলেন য়োয়েলের পুত্র| এঁরা অরোযের থেকে নবো এবং বাল্-মিযোন পর্য়ন্ত অঞ্চলে বাস করতেন| 9 পূর্বদিকে ফরাত্ নদীর কাছে মরুভূমি পর্য়ন্ত অঞ্চলে এঁদের বসবাস ছিল| বসবাসের জন্য তাঁরা এই অঞ্চল বেছে নিয়েছিলেন কারণ তাঁদের গিলিয়দে অনেক গবাদি পশু ছিল| 10 শৌলের রাজত্ব কালে, বেলার লোকরা হাগরীযদের সঙ্গে যুদ্ধ করে, তাঁদের হারিয়ে তাঁদের তাঁবুতে বসবাস করতে শুরু করেন এবং গিলিয়দের পূর্বপ্রান্ত পর্য়ন্ত অঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করেন| 11 গাদের পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা রূবেণ পরিবারগোষ্ঠীর লোকদের কাছেই বাশন অঞ্চলের শহর সলখা পর্য়ন্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে বাস করতেন| 12 বাশনের প্রথম নেতা ছিলেন য়োয়েল| তারপরে যথাএমে শাফম ও যানয় নেতা হন| 13 মীখায়েল, মশুল্লম, শেবা, য়োরায, যাকন, সীয আর এবর হলেন এই পরিবারের সাত ভাই| 14 এঁরা সকলেই হূরির পুত্র অবীহযিলের উত্তরপুরুষ| আবার হূরি ছিলেন যারোহর পুত্র, যারোহ গিলিয়দের পুত্র, গিলিয়দ মীখায়েলের পুত্র, মীখায়েল য়িশীশযের পুত্র, য়িশীশয় য়হদোর পুত্র আর য়হদো ছিলেন বূষের পুত্র| 15 অন্য এক পরিবারের নেতা অহির পিতার নাম অব্দিয়েল| তিনি ছিলেন গূনির পুত্র| 16 গাদ পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা গিলিয়দ অঞ্চলে বসবাস করত| এঁরা বাশন ও বাশনের পার্শ্ববর্তী ছোট খাটো শহর থেকে সীমান্তে শারোণ পর্য়ন্ত সমস্ত সমভূমিতে বসতি স্থাপন করেছিলেন| 17 এই সমস্ত নামগুলি গাদের পারিবারিক ইতিহাসে লিপিবদ্ধ করা হয় এবং এগুলি যিহূদার রাজা য়োথম ও ইস্রায়েলের রাজা যারবিযামের সময়ে নথিভুক্ত করা হয়| 18 রূবেণ, গাদ ও অর্ধেক মনঃশি পরিবারগোষ্ঠী থেকে 44,760 জন সাহসী লোক ছিল| ঢাল-তরোযাল ছাড়াও তীর-ধনুক নিয়ে যুদ্ধ করাতেও তারা ছিল পারদর্শী| 19 এরা হাগরীয, য়িটূর, নাফীশ ও নোদবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে| 20 মনঃশি, রূবেণ ও গাদ পরিবারগোষ্ঠীর লোকরা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাছে যুদ্ধে তাদের সাহায্য করার জন্য প্রার্থনা করেন| ঈশ্বর তাদের সাহায্য করেন কারণ তারা তাঁকে বিশ্বাস করেছিল এবং তারা হাগরীযদের ও অন্যান্য সকলকে যুদ্ধে পরাস্ত করে| 21 তাদের 50,000 উট, 2,50,000 মেষ এবং 2,000 গাধা নিয়ে নেওয়া ছাড়াও তারা 1,00,000 ব্যক্তিকে বন্দী করেছিলেন| 22 ঈশ্বর বয়ং রূবেণের বংশের লোকদের সহায় হওয়ায বহু হাগরীয যুদ্ধে নিহত হন এবং অতঃপর মনঃশি, রূবেণ ও গাদ পরিবারের লোকেরা হাগরীযদের বাসভূমিতে থাকতে শুরু করেন| ইস্রায়েলের লোকরা বন্দী হওয়ার আগে পর্য়ন্ত তাঁরা ওখানেই বাস করেছেন| 23 মনঃশির পরিবারগোষ্ঠীর অর্ধেক লোক বাল্-হর্ম্মোণ, সনীর ও হর্ম্মোণ পর্বত পর্য়ন্ত বাশন অঞ্চলে বসবাস করতেন| এমশঃ তাঁরা একটি বড় গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছিলেন| 24 এফর, য়িশী, ইলীযেল, অস্রীযেল, য়িরমিয, হোদবিয, য়হদীযেল প্রমুখ বিখ্যাত সাহসী বীররা ছিলেন এঁদের নেতা| 25 কিন্তু এঁরা তাঁদের পূর্বপুরুষের আরাধ্য ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপাচরণ করে এই অঞ্চলের প্রাক-বাসিন্দাদের ভ্রান্ত দেবদেবীর আরাধনা শুরু করলেন| এ কারণেই ঈশ্বর কিন্তু প্রাক-বাসিন্দাদের ধ্বংস করেছিলেন| 26 ফলতঃ, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, অশূররাজ পূল যিনি তিগ্লত্-পিলেষর নামেও পরিচিত ছিলেন, যুদ্ধ করবার উস্কানি দিলেন এবং তিনি রূবেণ, গাদ ও অর্ধেক মনঃশির পরিবারগোষ্ঠীর সঙ্গে যুদ্ধ করে তাদের বন্দী করে নির্বাসনে নিয়ে গেলেন| এই সমস্ত বন্দীদের পূল হেলহ, হাবোর ও হারা এবং গোষণ নদীর কাছে নিয়ে এলেন| সে দিন থেকে আজ পর্য়ন্ত তারা সেখানেই বসবাস করে আসছেন|
1 লেবির পুত্রদের নাম ছিল: গের্শোন, কহাত্ আর মরারি| 2 কহাতের পুত্রদের নাম ছিল: অম্রাম, য়িষ্হর, হিব্রোণ আর উষীযেল| 3 অম্রামের সন্তানদের নাম ছিল: হারোণ, মোশি আর মরিযম|হারোণের পুত্ররা ছিল নাদব, অবীহূ, ইলিয়াসর এবং ঈথামর| 4 ইলিয়াসরের পুত্রের নাম পীনহস, পীনহসের পুত্রের নাম অবিশূয, 5 অবিশূযর পুত্রের নাম বুক্কি, বুক্কির পুত্রের নাম উষি, 6 উষির পুত্রের নাম সরহিয, সরহিযর পুত্রের নাম মরাযোত্, 7 মরাযোতের পুত্র অমরিয, অমরিযর পুত্রের নাম অহীটূব, 8 অহীটূবের পুত্রের নাম সাদোক, সাদোকের পুত্রের নাম অহীমাস, 9 অহীমাসের পুত্রের নাম অসরিয়, অসরিয়র পুত্রের নাম য়োহানন, 10 য়োহাননের পুত্রের নাম অসরিয়| এই অসরিয় শলোমনের জেরুশালেমে বানানো মন্দিরের যাজক ছিলেন| 11 অসরিয়র পুত্রের নাম অমরিয, অমরিযর পুত্রের নাম অহীটূব, 12 অহীটূবের পুত্রের নাম সাদোক, সাদোকের পুত্রের নাম শল্লুম, 13 শল্লুমের পুত্রের নাম হিল্কিয়, হিল্কিয়র পুত্রের নাম অসরিয়, 14 অসরিয়র পুত্রের নাম সরায আর সরায়ের পুত্রের নাম ছিল যিহোষাদক| 15 প্রভু যখন যিহূদা আর জেরুশালেমের প্রতি রুদ্ধ হয়েছিলেন, যিহোষাদকও তখন বাসভূমি ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন| প্রভু নবূখদ্নিত্সরকে দিয়ে এই সময় যিহূদা আর জেরুশালেমের সমস্ত লোকদের বন্দী করিযে ভিন্দেশে পাঠিয়ে ছিলেন| 16 লেবির পুত্ররা ছিল: গের্শোন, কহাত্ আর মরারি| 17 গের্শোনের পুত্রদের নাম ছিল লিব্নি আর শিমিযি| 18 কহাতের পুত্রদের নাম ছিল অম্রাম, য়িষ্হর, হিব্রোণ আর উষীযেল| 19 মরারির দুই পুত্রের নাম মহলি আর মূশি|পিতৃপুরুষদের নামানুসারে লেবীয় পরিবারের তালিকা নিম্নরূপ: 20 গের্শোনের উত্তরপুরুষ: গের্শোমের পুত্র ছিল লিব্নি, লিব্নির পুত্র য়হত্, য়হতের পুত্র সিম্ম, 21 সিম্মর পুত্র য়োযাহ, য়োযাহের পুত্র ইদ্দো, ইদ্দোর পুত্র সেরহ আর সেরহর পুত্র ছিল য়িযত্রয| 22 কহাতের উত্তরপুরুষ: কহাতের পুত্র ছিল অম্মীনাদব, অম্মীনাদবের পুত্র কোরহ, কোরহের পুত্র অসীর, 23 অসীরের পুত্র ইল্কানা, ইল্কানার পুত্র ইবীযাসফ, ইবীযাসফের পুত্র অসীর, 24 অসীরের পুত্র তহত্, তহতের পুত্র ঊরীযেল, ঊরীযেলের পুত্র ঊষিয আর ঊষিযর পুত্র শৌল| 25 ইল্কানার পুত্রের নাম ছিল অমাসয় আর অহীমোত্| 26 ইল্কানার আরেক পুত্রের নাম ছিল সোফী, তার পুত্রের নাম নহত্, 27 নহতের পুত্রের নাম ইলীয়াব, ইলীয়াবের পুত্রের নাম য়িরোহম, য়িরোহমের পুত্রের নাম ইল্কানা আর ইল্কানার পুত্রের নাম ছিল শমূযেল| 28 শমূযেলের দুই পুত্রের নাম য়োয়েল আর অবিয| য়োয়েল ছিল শমূযেলের বড় ছেলে| 29 মরারির বংশধর: মরারির পুত্রের নাম মহলি, মহলির পুত্রের নাম লিব্নি, লিব্নির পুত্রের নাম শিমিযি, শিমিযির পুত্রের নাম উষঃ, 30 উষেঃর পুত্রের নাম শিমিয, শিমিযর পুত্রের নাম হগিয আর হগিযর পুত্রের নাম ছিল অসায| 31 সাক্ষ্যসিন্দুক রাখার সিন্দুকটি প্রভুর গৃহতে রাখার পর মহারাজ দায়ূদ নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের সেখানকার ভজন ও কীর্তনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন| 32 শলোমন প্রভুর জন্য জেরুশালেমে মন্দির বানানোর আগে পর্য়ন্ত এই সমস্ত গায়করা এই পবিত্র তাঁবু বা সমাগম তাঁবুতে তাঁদের কর্মসূচী অনুযায়ীগান-বাজনা আরাধনা করতেন| 33 এঁরা হলেন কহাতের পরিবারের:য়োয়েলের পুত্র গায়ক হেমন, য়োয়েলের পিতা শমূযেল, 34 শমূযেলের পিতা ইল্কানা, ইল্কানার পিতা য়িরোহম, য়িরোহমের পিতা ইলীযেল, ইলীযেলের পিতা তোহ, 35 তোহর পিতা সূফ, সূফের পিতা ইল্কানা, ইল্কানার পিতা মাহত, মাহতের পিতা অমাসয়, 36 অমাসযের পিতা ইল্কানা, ইল্কানার পিতা য়োয়েল, য়োয়েলের পিতা অসরিয়, অসরিয়র পিতা সফনিয়, 37 সফনিয়র পিতা তহত, তহতের পিতা অসীর, অসীরের পিতা ইবীযাসফ, ইবীযাসফের পিতা কোরহ, 38 কোরহর পিতা য়িষ্হর, য়িষ্হরের পিতা কহাত্, কহাতের পিতা লেবি আর লেবির পিতা ছিলেন ইস্রায়েল| 39 আসফ ছিলেন হেমনের আত্মীয় এবং তিনি হেমনের ডানদিকে দাঁড়িয়ে কাজ করতেন| আসফের পিতা ছিলেন বেরিখিয়, বেরিখিয়র পিতা শিমিয, 40 শিমিযর পিতা মীখায়েল, মীখায়েলের পিতা বাসেয, বাসেযর পিতা মল্কিয়, 41 মল্কিয়র পিতা ইত্নির, ইত্নিরের পিতা সেরহ, সেরহের পিতা অদাযা, 42 অদাযার পিতা এথন, এথনের পিতা সিম্ম, সিম্মর পিতা শিমিযি, 43 শিমিযির পিতা য়হত, য়হতের পিতা গের্শোন আর গের্শোন ছিলেন লেবির পুত্র| 44 মরারির উত্তরপুরুষরা হেমন আর আসফের আত্মীয় ছিলেন এবং তাঁরা হেমনের বাঁদিকে দাঁড়িয়ে গান করতেন| এথন ছিলেন কীশির পুত্র, কীশি অব্দির পুত্র, অব্দি মল্লূকের পুত্র, 45 মল্লূক হশবিযর পুত্র, হশবিয অমত্সিযের পুত্র, অমত্সিয হিল্কিয়র পুত্র, 46 হিল্কিয় অম্সির পুত্র, অম্সি বানির পুত্র, বানি শেমরের পুত্র, 47 শেমর মহলির পুত্র, মহলি মূশির পুত্র, মূশি মরারির পুত্র আর মরারি লেবির পুত্র| 48 হেমন আর আসফের ভাইরাও লেবীয় পরিবারগোষ্ঠীর সদস্য ছিলেন| লেবির পরিবারগোষ্ঠীকে লেবীয়ও বলা হত|ঈশ্বরের গৃহ, পবিত্র তাঁবুতে কাজ করার জন্যই লেবীয়দের বেছে নেওয়া হয়েছিল| 49 তবে বেদীতে ধুপধূনো দেবার এবং হোমবলি ও বলিদানের অধিকার ছিল শুধুমাত্র হারোণের উত্তরপুরুষদের| প্রভুর গৃহের পবিত্রতম স্থানের সমস্ত কাজ করতেন হারোণের পরিবারের সদস্যরা| ইস্রায়েলের লোকদের প্রায়শ্চিত্ত করাবার জন্য য়ে সমস্ত আচার অনুষ্ঠান করা হত সেটিও তাঁরাই করতেন| তাঁরা প্রভুর দাস মোশি প্রদত্ত সমস্ত বিধি ও আইনগুলি মেনে চলতেন| 50 হারোণের পুত্রের নাম ছিল ইলিয়াসর, ইলিয়াসরের পুত্রের নাম ছিল পীনহস, পীনহসের পুত্রের নাম অবীশূয, 51 অবীশূযর পুত্রের নাম বুক্কি, বুক্কির পুত্রের নাম উষি, উষির পুত্রের নাম সরাহিয, 52 সরাহিযর পুত্রের নাম মরাযোত্, মরাযোতের পুত্রের নাম অমরিয, অমরিযর পুত্রের নাম অহীটূব, 53 অহীটূবের পুত্রের নাম সাদোক আর সাদোকের পুত্রের নাম ছিল অহীমাস| 54 হারোণের উত্তরপুরুষরা তাদের য়ে জমি দেওয়া হয়েছিল সেখানে তাঁবু খাটিযে বসবাস করত| লেবীয়দের য়ে জমি দেওয়া হয়েছিল তার প্রথম অংশটি পেয়েছিল কহাত্ পরিবারগুলি| 55 তাঁদের যিহূদার হিব্রোণ ও তার আশেপাশের জমিতে বাস করতে দেওয়া হয়েছিল| 56 হিব্রোণের দূরবর্তী মাঠ-ঘাট ও গ্রামাঞ্চলগুলি য়িফুন্নির পুত্র কালেবকে দেওয়া হয়| 57 হারোণের উত্তরপুরুষদের হিব্রোণ, নিরাপত্তার শহরদেওয়া হয়| লিব্না, য়ত্তীর, ইষ্টিমোয, 58 হিলেন, দবীর, 59 আশন, বৈত্শেমশ প্রমুখ শহর ও তার পার্শ্ববর্তী মাঠগুলি তাঁদের দেওয়া হয়েছিল| 60 বিন্যামীনের পরিবারগোষ্ঠীর সদস্যরা গিবিযোন, গেবা, অনাথোত্, আলেমত্ প্রমুখ শহর ও তার আশেপাশের মাঠগুলি পেয়েছিলেন|কহাতের পরিবারদের তেরোটি শহর দেওয়া হয়| 61 কহাতের উত্তরপুরুষের বাদবাকি সদস্যরা মনঃশি পরিবারগোষ্ঠীর অর্ধেকের মধ্যে থেকে দশটি শহর পেয়েছিলেন| 62 গের্শোমের উত্তরপুরুষরা 13টি শহর পেয়েছিল| তারা শহরগুলি ইষাখর পরিবার, আশের পরিবার, নপ্তালি পরিবার, বাশনে বসবাসকারী মনঃশি পরিবারগোষ্ঠীর একাংশের কাছ থেকে পেয়েছিল| 63 মরারির উত্তরপুরুষরা, রূবেণ, গাদ আর সবূলূন পরিবারগোষ্ঠীর কাছ থেকে অক্ষ নিক্ষেপ করে 12 খানা শহর পেয়েছিলেন| 64 এই ভাবে ইস্রায়েলীয়রা লেবীয়দের শহর ও জমিজমা ভাগ-বাঁটোযারা করে দিলেন| 65 এই সমস্ত শহরই যিহূদা, শিমিযোন ও বিন্যামীনের পরিবারগোষ্ঠীর ছিল| তাঁরাই অক্ষ নিক্ষেপ করে কোন লেবীয় পরিবার কোন শহর পাবেন তা ঠিক করেছিলেন| 66 ইফ্রয়িমের পরিবারগোষ্ঠী কহাত্ পরিবারের কিছু লোককে কয়েকটি শহরতলী দিলেন| ঘুঁটি চেলে এই শহরতলীসমূহ নির্বাচিত হয়েছিল| 67 নিরাপত্তার শহর শিখিম তাদের দেওয়া হয়েছিল| এছাড়াও তাদের দেওয়া হয়েছিল গেষর নগর| 68 য়ক্মিযাম, বৈত্-হোরণ, 69 আইজালন এবং গাত্-রিম্মোণ শহরগুলি| এই শহরগুলির সঙ্গে তারা ইফ্রয়িমের পার্বত্য অঞ্চলের মাঠগুলিও পেয়েছিল| 70 এবং কহাতের বাকি পরিবারগুলিকে ইস্রায়েলীয়রা মনঃশি পরিবারের অর্ধেকের কাছ থেকে দিল আনের, বিল্যম এবং তাদের মাঠগুলি| 71 মনঃশি পরিবারগোষ্ঠীর অর্ধেকের কাছ থেকে গের্শোন পরিবারের সদস্যরা বাশনের গোলন শহর ও অষ্টারোত্ এবং তার আশেপাশের মাঠগুলো বসবাসের জন্য পেলেন| 72 এছাড়াও তাঁরা ইষাখর পরিবারগোষ্ঠীর কাছ থেকে কেদশ, দাবরত্, রামোত্ ও গন্নিম প্রমুখ শহর ও তার সংলগ্ন মাঠগুলো পেলেন| 73 74 আশের পরিবারগোষ্ঠীর কাছ থেকে তাঁরা পেলেন মশাল, আব্দোন, হূকোক, রহোব প্রমুখ শহর ও তার সংলগ্ন মাঠগুলো| 75 76 নপ্তালি পরিবারগোষ্ঠীর কাছ থেকে তাঁরা পেলেন গালীলের কেদশ, হম্মোন, কিরিযাথযিম প্রমুখ শহর ও তার সংলগ্ন মাঠগুলো| 77 লেবীয়দের বাদবাকিরা ছিলেন মরারি পরিবারের সদস্য| তারা সবূলূন পরিবারগোষ্ঠীর কাছ থেকে য়খনিয়ম, করতহ, রিম্মোণো এবং তাবোর প্রমুখ শহর ও তার নিকটবর্তী মাঠগুলো পেলেন| 78 মরারি পরিবারের সদস্যরা এছাড়াও মরু অঞ্চলের বেত্সর নগর, যাহসা, কদমোত্, মেফাত্ প্রমুখ শহর ও তার আশেপাশের মাঠগুলো রূবেণ পরিবারগোষ্ঠীর কাছ থেকে পেলেন| রূবেণের উত্তরপুরুষরা যর্দন নদী ও য়িরিহো শহরের পূর্বপ্রান্তে বসবাস করতেন| 79 80 মরারি পরিবারের সদস্যরা গাদ পরিবারগোষ্ঠীর কাছ থেকে পেয়েছিলেন গিলিয়দের রামোত্, মহনযিম, হিষ্বোণ, যাসের প্রমুখ শহরের নিকটবর্তী মাঠগুলো| 81
1 ইষাখরের চার পুত্রের নাম ছিল তোলয়, পূয়, যাশূব আর শিম্রোণ| 2 তোলয়ের পুত্ররা সকলেই তাদের পরিবারের নেতা ছিলেন| এদের নাম: উষি, রফায়, যিরীয়েল, যহময়, য়িব্সম আর শমূযেল| এঁরা এবং এঁদের উত্তরপুরুষদের সকলেই ছিলেন বীর সৈনিক| দায়ূদের রাজত্বের সময় এদের পরিবারে 22,600 সৈনিক ছিল| 3 উষির পুত্রের নাম ছিল যিষ্রাহিয়| যিষ্রাহিয়ের পুত্ররা ছিল: মীখায়েল, ওবদিয়, য়োয়েল ও যিশিয়| এঁরা পাঁচজনই ছিলেন তাঁদের পরিবারের নেতা| 4 তাঁদের বংশতালিকা থেকে জানতে পারা যায়, এই পরিবারে 36,000 সৈনিক ছিলেন| বহু বিবাহের কারণে এদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা য়থেষ্ট বেশি ছিল| 5 পারিবারিক ইতিহাস অনুযায়ীইষাখরের পরিবারগোষ্ঠীতে সব মিলিয়ে 87,000 বীর সৈনিক জন্মেছিলেন| 6 বেলা, বেখর ও য়িদীযেল নামে বিন্যামীনের তিন পুত্র ছিল| 7 ইষ্বোণ, উষি, উষীযেল, য়িরেমোত্ আর ঈরী নামে বেলার পাঁচ পুত্র ছিল| এদের পারিবারিক ইতিহাস অনুযায়ীএই পরিবারের মোট 22,034 জন সৈনিক ছিলেন| 8 বেখরের পুত্রেরা ছিল সমীরাঃ য়োযাশ, ইলীযেষর, ইলিযো-ঐনয়, অম্রি, য়িরেমোত্, অবিয, অনাথোত্ আর আলেমত্| তারা সকলেই বেখরের সন্তান| 9 20,200 জন বীর সৈনিক যাঁরা তাঁদের পরিবারের নেতা ছিলেন, তাঁদের নাম পারিবারিক ইতিহাসে তাঁদের পরিবারগোষ্ঠী অনুসারে নথিবদ্ধ আছে| 10 য়িদীযেলের পুত্রের নাম বিল্হন| বিল্হনের পুত্রদের নাম ছিল: য়িযূশ, বিন্যামীন, এহূদ, কনানা, সেথন, তর্শীশ আর অহীশহর| 11 য়িদীযেলের পুত্ররা সকলেই তাদের পরিবারের নেতা ছিলেন এবং এই বংশে মোট সৈনিকের সংখ্যা ছিল 17,200 জন| 12 শুপপীম আর হুপপীম দুজনেই ছিলেন ঈরের উত্তরপুরুষ| অহেরের পুত্রের নাম ছিল হূশীম| 13 নপ্তালির পুত্রদের নাম ছিল য়হসিযেল, গূনি, য়েত্সর আর শল্লূম|আর এরা সকলেই বিল্হারের উত্তরপুরুষ ছিলেন| 14 মনঃশির পরিবারের ব্বিরণ নিম্নরূপ:মনঃশির অরামীয়া উপপত্নীর অস্রীযেল নামে এক পুত্র ছিল| তাঁর গর্ভে গিলিয়দের পিতা মাখীরেরও জন্ম হয়| 15 মাখীর হুপপীম আর শুপপীমের পরিবারের এক জনকে বিয়ে করেছিলেন| মাখীরের বোনের নাম দেওয়া হয়েছিল মাখা| দ্বিতীয় পুত্রের নাম সলফাদ| তার শুধু কয়েকটি কন্যা সন্তান ছিল| 16 মাখীরের স্ত্রী মাখা একটি পুত্রের জন্ম দিয়েছিলেন এবং তার নাম রেখেছিলেন পেরশ| পেরশের ভাইযের নাম ছিল শেরশ| শেরশের পুত্রদের নাম ছিল ঊলম ও রেকম| 17 ঊলমের পুত্রের নাম বদান| গিলিয়দের উত্তরপুরুষ নিম্নরূপ: গিলিয়দ ছিলেন মাখীরের পুত্র, মাখীর মনঃশির পুত্র| 18 মাখীরের বোন হম্মোলেকতের পুত্র ছিল ঈশ্হোদ, অবীযেষর আর মহলা| 19 শমীদার পুত্রদের নাম ছিল অহিযন, শেখম, লিক্হি ও অনীযাম| 20 ইফ্রয়িমের উত্তরপুরুষ নিম্নরূপ: ইফ্রয়িমের পুত্রের নাম ছিল শূথেলহ, শূথেলহের পুত্র বেরদ, বেরদের পুত্র তহত্, 21 তহতের পুত্র ইলিয়াদা, ইলিয়াদার পুত্র তহত্, তহতের পুত্র সাবদ আর সাবদের পুত্রের নাম ছিল শূথেলহ| গাত শহরের কিছু বাসিন্দা এত্সর ও ইলিযদকে হত্যা করে কারণ তাঁরা দুজন এই শহর থেকে গবাদি পশু আর মেষ চুরি করার চেষ্টা করেছিলেন| 22 এদের দুজনের পিতা ইফ্রয়িম পুত্রদের মৃত্যুশোকে অনেকদিন কান্নাকাটি করেছিলেন| তারপর তাঁর পরিবারের লোকরা এসে তাঁকে সান্ত্বনা দিলে 23 তিনি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে আবার মিলিত হলেন এবং তাঁর স্ত্রীর গর্ভে একটি পুত্র জন্মালে ইফ্রয়িম সেই পুত্রের নাম দিলেন বরীয,কারণ এই পরিবারে একটি দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছিল| 24 ইফ্রয়িমের কন্যার নাম ছিল শীরা| তিনি উর্দ্ধ ও নিম্ন বৈত্-হোরোণ এবং উষেণ শীরা পত্তন করেছিলেন| 25 ইফ্রয়িমের আরেক পুত্রের নাম ছিল রেফহ| রেফহের পুত্রের নাম রেশফ, রেশফের পুত্রের নাম তেলহ, তেলহের পুত্রের নাম তহন, 26 তহনের পুত্রের নাম লাদন, লাদনের পুত্রের নাম অম্মীহূদ, অম্মীহূদের পুত্রের নাম ইলীশামা, 27 ইলীশামার পুত্রের নাম নূন আর নূনের পুত্রের নাম ছিল য়িহোশূয| 28 ইফ্রয়িমের উত্তরপুরুষরা বৈথেল ও তার আশেপাশের গ্রামগুলোয, পূর্বদিকে নারণ, পশ্চিমে গেষর ও তার চারপাশের শহরে, শিখিম এবং এর আশেপাশের গ্রামগুলিতে আযা এবং এর গ্রামগুলির অঞ্চলে পর্য়ন্ত বাস করত| 29 মনঃশিদের জমির সীমান্ত বরাবর ছিল বৈত্শান, তানক, মগিদ্দো, দোর এবং তাদের গ্রামগুলি| ইস্রায়েলের পুত্র য়োষেফের উত্তরপুরুষরা এই সমস্ত শহরে থাকতেন| 30 আশেরের পুত্রদের নাম ছিল য়িম্ন য়িশ্বাঃ, য়িশ্বী আর বরীয| এদের বোনের নাম সেরহ| 31 বরীযর পুত্রদের নাম হেবর আর মল্কীযেল| মল্কীযেলের পুত্রের নাম বির্ষোত| 32 হেবরের পুত্রদের নাম য়ফ্লেট, শোমের আর হোথম| এঁদের বোনের নাম শূযা| 33 য়ফ্লেটের পুত্রদের নাম ছিল: পাসক, বিম্হল আর অশ্বত্| 34 শেমরের পুত্রদের নাম ছিল: অহি, রোগহ, য়িহুব্ব আর অরাম| 35 শেমরের ভাই হেলমের পুত্রদের নাম ছিল: শোফহ, য়িম্ন শেলশ আর আমল| 36 সোফহর পুত্রদের নাম: সূহ, হর্ণেফর, শূযাল, বেরী, য়িম্র, 37 বেত্সর, হোদ, শম্ম, শিল্শ, য়িত্রণ আর বেরা| 38 য়েথরের পুত্রদের নাম: য়িফুন্নি, পিস্প আর অরা| 39 উল্লেব পুত্রদের নাম: আরহ, হন্নীযেল আর রিত্সিয| 40 আশেরের এই সমস্ত উত্তরপুরুষরা ছিলেন বীর যোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের নেতা এবং শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি| এঁদের পরিবারের মোট যোদ্ধার সংখ্যা ছিল 26,000 জন|
1 বিন্যামীনের প্রথম পুত্র বেলা, দ্বিতীয় পুত্র অস্বেল, তৃতীয় পুত্র অহর্হ, চতুর্থ পুত্র নোহা আর পঞ্চম পুত্র রাফা| 2 3 বেলার পুত্রদের নাম: অদ্দর, গেরা, অবীহূদ, অবীশূয, নামান, আহোহ, গেরা, শফূফন আর হূরম| 4 5 6 নামান, অহিয আর গেরা ছিলেন এহুদের উত্তরপুরুষ| এঁরা সকলেই গেবায নিজেদের পরিবারের নেতা ছিলেন| উষঃ ও অহীহূদের পিতা গেরা এঁদের বাড়ি ছেড়ে মানহতে উঠে য়েতে বাধ্য করেছিলেন| 7 8 শহরযিম মোযাব অঞ্চলে তাঁর স্ত্রী হূশীম ও বারাক উভয়কেই বিদায দিয়ে আর একটি বিবাহ করেন এবং সেই বিবাহের ফলস্বরূপ কয়েকটি সন্তান হয়| 9 স্ত্রী হোদশের মাধ্যমে য়োব্ব, সিবিয, মেশা, মল্কম, য়িযূশ, শখিয আর মির্ম নামে তাঁর সাত পুত্র হয়| এঁরাও সকলে নিজেদের পরিবারের নেতা ছিলেন| 10 11 শহরযিম আর তাঁর স্ত্রী হূশীমেরও অহীটূব আর ইল্পাল নামে দুই পুত্র ছিল| 12 ইল্পালের পুত্রদের নাম ছিল এবর, মিশিযম, শেমদ, বরীয আর শেমা| শেমদ, ওনো এবং লোদের শহরগুলি ও তার পার্শ্ববর্তী নগরগুলি গড়ে তুলেছিলেন| বরীয আর শেমা অযালোনে বসবাসকারী পরিবারগুলোর নেতা ছিলেন এবং গাতে যাঁরা বাস করতেন তাঁদের তাঁরা উঠে য়েতে বাধ্য করেছিলেন| 13 14 বরীযর পুত্রদের নাম ছিল শাশক, য়িরেমোত্, 15 সবদিয়, অরাদ, এদর, 16 মীখায়েল, য়িশ্পা আর য়োহ| 17 ইল্পালের পুত্রদের নাম সবদিয়, মশুল্লম, হিষ্কি, হেবর, 18 য়িশ্ামরয, য়িষ্লিয আর য়োব্ব| 19 শিমিযির পুত্রদের নাম ছিল যাকীম, সিখ্রি, সব্দি, 20 ইলীযৈনয়, সিল্লথয, ইলীযেল, 21 অদাযা, বরাযা আর শিম্রত্| 22 শাশকের পুত্রদের নাম ছিল: য়িশ্পন, এবর, ইলীযেল, 23 অব্দোন, সিখ্রি, হানন, 24 হনানিয, এলম, অন্তোথিয, 25 য়িফদিয আর পনূযেল| 26 য়িরোহমের পুত্রদের নাম শিম্শরয, শহরিয, অথলিয, 27 যারিশিয, এলিয আর সিখ্রি| 28 এঁরা সকলেই জেরুশালেমে বাস করতেন এবং নিজেদের পরিবারের নেতা ছিলেন| একথা এঁদের পারিবারিক ইতিহাসে লেখা আছে| 29 যিয়ীয়েল ছিলেন গিবিয়োনের পিতা| তিনি গিবিয়োনে থাকতেন| তাঁর স্ত্রীর নাম ছিল মাখা| 30 য়িযীযেলের পুত্রদের নাম হল জ্যেষ্ঠ অব্দোন এবং তারপর যথাএমে সূর, কীশ, বাল, নের, নাদব, 31 গদোর, অহিযো, সখর আর মিক্লোত| 32 মিক্লোতের পুত্রের নাম শিমিয| এঁরা সকলে জেরুশালেমে তাঁদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছাকাছি বাস করতেন| 33 নেরেরপুত্রের নাম ছিল কীশ| কীশের পুত্র ছিল শৌল আর শৌলের পুত্রদের নাম ছিল: য়োনাথন, মল্কীশূয, অবীনাদব ও ইশ্বাল| 34 য়োনাথনের পুত্রের নাম: মরীব্-বাল আর মরীব্-বালের পুত্রের নাম ছিল মীখা| 35 মীখার পুত্রদের নাম ছিল: পিথোন, মেলক, তরেয আর আহস| 36 আহসের পুত্রের নাম যিহোয়াদা, যিহোয়াদার পুত্রদের নাম আলেমত্, অস্মাবত্ আর সিম্রি| সিম্রির পুত্রের নাম মোত্সা, 37 মোত্সার পুত্রের নাম ছিল বিনিয়া, বিনিয়ার পুত্রের নাম রফায়, রফায়ের পুত্র ছিল ইলীয়াসা আর ইলীয়াসার পুত্র ছিল আতসেল| 38 আত্সেলের ছয় পুত্রের নাম: অস্রীকাম, বোখরূ, ইশ্মায়েল, শিযরিয, ওবদিয আর হানান| 39 আত্সেলের ভাই এশকের পুত্রদের নাম ছিল: জ্যেষ্ঠ ঊলম, দ্বিতীয় য়িযূশ আর তৃতীয় পুত্র এলীফেলট| 40 ঊলমের পুত্ররা সকলেই ছিল বীর সৈনিক, তীর ধনুক চালাতে পারদর্শী| এদের সকলেরই অনেক অনেক পুত্র ও পৌত্র ছিল| সব মিলিয়ে মোট 150 জন পুত্র ও পৌত্র ছিল|এঁরা সকলেই বিন্যামীনের উত্তরপুরুষ|
1 ইস্রায়েলের সমস্ত বাসিন্দাদের নাম তাদের পারিবারিক ইতিহাসে লিপিবদ্ধ ছিল| সেই সমস্ত পারিবারিক ইতিহাস সঙ্কলিত করে ‘ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস’ গ্রন্থটি লেখা হয়| 2 পরবর্তীকালে নিজেদের বাসস্থানে প্রথম যাঁরা ফিরে এসে আবার বাস করতে শুরু করেন তাঁদের মধ্যে যাজকবর্গ, লেবীয়, মন্দিরের দাস ছাড়াও কিছু ইস্রায়েলীয় ব্যক্তি ছিলেন| 3 জেরুশালেমে বসবাসকারী যিহূদা, বিন্যামীন, ইফ্রয়িম আর মনঃশি পরিবার গোষ্ঠীর লোকদের তালিকা নিম্নরূপ: 4 উথযের পিতা অম্মীহূদ, অম্মীহূদের পিতা অম্রি, অম্রির পিতা ইম্রি, ইম্রির পিতা বানি, যিনি ছিলেন যিহূদার সন্তান খোদ পেরসের উত্তরপুরুষ| 5 শীলোনীযদের মধ্যে জেরুশালেমে থাকতেন অসায আর তাঁর পুত্ররা| 6 সেরহদের মধ্যে যুযেল ও তাঁর আত্মীয়-স্বজন সহ মোট 690 জন থাকতেন| 7 বিন্যামীন পরিবারগোষ্ঠীর যাঁরা জেরুশালেমে থাকতেন তাঁরা হলেন: সল্লূর পিতা মশুল্লম, মশুল্লমের পিতা হোদবিয, হোদবিযর পিতা হস্নূয, 8 য়িরোহমের পুত্র ছিল য়িব্নিয, এলা ছিল উষির পুত্র, উষি ছিল মিখ্রির পুত্র, মশুল্লম ছিল শফটিয়র পুত্র, শফটিয় ছিল রূযেলের পুত্র এবং রূযেল ছিল য়িব্নিযর পুত্র| 9 বিন্যামীনদের পারিবারিক ইতিহাস থেকে জানা যায়, এই পরিবারের মোট 956 জন জেরুশালেমে বাস করতেন এবং এঁরা সকলেই নিজেদের পারিবারিক নেতা ছিলেন| 10 যাজকদের মধ্যে জেরুশালেমে বাস করতেন য়িদযিয, য়িহোযারীব, যাখীন এবং হিল্কিয়র পুত্র অশূরীয়| 11 হিল্কিয় ছিলেন মশুল্লমের পুত্র, তাঁর পিতা ছিলেন সাদোক| সাদোকের পিতা মরাযোত, তাঁর পিতা অহীটূব| অহীটূব ঈশ্বরের মন্দিরের এক জন গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী ছিলেন| 12 এঁরা ছাড়াও বাস করতেন: অদাযার পিতা য়িরোহম, তাঁর পিতা পশ্হূর, তাঁর পিতা মল্কিয়, আর অদীযেলের পুত্র মাসয, অদীযেলের পিতা য়হসেরা, তাঁর পিতা মশুল্লুম, তাঁর পিতা মশিল্লমীত ও মশিল্লমীতের পিতা ইম্মের প্রমুখ| 13 সব মিলিয়ে যাজকদের সংখ্যা ছিল 1,760 জন| এঁরা সকলে ঈশ্বরের মন্দিরে সেবার জন্য নিযুক্ত ও নিজেদের পরিবারের নেতা ছিলেন| 14 লেবীয় পরিবারের মধ্যে যাঁরা জেরুশালেমে বাস করতেন তাঁদের তালিকা নিম্নরূপ: শময়িয়র পিতা হশূব, তাঁর পিতা অস্রীকাম, তাঁর পিতা মরারির উত্তরপুরুষ হশবিয| 15 এছাড়াও জেরুশালেমে থাকতেন বকবকর, হেরশ, গালল আর মত্তনিয়| মত্তনিয় ছিলেন মীখার পুত্র, মীখা সিখ্রির পুত্র, সিখ্রি আসফের পুত্র| 16 ওবদিয ছিলেন শময়িয়র পুত্র, শময়িয় গাললের পুত্র, গালল য়িদূথূনের পুত্র, য়িদূথূন বেরিখিয়র পুত্র, বেরিখিয় আসার পুত্র আর আসা ছিল ইল্কানার পুত্র| বেরিখিয় নটোফার লোকদের কাছাকাছি ছোট শহরগুলোয বসবাস করতেন| 17 দ্বাররক্ষীদের মধ্যে জেরুশালেমে বাস করতেন শল্লুম, অক্কুব, টল্মোন, অহীমান এবং তাঁদের আত্মীয়রা| শল্লুম ছিলেন এঁদের নেতা| 18 এঁরা ছিলেন লেবি পরিবারগোষ্ঠীর সদস্য এবং পূর্বদিকে রাজদ্বারের পাশে দাঁড়াতেন| 19 শল্লুম ছিলেন কোরির পুত্র, কোরি ইবীযাসফের পুত্র, ইবীযাসফ কোরহের পুত্র ছিলেন| শল্লুম এবং তাঁর ভাইরা ছিলেন কোরহ পরিবারের সদস্য এবং তাঁদের পূর্বপুরুষদের মতোই তাঁরাও পবিত্র তাঁবুর দরজায পাহারা দিতেন| 20 অতীতে ইলিয়াসরের পুত্র পীনহস মন্দিরের দ্বার রক্ষীদের তত্ত্বাবধান করতেন| প্রভু তাঁর সহায় ছিলেন| 21 মশেলেমিযর পুত্র সখরিয়ও পবিত্র তাঁবুর দ্বাররক্ষীর কাজ করতেন| 22 সব মিলিয়ে 212 জন ব্যক্তি পবিত্র তাঁবুর প্রবেশ পথগুলো পাহারা দিতেন| এদের সকলের নামই তাদের পারিবারিক ইতিহাসে লেখা আছে| এঁরা সকলে বিশ্বাসী ছিলেন বলেই ভাব্বাদী দায়ূদ ও শমূযেল তাঁদের ও 23 তাঁদের উত্তরপুরুষদের প্রভুর গৃহ ও পবিত্র তাঁবুর প্রবেশ পথ পাহারার কাজে নিযুক্ত করেছিলেন| 24 উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম সব মিলিয়ে মোট চারটি প্রবেশ-পথ ছিল| 25 প্রায়ই দ্বাররক্ষীদের আত্মীয়রা তাদের ছোট ছোট শহরতলী থেকে এসে এঁদের 7 দিনের জন্য সাহায্য করতেন| 26 লেবীয় পরিবারের চারজন এই সমস্ত দ্বাররক্ষীদের নেতা ছিলেন| এঁদের সকলেরই কাজ ছিল ঈশ্বরের মন্দিরের ঘর-দোরের যত্ন নেওয়া ও মন্দিরের ধনসম্পদ রক্ষা করা| 27 সারা রাত ধরে তাঁরা মন্দির পাহারা দিতেন এবং তারপর সকালে ঈশ্বরের মন্দিরের দরজা খুলে দিতেন| 28 কিছু দ্বার রক্ষীদের কাজ ছিল মন্দিরের নিত্য ব্যবহৃত থালার হিসেব রাখা| এঁরা এই সমস্ত থালা বাইরে আনা ও নিয়ে যাওয়ার সময়ে গুনে রাখতেন| 29 কিছু দ্বার রক্ষী আসবাবপত্র, বিশেষ বিশেষ কাজে ব্যবহৃত থালা ছাড়াও মযদা, দ্রাক্ষারস, তেল, ধুপধূনো ও বিশেষ তেলেরতুদেখাশোনা করত| 30 কিন্তু যাজকরাই ব্যবহৃত সুগন্ধী তেলের দেখাশোনা করতেন| 31 কোরহ পরিবারের শল্লুমের বড় ছেলে মত্তিথিয় নামে জনৈক লেবীয় হোমের জন্য ব্যবহৃত রুটি সেঁকার দায়িত্বে ছিলেন| 32 কোরহ পরিবারের কিছু দ্বার রক্ষীর কাজ ছিল বিশ্রামের দিনে য়ে সমস্ত রুটি টেবিলে পরিবেশন করা হত সেগুলি প্রস্তুত করা| 33 য়ে সমস্ত লেবীয়রা গান গাইতেন এবং তাঁদের পরিবারের নেতা ছিলেন তাঁরা মন্দিরের ভেতরে ঘরে বাস করতেন| সেহেতু তাঁদের সারা দিন সারা রাত মন্দিরের কাজ করতে হত য়েহেতু তাঁদেরকে অন্য কোন কাজ করতে হত না| 34 পারিবারিক ইতিহাসে জেরুশালেমে বসবাসকারী এই সমস্ত লেবীয়দের তাঁদের পরিবারের নেতা হিসেবে উল্লেখ করা আছে| 35 গিবিয়োনের পিতা যিয়ীয়েল গিবিয়োনে বাস করতেন| তাঁর স্ত্রীর নাম ছিল মাখা| 36 তাঁদের পুত্রদের নাম যথাএমে অব্দোন, সূর, কীশ, বাল, নের, নাদব, 37 গাদোর, অহিযো, সখরিয় ও মিক্লোত্| 38 মিক্লোতের পুত্র ছিল শিমিযাম| য়িযীযেলের পরিবারের সকলেই তাঁদের আত্মীয়দের কাছাকাছি জেরুশালেমে বাস করতেন| 39 নেরের পুত্রের নাম ছিল কীশ, কীশের পুত্রের নাম শৌল, আর শৌলের পুত্রদের নাম ছিল য়োনাথন, মল্কীশূয, অবীনাদব ও ইশ্বাল| 40 য়োনাথনের পুত্রের নাম ছিল মরিব্-বাল আর পৌত্রের নাম মীখা| 41 মীখার পুত্রদের নাম ছিল পিথোন, মেলক, তহরেয আর আহস| 42 আহসের পুত্র ছিল যারঃ যারের পুত্ররা ছিল আলেমত্, অস্মাবত্ এবং সিম্রি| সিম্রি ছিল মোত্সার পিতা| 43 মোত্সার পুত্রের নাম বিনিযা, বিনিয়ার পুত্রের নাম রফায, রফাযের পুত্রের নাম ছিল ইলীয়াসা আর ইলীয়াসার পুত্রের নাম আত্সেল| 44 আত্সেলের ছয় পুত্রের নাম ছিল অস্রীকাম, বোখরূ, ইশ্মায়েল, শিযরিয, ওবদিয আর হানান|
1 পলেষ্টীয়রা ইস্রায়েলীয় লোকদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে এলে ইস্রায়েলীয়রা পালিয়ে গিয়েছিল| গিল্বোয পাহাড়ে মারাও গিয়েছিল অনেকে| 2 পলেষ্টীয়রা রাজা শৌল ও তাঁর পুত্রদের পেছনে ধাওযা করে শেষ পর্য়ন্ত তাঁদের ধরে ফেলে হত্যাও করেছিল| শৌলের তিন পুত্র য়োনাথন, অবীনাদব ও মল্কি-শূয পলেষ্টীয়দের হাতে মারা পড়েছিলেন| 3 এবং শৌলের চারপাশে যুদ্ধ তীব্র হয়ে ওঠে এবং শৌলকে পলেষ্টীয় তীরন্দাজরা তীর ছুঁড়ে আহত করে| 4 রাজা শৌল তখন তাঁর অস্ত্রবাহককে বললেন, “তুমি তরবারি বের করে নিজের হাতে আমায় হত্যা কর| তাহলে আর এই ভিন্দেশীরা এসে আমায় নিয়ে মস্করা করতে বা আমায় আঘাত করতে পারবে না|”কিন্তু রাজার অস্ত্রবাহক মহারাজকে হত্যা করতে ভয় পেল| তাই শৌল তখন নিজের তরবারি দিয়েই আত্মহত্যা করলেন| 5 অস্ত্রবাহক যখন দেখতে পেল রাজা শৌলের মৃত্যু হয়েছে তখন সেও নিজের তরবারি দিয়ে নিজেকে হত্যা করল| 6 অর্থাত্ রাজা শৌল ও তাঁর তিন পুত্র এক সঙ্গে মারা গেলেন| 7 সমতল ভূমিতে বসবাসকারী ইস্রায়েলের বাসিন্দারা দেখল তাদের সেনাবাহিনী রণক্ষেত্র ছেড়ে পালিয়েছে আর রাজা শৌল ও তাঁর তিন পুত্র মারা গিয়েছে| তখন তারাও তাদের শহর ছেড়ে পালাল| পলেষ্টীয়রা সেই সমস্ত শহর দখল করে সেখানে বাস করতে শুরু করল| 8 পরের দিন পলেষ্টীয়রা মৃতদেহ থেকে দামী জিনিসপত্র খুলে নিতে এসে গিল্বোয পর্বতে রাজা শৌল ও তাঁর তিন পুত্রের মৃতদেহ খুঁজে পেল| 9 শৌলের দেহ থেকে দুর্মূল্য জিনিসপত্র নিয়ে নেওয়ার পর পলেষ্টীয়রা শৌলের মুণ্ড এবং বর্ম নিয়ে নিল এবং তাদের লোকদের এবং তাদের দেবতাদের খবরটা জানানোর জন্য রাজ্যের সর্বত্র বার্তাবাহক পাঠাল| 10 তারপর তাদের ভ্রান্ত দেবতার মন্দিরে শৌলের কাটা মুণ্ডুটা ঝুলিয়ে দিল| 11 যাবেশ-গিলিয়দের সমস্ত লোকরা যখন জানতে পারল পলেষ্টীয়রা শৌলের কি দশা করেছে 12 তখন তারা শহরের সাহসী লোকদের রাজা ও রাজপুত্রদের মৃতদেহ ফেরত আনতে পাঠাল| যাবেশ-গিলিয়দে রাজা ও রাজপুত্রদের মৃতদেহ নিয়ে আসার পর তারা চার জনকেই যাবেশে একটা বড় গাছের তলায় সমাধিস্থ করে সাত দিন ধরে শোকপ্রকাশ এবং উপোস করল| 13 প্রভুর প্রতি অনুগত না হওয়ার কারণেই এবং প্রভুর বাণী উপেক্ষা করার জন্যই শৌলের মৃত্যু হয়েছিল| প্রভুর উপদেশ নেবার পরিবর্তে শৌল এক মাধ্যমের কাছে পরামর্শের জন্য য়েতেন| 14 এসব কারণেই প্রভু রাজা শৌলের মৃত্যু ঘটিযে য়িশযের পুত্র দায়ূদের হাতে রাজ্য় তুলে দিয়েছিলেন|
1 হিব্রোণে ইস্রায়েলের সমস্ত লোক দায়ূদের কাছে এসে বলল, “আপনার সঙ্গে আমাদের রক্তের সম্পর্ক| 2 আগে, রাজা শৌল জীবিত থাকা কালীন আপনি আমাদের যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন| প্রভু বয়ং আপনাকে বলেছিলেন, ‘দায়ূদ, তুমি আমার লোকদের, ইস্রায়েলের লোকদের মেষপালক হবে| এক দিন তুমিই তাদের নেতা হবে|”‘ 3 ইস্রায়েলের সমস্ত নেতারাও হিব্রোণে দায়ূদের সঙ্গে দেখা করতে এলে, তিনি প্রভুর সাক্ষাতে তাঁদের সকলের সঙ্গে সেখানে চুক্তিবদ্ধ হলেন এবং নেতারা সকলে তাঁর গায়ে সুগন্ধী তেল ছিটিয়ে তাঁকে ইস্রায়েলের নতুন রাজা হিসেবে অভিষেক করলেন| শমূযেলের মাধ্যমে প্রভু আগেই একথা ভবিষ্যত্ বাণী করেছিলেন| 4 দায়ূদ এবং ইস্রায়েলের সমস্ত লোকরা তখন জেরুশালেমে গেলেন| সে সময়ে জেরুশালেম শহরের নাম ছিল য়িবূষ| আর সেখানে যাঁরা বাস করত তাদের যিবূষীয় বলা হত| এই সমস্ত যিবূষীয়রা 5 দায়ূদকে তাদের শহরে ঢুকতে দিতে অস্বীকার করলে, দায়ূদ তাদের যুদ্ধে পরাজিত করে সিযোনের দুর্গ দখল করলেন| এই অঞ্চলটিই পরবর্তী কালে দায়ূদ নগরী বা দায়ূদের শহর নামে পরিচিত হয়| 6 দায়ূদ বললেন, “যিবূষীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধে য়ে আমার সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দেবে তাকেই আমি আমার সেনাবাহিনীর সেনাপতি করব|” তখন সরূযার পুত্র য়োয়াব সেই আক্রমণের নেতৃত্ব দিলেন এবং তাঁকে ইস্রায়েলীয় সেনাবাহিনীর সেনাপতি করা হল| 7 দায়ূদ ঐ দুর্গে তাঁর বসতি বিস্তার করে দুর্গের চারপাশে শহর বানিয়ে ছিলেন বলেই এই জায়গার নাম দায়ূদ নগরী হয়েছিল| দায়ূদ মিল্লো থেকে দুর্গের প্রাচীর পর্য়ন্ত অঞ্চলে শহর স্থাপন করেছিলেন| য়োয়াব শহরের অন্যান্য অঞ্চলের সংস্কার সাধন করেছিলেন| 8 9 এদিকে সর্বশক্তিমান প্রভুর সহায়তায উত্তরোত্তর দায়ূদের শক্তিবৃদ্ধি হতে থাকল| 10 ইস্রায়েলে দায়ূদের শাসন কালে তিনজন নেতা ক্ষমতা ও খ্যাতির শিখর স্পর্শ করেছিলেন| এঁরা দায়ূদের বিশিষ্ট সেনাবাহিনীর ওপর কর্তৃত্ব করতেন এবং ইস্রায়েলের সমস্ত লোকদের সঙ্গে একত্রিতভাবে ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ীদায়ূদের রাজ্য়কে সহায়তা করতেন| 11 এই তিন জন ব্যক্তির মধ্যে প্রথম জন হলেন হক্মোনীযের পুত্র যাশবিযাম| তিনি ছিলেন রথ-পরিচালক অধিকর্তাদের নেতা| একবার যাশবিযাম তাঁর বর্শা দিয়ে এক সঙ্গে 300 জনকে হত্যা করেছিলেন| 12 দ্বিতীয় জন হলেন অহোহের দোদোর পুত্র ইলিয়াসর| 13 তিনি পস্-দম্মীমে পলেষ্টীয়দের সঙ্গে যুদ্ধের সময় দায়ূদকে সঙ্গ দিয়েছিলেন| ইস্রায়েলের লোকরা যখন পলেষ্টীয়দের আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য পালাতে শুরু করেছিল সে সময় এই তিন জন বিরোধী সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে এক ক্ষেত ভর্তি য়ব রক্ষা করে এবং বিপক্ষীয শএুদের প্রভুর সহায়তায পরাজিত করে| 14 15 এক দিন যখন দায়ূদ অদুল্লমের গুহাতে আটকা পড়েছেন এবং রফাযীম উপত্যকা পর্য়ন্ত পলেষ্টীয় সেনাবাহিনী এগিয়ে এসেছে, সে সময় এই তিন বীর হামাগুড়ি দিয়ে সমস্ত পথটুকু গিয়ে দায়ূদের সঙ্গে য়োগ দিয়েছিলেন| 16 আরেক বার এক দল পলেষ্টীয় সেনা তখন বৈত্লেহমে আর দায়ূদ ছিলেন দুর্গের ভেতরে| 17 নিজের বাসভূমির এক গণ্ডুষ জল পান করার জন্য তৃষ্ণার্ত দায়ূদ কথাপ্রসঙ্গে সবে বলেছেন, “ইস, কেউ যদি এখন আমায় বৈত্লেহমের সিংহদরজার পাশের কুঁযোটা থেকে একটু জল পান করাতে পারত|” দায়ূদ সত্যিকার চাইছিল না, কেবল মাত্র বলছিল| 18 সঙ্গে সঙ্গে এই তিন বীর যোদ্ধা পলেষ্টীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে গিয়ে বৈত্লেহমের য়ে কুঁযোর জল দায়ূদ পান করতে চেয়েছিলেন, সেই জল নিয়ে আসলেন| দায়ূদ তখন সেই জল নিজে পান না করে নৈবেদ্য স্বরূপ ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে মাটিতে ঢেলে দিয়ে বললেন, 19 “হে প্রভু, নিজেদের জীবন তুচ্ছ করে যারা এই জল আমার জন্য এনেছে তা পান করা আর তাদের রুধির পান করা সমতুল্য| তাই দায়ূদ জল পান করতে অস্বীকার করলেন|” দায়ূদের ঐ তিন জন নাযক এই ধরণের আরো অনেক বীরত্বপূর্ণ কাজকর্ম করেছিলেন| 20 য়োয়াবের ভাই অবীশয় ছিলেন এই তিন বীরের নেতা| তিনি একবার বর্শা দিয়ে 300 জনকে হত্যা করেছিলেন| 21 অবীশযের খ্যাতি এদের কারো থেকে কম তো ছিলই না বরঞ্চ সেরা তিরিশ জন সেনার তুলনায়ও দ্বিগুণ ছিল| যদিও তিনি তিন বীরের এক জন ছিলেন না, তবুও তিনি তাদের নেতা হয়েছিলেন| 22 যিহোয়াদার পুত্র বনায় এক জন বীরযোদ্ধা ছিলেন| তিনি কব্সেলের লোক ছিলেন এবং বহু দুঃসাহসিক কাজ করেছিলেন| তিনি মোযাবের দুই সাহসী যোদ্ধাকে হত্যা করা ছাড়াও একবার এক তুষারাচ্ছন্ন দিনে একটা গুহায প্রবেশ করে একটা সিংহ মেরেছিলেন| 23 এছাড়াও বনায়, তাঁতীর দণ্ডের মত সুবিশাল বল্লমধারী 7 1,2 ফুট দীর্ঘ এক মিশরীয সেনাকে মেরে ফেলেছিলেন| বনায়ের ছিল শুধু একটা লাঠি কিন্তু মিশরীযর হাত থেকে তার বল্লমটা কেড়ে নিয়ে তিনি তাই দিয়েই ঐ ব্যক্তিকে হত্যা করেন| 24 যিহোয়াদার এই বীরপুত্রের খ্যাতি ঐ তিন জন নাযকের তুলনায় কোন অংশে কম ছিল না| 25 এমনকি ঐ তিন জনের একজন না হয়েও তাঁর খ্যাতি সেরা তিরিশ জন সৈনিকের থেকে বেশি ছিল| দায়ূদ তাঁকে তাঁর দেহরক্ষীদের নেতা নিযুক্ত করেছিলেন| 26 য়োয়াবের ভাই অসাহেল, বৈত্লেহমের দোদোর পুত্র ইল্হানন, হরোরের শম্মোত্, পলোনের হেলস, তকোযের ইক্কেশের পুত্র ঈরা, অনাথোতের অবীযেষর, হূশাতীয সিব্বখয, অহোহর ঈলয, নটোফার মহরয, নটোফার বানার পুত্র হেলদ, বিন্যামীন পরিবারের গিবিয়ার রীবয়ের পুত্র ইথয, পিরিযাথোনের বনায়, গাশ-উপত্যকা নিবাসী হূরয, অর্ব্বতীয অবীযেল, বাহরূমের অস্মাবত্, শাল্বোনের ইলিযহবঃ, গিষোণের হাষেমের পুত্র হরারী, শাগির পুত্র য়োনাথন, হরারী সাখরের পুত্র অহীযাম, ঊরের পুত্র ইলীফাল, মখেরাতের হেফর, পলোনার অহিয, কর্মিলের হিষ্রো, ইষ্বয়ের পুত্র নারয, নাথনের ভাই য়োয়েল, হগ্রির পুত্র মিভর, অম্মোনের সেলক, সরূযার পুত্র য়োয়াবের অস্ত্রবাহক বেরোতের নহরয, য়িত্রযের ঈরা আর গারেব, হিত্তীয়ের ঊরিয, অহলযের পুত্র সাবদ, রূবেণ পরিবারগোষ্ঠীর অন্যতম প্রধান শীষার পুত্র অদীনা ও তাঁর ত্রিশ জন সঙ্গী, মাখার পুত্র হানান, মিত্নর য়োশাফট, অষ্টরোতের উষিয, অরোযেরবের হোথমের দুই পুত্র শাম ও যিয়ীয়েল, শিম্রির পুত্র য়িদীযেল আর তাঁর ভাই তীষীয য়োহা, মহবীর ইলীযেল, ইল্নামের দুই পুত্র য়িরীবয় আর য়োশবিয, মোযাবের য়িত্মা, ইলীযেল, ওবেদ আর মসোবাযের যাসীযেল প্রমুখ সকলেই ছিলেন দায়ূদের ‘সেরা তিরিশ’ সৈন্যদলের সেনা| 27 28 29 30 31 32 33 34 35 36 37 38 39 40 41 42 43 44 45 46 47
1 দায়ূদ যখন কীশের পুত্র শৌলের ভয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন তখন য়ে সমস্ত যোদ্ধারা সিক্লগে তাঁর কাছে এসেছিল এটি হল তাদের তালিকা| তারা দায়ূদকে যুদ্ধে সাহায্য করেছিল| 2 এঁরা য়ে কোন হাতেই তীর ছুঁড়তে পারতো, দু’হাতে গুলতিও চালাতে পারতো| এঁরা সকলেই বিন্যামীনের পরিবারগোষ্ঠীর সদস্য এবং শৌলের আত্মীয় ছিল| 3 অহীযেষর ছিলেন এঁদের দলের নেতা, এছাড়াও এই দলে ছিলেন তাঁর ভাই য়োযাশ (এঁরা গিবিয়াতের শমায়ের পুত্র), অস্মাবতের পুত্র য়িষীযেল আর পেলট, অনাথোত শহরের বরাখা আর য়েহূ, 4 গিবিয়োনের য়িশ্ামযিয (ইনি সেই ত্রিশ জন বীরের অন্যতম এবং তাদের অধ্যক্ষ ছিলেন|), য়িরমিয, য়হসীযেল, য়োহানন, গদেরাথের য়োষাবদ, 5 ইলিযূষয, য়িরীমোত্, বালিয, শমরিয়, হরূফের শফটিয়, 6 ইল্কানা, য়িশিয, অসরেল, য়োয়েষর, যাশবিযাম প্রমুখ কোরহ পরিবারগোষ্ঠীর যোদ্ধারা 7 আর গদোর শহরের য়িরোহমের পুত্র য়োয়েলা আর সবদিয়| 8 গাদ পরিবারগোষ্ঠীর একাংশও মরুভূমিতে দায়ূদের দুর্গে গিয়ে তাঁর সঙ্গে য়োগ দিয়েছিলেন| এরাও সকলেই সিংহের মত পরাএমশালী এবং কুশলী যোদ্ধা ছিলেন| বর্শা আর ঢাল নিয়ে যুদ্ধ করা ছাড়াও এঁরা সকলেই পাহাড়ী পথে হরিণের মত দৌড়তে পারতেন| 9 গাদ পরিবারগোষ্ঠীর এই দলের নেতা ছিলেন এষর; দ্বিতীয় ওবদিয এবং তৃতীয় ইলীয়াব| 10 চতুর্থ মিশ্ামন্না, পঞ্চম য়িরমিয, 11 ষষ্ঠ অত্তয, সপ্তম ইলীযেল, 12 অষ্টম য়োহানন, নবম ইল্সাবাদ, 13 দশম য়িরমিয আর একদশ মগ্বন্নয| 14 এঁরা সকলেই গাদীয সেনাবাহিনীর সেনাপতি ছিলেন এবং এই দলের দুর্বলতম ব্যক্তিও একাই 100 জনের সঙ্গে যুদ্ধ করার ক্ষমতা রাখতেন| দলের সর্বাপেক্ষা যিনি শক্তিমান ছিলেন তিনি একা 1,000 জনের মোকাবিলা করতে পারতেন| 15 গাদ পরিবারগোষ্ঠীর এই সমস্ত সৈনিকরা বছরের প্রথম মাসে, যখন যর্দন নদীতে প্রবল বন্যা হচ্ছে সে সময়ে নদী পার হয়ে উপত্যকার লোকদের পূর্ব ও পশ্চিমে তাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন| 16 বিন্যামীন ও যিহূদা পরিবারগোষ্ঠীর অন্যান্য ব্যক্তিরাও দুর্গে এসে দায়ূদের সঙ্গে য়োগ দিয়েছিলেন| 17 দায়ূদ তাঁদের সঙ্গে দেখা করে বললেন, “আপনারা যদি শান্তিতে আমাকে সাহায্য করতে এসে থাকেন তাহলে আমি আপনাদের সকলকে স্বাগত জানাচ্ছি| কিন্তু আমি কিছু অন্যায় না করা সত্ত্বেও আপনারা যদি আমার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করতে এসে থাকেন তাহলে আমার পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর য়েন তা দেখেন এবং আপনাদের শাস্তি দেন|” 18 অমাসয় ছিলেন সেই তিরিশ জন বীরের নেতা| তখন আত্মার ভর হলে তিনি বলে উঠলেন:“দায়ূদ আমরা তোমার পক্ষে| আমরা তোমার সঙ্গে আছি| হে য়িশযের পুত্র- শান্তি! তোমার শান্তি হোক| এবং যারা তোমায় সাহায্য করে তাদের শান্তি হোক| কারণ তোমার ঈশ্বর তোমায় সাহায্য করেন|”দায়ূদ তখন এই সমস্ত ব্যক্তিকেই তাঁর দলে স্বাগত জানিয়ে, তাঁদের ওপর নিজের সেনাবাহিনীর দায়িত্ব দিলেন| 19 মনঃশি পরিবারগোষ্ঠীর অনেকেই দায়ূদ যখন পলেষ্টীয়দের সঙ্গে শৌলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়েছিলেন তাঁর সঙ্গে য়োগ দিয়েছিলেন| তবে পলেষ্টীয় নেতাদের আপত্তি থাকায় শেষ পর্য়ন্ত দায়ূদ শৌলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পলেষ্টীয়দের সাহায্য করেন নি| এই সমস্ত পলেষ্টীয় নেতারা বলেছিল, “দায়ূদ যদি তাঁর মনিব, শৌলের কাছে ফিরে যান তবে আমাদের মুণ্ড কাটা পড়বে|” 20 মনঃশি পরিবারগোষ্ঠীর য়ে সমস্ত ব্যক্তি সিক্লগ শহরে এসে দায়ূদের দলে য়োগ দিয়েছিলেন, তাঁরা হলেন- অদ্ন, য়োষাবদ, য়িদীযেল, মীখায়েল, য়োষাবদ, ইলীহূ আর সিল্লথয| এঁরা সকলেই মনঃশি পরিবারে সৈন্যাধ্যক্ষ ছিলেন| 21 অসত্ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাঁরা দায়ূদকে সাহায্য করেছিলেন| এই সমস্ত অসত্ ব্যক্তিরা সারা দেশে সুয়োগ সুবিধে মত চুরি-চামারি চালিযে যাচ্ছিল| মনঃশি পরিবারের বীর যোদ্ধারা দায়ূদের সেনাবাহিনীর নেতায পরিণত হয়েছিলেন| 22 প্রতি দিন দলে দলে লোক এসে দায়ূদের পাশে দাঁড়ানোয এমশঃ তিনি এক সুবিশাল ও শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়ে তুললেন| 23 এই সব ব্যক্তিবর্গ যাঁরা হিব্রোণ শহরে দায়ূদের সঙ্গে য়োগ দিয়েছিলেন এবং যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন এবং প্রভু যা বলেছিলেন সেই অনুযায়ীশৌলের রাজধানী দায়ূদের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলেন, তাঁরা সংখ্যায় হলেন নিম্নরূপ: 24 যিহূদা পরিবারগোষ্ঠীর 6,800 জন কুশলী ও তত্পর যোদ্ধা| এঁরা সকলেই বর্শা ও বল্লমধারী ছিলেন| 25 শিমিযোনের পরিবারগোষ্ঠীর 7,100 জন বীর যোদ্ধা ছিলেন| 26 লেবি পরিবারগোষ্ঠীর 4,600 জন| 27 হারোণ বংশের নেতা যিহোয়াদাও 3,700 জন নিয়ে এই দলে য়োগ দিয়েছিলেন| 28 এছাড়া পরিবারের আরো 22 জন নেতাসহ য়োগ দিয়েছিলেন সাহসী ও তরুণ সেনা সাদোক| 29 শৌলের আত্মীয় এবং তখনও পর্য়ন্ত তার প্রতি অনুগত বিন্যামীন পরিবারগোষ্ঠীর 3,000 জনও য়োগ দিয়েছিলেন এই দলে| 30 ইফ্রয়িমের পরিবারগোষ্ঠী থেকে এসেছিলেন 20,800 জন বীরযোদ্ধা| তারা তাদের পরিবারে বিখ্যাত ছিল| 31 মনঃশি পরিবারগোষ্ঠী থেকে এসেছিলেন 18,000 জন দায়ূদকে রাজা বানাতে| 32 ইষাখরের পরিবার থেকে আত্মীয়সহ এসেছিলেন 200 জন প্রাজ্ঞ নেতা| তাঁরা হলেন সেই সব লোক যাঁরা ইস্রায়েলের মঙ্গলের জন্য কখন কি করা প্রয়োজন তা ভাল ভাবেই বুঝতেন| 33 সবূলূনের পরিবারগোষ্ঠী থেকে য়োগ দিয়েছিলেন সর্বাস্ত্রে পারদর্শী 50,000 জন কুশলী যোদ্ধা| এঁরা সকলেই দায়ূদের একান্ত অনুগত ছিলেন| 34 নপ্তালির পরিবারগোষ্ঠী থেকে 1,000 অধ্যক্ষ ছিল| তাদের সঙ্গে 37,000 ব্যক্তি ছিল| তারা বর্শা ও ঢাল নিয়ে এসেছিলেন| 35 দান পরিবারগোষ্ঠী থেকে এসেছিলেন 28,600 জন রণ-কুশলী যোদ্ধা| 36 আশের পরিবারগোষ্ঠী থেকেও রণ-কুশলী 40,000 জন এসেছিলেন| 37 এবং যর্দন নদীর পূর্বদিক থেকে রূবেণ, গাদ ও অর্ধেক মনঃশি পরিবার মিলিয়ে মোট 1,20,000 ব্যক্তি বিভিন্ন রকমের অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে এই দলে য়োগ দিয়েছিলেন| 38 এই সমস্ত বীর যোদ্ধারা দায়ূদকে ইস্রায়েলের রাজা করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে হিব্রোণে এসেছিলেন| ইস্রায়েলের অবশিষ্ট লোকদেরও এই প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন ছিল| 39 এঁরা সকলে হিব্রোণে দায়ূদের সঙ্গে তিন দিন পানাহার করে ও তাঁদের আত্মীয়-পরিজনের বানানো খাবার-দাবার খেয়ে কাটালেন| 40 ইষাখর, সবূলূন ও নপ্তালি পরিবারগোষ্ঠীরা উট, ঘোড়া, গাধা ও ষাঁড়ের পিঠে চড়িযে মযদা, ডুমুরের পিঠে, কিস্মিস্, দ্রাক্ষারস, তেল, ছাগল এবং মেষ প্রভৃতি এনেছিলেন| ইস্রায়েলের সকলেই খুব খুশী হয়েছিলেন|
1 দায়ূদ তাঁর সেনাবাহিনীর সমস্ত অধ্যক্ষদের সঙ্গে কথা বলার পর 2 ইস্রায়েলের লোকদের এক জায়গায় জড়ো করে বললেন, “প্রভুর যদি ইচ্ছে হয় এবং তোমরা সকলেও যদি তাই মনে কর, তাহলে ইস্রায়েলের সর্বত্র আমাদের সহ-নাগরিক ও জ্ঞাতিদের, যাজক ও লেবীয়দের সবাইকে, যাঁরা বিভিন্ন শহরে ও তার আশেপাশে আমাদের জ্ঞাতিদের সঙ্গে বাস করেন, তাঁদের খবর পাঠিয়ে আমাদের সঙ্গে য়োগ দিতে বলা হোক| 3 তারপর আমরা সাক্ষ্যসিন্দুকটা জেরুশালেমে আমাদের কাছে ফিরিযে আনি| শৌল রাজা থাকাকালীন আমরা ঐ সাক্ষ্যসিন্দুকটার ব্যাপারে কোন খোঁজ খবর নিতে পারিনি|” 4 দায়ূদের সঙ্গে ইস্রায়েলের সমস্ত লোকরা এক মত হল এবং তারা সকলে ভাবল এটিই আমাদের করা উচিত্| 5 কিরিযত্-য়িযারীম থেকে সাক্ষ্যসিন্দুক ফিরিযে আনার জন্য মিশরে সীহোর নদী থেকে লেবো হমাত শহর পর্য়ন্ত ইস্রায়েলের সকলকে জড়ো করলেন| 6 তারপর দায়ূদ ও এই সমস্ত লোকরা মিলে যিহূদার বালা (অর্থাত্ কিরিযত্-য়িযারীমে) সাক্ষ্যসিন্দুক ফিরিযে আনতে গেলেন| ঐ সাক্ষ্যসিন্দুককে করূব দূতদের ঊর্দ্ধে যিনি বসেন সেই প্রভু ঈশ্বরের সিন্দুকও বলা হত| 7 সবাই মিলে সাক্ষ্যসিন্দুকখানা অবীনাদবের বাড়ি থেকে বের করে নতুন একটা ঠেলা গাড়িতে বসালেন| উষঃ আর অহিযো ঐ গাড়িকে পথ দেখাচ্ছিলেন| 8 দায়ূদ ও ইস্রায়েলের লোকরা বাঁশি, বীণা, ঢাক, খোল, কর্তাল, শিঙা বাজিযে ঈশ্বরের বন্দনা গান গেযে ঈশ্বরের সামনে উত্সব পালন করছিলেন| 9 কীদোনের শস্য মাড়াইযের উঠান পর্য়ন্ত আসার পর য়ে ষাঁড়গুলো গাড়ি টানছিল তারা হোঁচট খাওয়ায সাক্ষ্যসিন্দুকটা প্রায় পড়ে যাচ্ছিল, উষঃ কোনমতে হাত বাড়িযে সিন্দুকটাকে আটকালেন| 10 কিন্তু ঐ সিন্দুক স্পর্শ করার অপরাধে রুদ্ধ প্রভু ঘটনাস্থলেই উষের প্রাণ নিলেন| 11 এই ঘটনায দায়ূদ অত্যন্ত রুদ্ধ হন| তারপর থেকে ঐ জায়গা “পেরস-উষঃ” নামে পরিচিত| 12 ঈশ্বরের রোষে ভয় পেয়ে দায়ূদ বললেন, “আমি আর এই সাক্ষ্যসিন্দুক আমার কাছে নিতে পারব না!” 13 তাই দায়ূদ সাক্ষ্যসিন্দুকটি দায়ূদ নগরে নিজের কাছে না এনে গাতের ওবেদ-ইদোমের বাড়িতে রেখে এলেন| 14 সাক্ষ্যসিন্দুকটা তিন মাসের জন্য ওবেদ-ইদোমের বাড়িতে রাখা হয়েছিল| এজন্য ওবেদ-ইদোমের পরিবারের প্রতি এবং তার নিজের সব জিনিষের ওপর প্রভুর আশীর্বাদ বর্ষিত হয়|
1 সোরের রাজা হীরম, দায়ূদের জন্য একটি সুন্দর বাড়ি বানাতে চেয়ে তাঁর কাছে কাঠের গুঁড়ি এবং পাথর-কাটুরে ও ছুতোর মিস্ত্রি পাঠালেন| 2 দায়ূদ তখন উপলব্ধি করলেন য়ে প্রভু আসলে তাঁকে ইস্রায়েলের রাজা হিসেবে মনোনীত করেছেন| প্রভু দায়ূদের সাম্রাজ্য় সুবিশাল ও তার ভিত সুদৃঢ় করেছিলেন কারণ ঈশ্বর দায়ূদ ও ইস্রায়েলের লোকদের ভালবাসতেন| 3 দায়ূদ জেরুশালেম শহরে অনেককে বিয়ে করেন এবং তাঁর বহু পুত্রকন্যা হয়| 4 জেরুশালেমে দায়ূদের য়ে সমস্ত সন্তান জন্মগ্রহণ করেছিল তাদের নাম: শম্মূয, শোব্ব, নাথন, শলোমন, 5 য়িভর, ইলীশূয, ইল্পেলট, 6 নোগহ, নেফগ, যাফিয, 7 ইলীশামা, বীলিযাদা এবং ইলীফেলট| 8 পলেষ্টীয়রা যখন দায়ূদ সম্পর্কে জানতে পারল য়ে দায়ূদ ইস্রায়েলের রাজা হিসেবে মনোনীত হয়েছে, তারা তখন দায়ূদকে খুঁজতে বের হল| দায়ূদ পলেষ্টীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ যাত্রা করলেন| 9 পলেষ্টীয়রা রফাযীমের লোকদের আক্রমণ করে তাদের জিনিসপত্র অপহরণ করল| 10 দায়ূদ ঈশ্বরকে জিজ্ঞেস করলেন, “আমি কি পলেষ্টীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ যাত্রা করব? আপনি কি আমার সহায় হয়ে পলেষ্টীয়দের যুদ্ধে হারাতে সাহায্য করবেন?”প্রভু দায়ূদকে উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ যাও| আমি পলেষ্টীয়দের বিরুদ্ধে জয় লাভে তোমার সহায় হব|” 11 তখন দায়ূদ ও তাঁর লোকরা গিয়ে বাল্-পরাসীমে জড়ো হলেন এবং সেখানে তাঁরা পলেষ্টীয়দের যুদ্ধে পরাজিত করলেন| দায়ূদ বললেন, “বাঁধ ভাঙা জল য়েমন তোড়ে বেরিয়ে আসে ঈশ্বর সেই ভাবে আমার শএুদের ভেদ করেছেন| ঈশ্বর আমার সহায় ছিলেন বলেই এটা সম্ভব হল|” সেই কারণে ঐ জায়গার নাম ‘বাল্-পরাসীম’ রাখা হয়েছিল| 12 পলেষ্টীয়রা ওখানে ওদের আরাধ্য দেবদেবীর মূর্ত্তি ফেলে গিয়েছিল| দায়ূদ তাঁর লোকেদের সেই সমস্ত পুড়িয়ে দিতে নির্দেশ দিলেন| 13 পলেষ্টীয়রা রফাযিম উপত্যকার লোকদের আবার আক্রমণ করলে, 14 দায়ূদ ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলেন| ঈশ্বর সেই ডাকে সাড়া দিয়ে বললেন, “দায়ূদ, আক্রমণের সময় পলেষ্টীয়দের পিছু ধাওযা করে পাহাড়ে না গিয়ে চতুর্দিক থেকে ঘিরে গাছের আড়ালে লুকিয়ে থেকো| 15 তারপর গাছের ওপর কাউকে তুলে দিয়ে নজর রাখবে| য়েই পলেষ্টীয়দের পায়ের শব্দ শুনতে পাবে, তাদের আক্রমণ করবে| আমি, ঈশ্বর তোমাদের আগে বেরিয়ে যাব এবং পলেষ্টীয় সেনাদলকে পরাজিত করব|” 16 দায়ূদ হুবহু ঈশ্বরের নির্দেশ অনুযায়ীপথ অনুসরণ করে পলেষ্টীয় সেনাবাহিনীকে পরাজিত করলেন এবং গিবিয়োন শহর থেকে গেষর পর্য়ন্ত পলেষ্টীয় সেনাদের হত্যা করলেন| 17 এ ঘটনার পর দায়ূদের খ্যাতি সমস্ত দেশগুলিতে ছড়িয়ে পড়ল এবং প্রভু সমস্ত জাতিদের দায়ূদের পরাএমের ভয়ে ভীত করে তুললেন|
1 দায়ূদ নগরে নিজের জন্য প্রাসাদ বানানোর পর দায়ূদ সাক্ষ্যসিন্দুকটি রাখার জন্য একটি বিশেষ তাঁবু নির্মাণ করে বললেন, 2 “শুধুমাত্র লেবীয়রাই এই সাক্ষ্যসিন্দুকটা বয়ে নিয়ে য়েতে পারবে কারণ কেবলমাত্র প্রভু তাদেরই এই কাজের জন্য এবং চিরদিন তাঁর সেবার জন্য বেছে নিয়েছেন|” 3 সাক্ষ্যসিন্দুকটি রাখার জন্য য়ে জায়গাটি তৈরী হয়েছিল সেখানে সাক্ষ্যসিন্দুকটি আনবার জন্য দায়ূদ ইস্রায়েলের সমস্ত লোকদের জেরুশালেমে জড়ো হতে ডাক দিলেন| 4 এরপর দায়ূদ হারোণ ও লেবীয় বংশের সমস্ত উত্তরপুরুষদের ডেকে পাঠালেন| 5 এঁদের মধ্যে 120 জন ছিলেন কহাতের পরিবারগোষ্ঠীর সদস্য, ঊরীযেল তাঁদের নেতা| 6 মরারি পরিবারগোষ্ঠী থেকে অসাযের নেতৃত্বে এসেছিলেন 220 জন, 7 গের্শোন পরিবারগোষ্ঠী থেকে য়োয়েলের নেতৃত্বে 130 জন, 8 শময়িয়র নেতৃত্বে ইলীষাফণ পরিবারগোষ্ঠী থেকে 200 জন, 9 হিব্রোণ পরিবারগোষ্ঠী থেকে ইলীযেলের নেতৃত্বে 80 জন আর 10 অম্মীনাদবের নেতৃত্বে উষীযেল পরিবারগোষ্ঠী থেকে এসেছিলেন 112 জন ব্যক্তি| 11 এরপর দায়ূদ যাজক সাদোক আর অবিযাথর ছাড়াও, লেবীয়দের মধ্যে ঊরীযেল, অসায, য়োয়েল, শময়িয়, ইলীযেল ও অম্মীনাদবকে ডেকে পাঠিয়ে 12 তাঁদের বললেন, “তোমরা সকলেই লেবীয় পরিবারগোষ্ঠীর নেতা| তোমরা প্রথমে নিজেদের পবিত্র করে তারপর সাক্ষ্যসিন্দুকটা রাখার জন্য আমি য়ে জায়গা তৈরী করেছি সেখানে নিয়ে এস| 13 গতবার আমরা প্রভুর কাছে সাক্ষ্যসিন্দুকটা কি ভাবে নেওয়া হবে তা জিজ্ঞেসও করিনি এবং তোমরা লেবীয়রাও সাক্ষ্যসিন্দুকটা বহন কর নি| তাই প্রভু আমাদের শাস্তি দিয়েছিলেন|” 14 তখন যাজকগণ ও লেবীয়রা প্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বরের সাক্ষ্যসিন্দুকটা বহন করার জন্য নিজেদের পবিত্র করলেন| 15 এবং মোশি য়ে ভাবে ঈশ্বরের কথা অনুযায়ীসাক্ষ্যসিন্দুক বহন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ঠিক সেভাবেই লেবীয়রা বিশেষ ধরণের খুঁটি ব্যবহার করে কাঁধে করে সাক্ষ্যসিন্দুকটা বয়ে নিয়ে এলেন| 16 দায়ূদ লেবীয় নেতাদের সঙ্গে তাঁদের সতীর্থ গায়কদেরও ডেকে পাঠিয়ে বীণা, বাঁশি, খোল, কর্তাল, ভেঁপু বাজিযে আনন্দের গান গাইতে বললেন| 17 লেবীয়রা তখন য়োয়েলের পুত্র হেমন ও তার ভাই আসফ ও এথনকে নির্বাচিত করল| আসফ ছিল বেরিখিয়র পুত্র| এথন ছিল কূশাযার পুত্র| এই সব পুরুষরা ছিল মরারি পরিবারগোষ্ঠীর লোক| 18 তাদের সঙ্গে ছিল তাদের সাহায্যকারীরা, তাদের আত্মীয়স্বজন, সখরিয়, যাসীযেল, শমীরামোত্, য়িহীযেল, উন্নি, ইলীয়াব, বনায়, মাসেয, মত্তিথিয়, ইলীফলেহূ, মিক্নেয়, ওবেদ-ইদোম ও যিয়ীয়েল| এরা ছিল লেবীয় দ্বাররক্ষীগণ| 19 হেমন, আসফ আর এথন বাজালেন কর্তাল| 20 সখরিয়, অসীযেল, শমীরামোত্, য়িহীযেল, উন্নি, ইলীয়াব, মাসেয আর বনায় বাজালেন বীণা, 21 মত্তিথিয়, ইলীফলেহূ, মিক্নেয়, ওবেদ-ইদোম, যিয়ীয়েল আর অসসিয় নীচু সুরে বীণা বাজালেন| 22 লেবীয় নেতা কননিয ছিলেন গানের দায়িত্বে কারণ তিনি ছিলেন গানে পারদর্শী| 23 সাক্ষ্যসিন্দুকের জন্য দুই রক্ষী ছিলেন বেরিথিয আর ইল্কানা| 24 শবনিয়, য়িহোশাফট, নথলেন, অমাসয়, সখরিয়, বনায় আর ইলীযেষর যাজকেরা শিঙা বাজিযে সাক্ষ্যসিন্দুকের সামনে হাঁটতে লাগলেন| ওবেদ-ইদোম ও য়িহিযও সাক্ষ্যসিন্দুক পাহারা দেবার কাজে নিযুক্ত ছিলেন| 25 দায়ূদ, ইস্রায়েলের নেতৃবর্গ ও সেনাধ্যক্ষরা সকলে সাক্ষ্যসিন্দুকটা ওবেদ-ইদোমের বাড়ি থেকে আনতে গেলেন, সকলেই তখন উল্লসিত| 26 য়ে সমস্ত লেবীয়রা সাক্ষ্যসিন্দুক বহন করছিলেন ঈশ্বর অন্তরাল থেকে তাদের সহায় হলেন| সাতটা ষাঁড় ও মেষকে এই উপলক্ষ্যে উত্সর্গ করা হল| 27 য়ে সমস্ত লেবীয়রা সাক্ষ্যসিন্দুক বহন করেছিলেন তাঁরা সকলেই মিহি মসীনার তৈরী বিশেষ পরিচ্ছদ পরেছিলেন| কনানিয যিনি গানের এবং সমস্ত গায়কদের দায়িত্বে ছিলেন তিনি এবং দায়ূদও মিহি মসীনার তৈরী পোশাক পরেছিলেন| দায়ূদ মিহি মসীনার তৈরী এফোদও পরেছিলেন| 28 আনন্দে চিত্কার করতে করতে ভেড়ার শিঙা, তূরী-ভেরী বাজাতে বাজাতে, বীণা, বাদ্যযন্ত্র এবং খঞ্জনীর বাজনার সঙ্গে ইস্রায়েলের লোকরা সাক্ষ্য-সিন্দুকটা নিয়ে এলেন| 29 সাক্ষ্যসিন্দুকটা দায়ূদ নগরীতে এসে পৌঁছনোর পর দায়ূদ যখন নাচছিলেন এবং উদযাপন করছিলেন তখন শৌলের কন্যা মীখল একটা জানলা দিয়ে দেখছিল| দায়ূদের প্রতি তার যাবতীয় শ্রদ্ধা অন্তর্হিত হল কারণ সে ভাবল দায়ূদ বোকার মতো আচরণ করছে|
1 সাক্ষ্যসিন্দুকটা নিয়ে এসে লেবীয়রা সেটাকে দায়ূদের বানানো তাঁবুর মধ্যে রাখলেন| তারপর ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে হোমবলি ও মঙ্গল নৈবেদ্য উত্সর্গ করা হল| 2 দায়ূদের নৈবেদ্য অর্পণ করা শেষ হলে তিনি প্রভুর নামে সমস্ত লোকদের শুভেচ্ছা ও আশীর্বাদ জানালেন| 3 এরপর তিনি ইস্রায়েলের প্রত্যেক পুরুষ ও নারীকে একখানা করে গোটা পাঁউরুটি, কিছু খেজুর, কিস্মিস্ ও পিঠে বিতরণ করলেন| 4 সাক্ষ্যসিন্দুকের সামনে কাজকর্ম করবার জন্য দায়ূদ কিছু লেবীয়কে নিয়োগ করলেন| এই সমস্ত লেবীয়দের মূল কাজ ছিল প্রভুর স্তবগান ও প্রশংসা করা| 5 য়ে দলটি খঞ্জনী বাজাত, আসফ ছিল সেই দলটির নেতা| সখরিয় ছিলেন দ্বিতীয় দলটির নেতা| অন্যান্য লেবীয়রা ছিলেন যিয়ীয়েল, শমীরামোত্, য়িহীযেল, মত্তিথিয়, ইলীয়াব, বনায়, ওবেদ-ইদোম এবং যিয়ীয়েল| এদের কাজ ছিল বীণা এবং অন্য এক ধরণের তন্ত্রবাদ্য বাজানো| যাজক বনায় ও য়হসীযেল সাক্ষ্যসিন্দুকের সামনে শিঙা ও কাড়া-নাকাড়া বাজানোর দায়িত্ব পালন করতেন| সেই দিন দায়ূদ, আসফ ও তাঁর সতীর্থদের প্রভুর প্রশংসা ও কীর্তনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন| 6 7 8 প্রভুর প্রশংসা কর আর তার নাম নাও| তিনি য়ে সমস্ত মহান কাজ করেছেন সবাইকে সে কথা বলো| 9 প্রভুর উদ্দেশ্যে গান গাও| তাঁর প্রশংসা কর| তাঁর মহত্ কীর্তির কথা সবাইকে জানাও| 10 প্রভুর পবিত্র নাম করে গর্বিত হও| তোমরা যারা তাঁকে চাও তারা আনন্দিত হও! 11 প্রভুর দিকে এবং তাঁর শক্তির দিকে তাকাও| সর্বদা তাঁর সন্ধান কর| 12 তিনি য়ে সব অলৌকিক কাজ করেছেন সেই সব মনে রেখো| মনে রেখো তাঁর সমস্ত সিদ্ধান্ত আর তাঁর দ্বারা কৃত চমত্কার! 13 ইস্রায়েলের লোকরা, যাকোবের উত্তরপুরুষরা সকলেই প্রভুর দাস এবং প্রভুর মনোনীত লোক| 14 প্রভু আমাদের ঈশ্বর এবং তাঁর সিদ্ধান্ত সর্বত্র বিরাজমান| 15 সর্বদা তাঁর চুক্তি মনে রেখো| হাজার হাজার পুরুষ ধরে তাঁর আজ্ঞা মনে রেখো| 16 অব্রাহামের সঙ্গে তাঁর য়ে চুক্তি হয়েছিল সেটি এবং ইসহাককে করা তাঁর প্রতিশ্রুতি মনে রেখো| 17 যাকোবের জন্য প্রভু এটিকে একটি আইনস্বরূপ করে দিয়েছিলেন| ইস্রায়েলের সঙ্গে তিনি একটি চুক্তি করেছিলেন যা চিরস্থায়ী হবে| 18 প্রভু ইস্রায়েলকে বলেছিলেন: “কনানীযদের বাসভূমি আমি তোমাদেরই দেবো|” প্রতিশ্রুত ভূখণ্ডটি তোমাদের হবে|” 19 তখন জনসংখ্যা ছিল কম, মুষ্টিমেয কিছু লোক| 20 যাযাবরের মতো ঘুরে বেড়াতো দেশ থেকে দেশান্তরে| 21 কিন্তু প্রভু কাউকে তাদের আঘাত করতে দেননি এবং রাজাদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন য়েন তারা তাদের কোন ক্ষতি না করে| 22 এই সব রাজাদের প্রভু বলেছেন: “আমার মনোনীত লোকদের এবং ভাব্বাদীদের কেউ য়েন আঘাত না করে|” 23 সমস্ত ভুবন, প্রভুর বন্দনা করো| প্রভু কেমন করে আমাদের রক্ষা করেন সেই সুখবর প্রতিদিন বলো| 24 সমস্ত জাতিকে প্রভুর মহিমার কথা বলো| তাঁর অলৌকিক কীর্তির কথাও সবাইকে বলো| 25 প্রভু মহান এবং প্রশংসার যোগ্য| অন্য সমস্ত দেবতাদের থেকে তিনি শ্রদ্ধেয় ও ভীতিকর| 26 কেন? কারণ অন্য সমস্ত জাতির দেবদেবী শুধু মূল্যহীন পুতুলমাত্র| প্রভু বয়ং আকাশ বানিয়েছেন| 27 প্রভু মহিমাময এবং দীপ্তিমান| তিনি যেখানে থাকেন সেখানে শক্তি এবং আনন্দ বিরাজ করে| 28 সমস্ত লোক ও পরিবারগুলি প্রভুর মহিমা ও শক্তির প্রশংসা করো! 29 প্রভুর মহিমার গান গাও| তাঁর নামের মাহাত্ম্য কীর্তন করো| প্রভুর চরণে তোমাদের নৈবেদ্য উত্সর্গ করো| তাঁকে সুন্দর ও পবিত্র পোশাকে উপাসনা করো| 30 প্রভুর সামনে সমস্ত পৃথিবীর ভয়ে কম্পমান হওয়া উচিত্, কিন্তু ঈশ্বর পৃথিবীকে সুদৃঢ় করেছেন সুতরাং তা নড়বে না| 31 আকাশে এবং মাটিতে আনন্দ ধ্বনিত হোক; বিশ্ব-চরাচরে সবাই বলে উঠুক, “প্রভুই এই পৃথিবীর নিযামক|” 32 সমুদ্র এবং তার ভেতরের সব কিছুই আনন্দে চিত্কার করুক| মাঠগুলি এবং সেখানে যা কিছু আছে তারা আনন্দ প্রকাশ করুক| 33 আনন্দে মশগুল অরণ্যের বৃক্ষরাশি প্রভুর সামনে গান করবে! কেন? কারণ প্রভু আসছেন পৃথিবীর বিচার করতে| 34 প্রভুকে ধন্যবাদ দাও কারণ তিনি ভাল| তাঁর আশীর্বাদ ও করুণা চিরন্তন| 35 প্রভুকে বলো, “হে ঈশ্বর, আমাদের পরিত্রাতা আমাদের ঐক্যবদ্ধ কর| সমস্ত জাতির হাত থেকে আমাদের রক্ষা করো| তাহলে আমরা তোমার পবিত্র নামের প্রশংসা করতে পারবো| তোমার মহিমার প্রশংসা করতে পারবো|” 36 ইস্রায়েলের ঈশ্বর সর্বদা য়েভাবে প্রশংসিত হয়েছেন, চির দিন সে ভাবেই তাঁর প্রশংসা হোক|”সমস্ত লোক প্রভুর প্রশংসা করে সমবেত ভাবে বলে উঠলো, “আমেন!” 37 তারপর আসফ আর তাঁর ভাইদের দায়ূদ প্রতিদিন সাক্ষ্যসিন্দুকের সামনে সেবা করার জন্য রেখে গেলেন| 38 য়িদূথূনের পুত্র ওবেদ-ইদোম ও আরো 68 জন লেবীয়কেও দায়ূদ আসফের কাছে রেখে গেলেন| ওবেদ-ইদোম আর হোষা দুজনেই প্রহরী ছিলেন| 39 গিবিয়োনে প্রভুর তাঁবুতে বেদীর সামনে সেবা করার জন্য দায়ূদ সাদোক ও তাঁর সতীর্থ যাজকদের রেখে এসেছিলেন| 40 প্রতি দিন সকালে আর বিকেলে সাদোক ও অন্যান্য যাজকরা মিলে প্রভুর ইস্রায়েলকে দেওয়া বিধি-পুস্তক অনুসারে বেদীতে হোমবলি উত্সর্গ করতেন| 41 প্রভুর প্রশংসা গীত গাইবার জন্য হেমন, য়িদূথূন এবং অন্যান্য লেবীয়দের প্রত্যেকের নাম ধরে নির্বাচন করা হয়েছিল, কারণ তাঁর প্রেম চির প্রবহমান| 42 হেমন আর য়িদূথূনকে সকলের সঙ্গে খঞ্জনি এবং তূরী-ভেরী বাজাতে হত| ঈশ্বরের নাম বন্দনার সময়ে তাঁরা অন্যান্য বাদ্যযন্ত্রও বাজাতেন| য়িদূথূনের পুত্ররা তাঁবুর দরজায পাহারা দিতো| 43 এই সমস্ত উত্সবের পর প্রত্যেকে য়ে যার বাড়িতে ফিরে গেল| রাজা দায়ূদও তাঁর পরিবারকে আশীর্বাদ করতে নিজের প্রাসাদে ফিরে গেলেন|
1 প্রাসাদে ফিরে আসার পর দায়ূদ ভাব্বাদী নাথনকে বললেন, “আমি এরস কাঠের তৈরি রাজপ্রাসাদে বাস করি, কিন্তু সাক্ষ্যসিন্দুকটা পড়ে আছে তাঁবুতে| আমি ওটির জন্য একটা মন্দির বানাতে চাই|” 2 নাথন উত্তর দিলেন, “তুমি যা করতে চাও করো, ঈশ্বর বয়ং তোমার সহায়|” 3 সে দিন রাতে, ঈশ্বরের বার্তা নাথনের কাছে এলো| ঈশ্বর বললেন, “যাও আমার নাম করে আমার সেবক দায়ূদকে গিয়ে বলো: ‘দায়ূদ আমার মন্দির তুমি বানাবে না| 4 5 ইস্রায়েলীয়দের মিশর থেকে উদ্ধার করার পর থেকে এখন পর্য়ন্ত আমি কোন মন্দিরে বাস করি নি| আমি তাঁবু থেকে তাঁবুতে ঘুরে বেড়িযে অধিষ্ঠান করেছি, ইস্রায়েলীয়দের জন্য নেতা নির্বাচন করেছি| ঐ সমস্ত নেতারা আমার ভক্ত ও সেবকদের দিশারী হবে| এক তাঁবু থেকে আরেক তাঁবুতে বাস করার সময় আমি কখনো এই সব নেতাদের বলিনি, ‘তোমরা কেন আমার জন্য দামী কাঠের মন্দির বানাও নি?’ 6 7 “এখন আমার সেবক দায়ূদকে গিয়ে বলো: সর্বশক্তিমান প্রভু বলেছেন, ‘আমি তোমাকে মাঠ থেকে তুলে এনে মেষপালকের পরিবর্তে ইস্রায়েলে আমার ভক্তদের রাজা বানিয়েছি| 8 তুমি যখন যেখানে গিয়েছ আমি তোমার সহায় হয়ে, তোমার আগে আগে সেখানে গিয়ে তোমার শএুদের নিধন করেছি| এবার আমি তোমাকে পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা খ্যাতিমান ব্যক্তিদের একজনে পরিণত করব| 9 আমি এই জায়গা ইস্রায়েলীয়দের দিলাম| আমি ওদের এখানে বসালাম এবং ওরা এখানে বসবাস করবে| কেউ তাদের উত্যক্ত করবে না| দুষ্ট জাতিরাও আগের মতো তাদের আক্রমণ করবে না| 10 য়েদিন থেকে আমি আমার লোকদের নেতৃত্ব দেবার জন্য বিচারকদের নিযুক্ত করেছি, সেই দিন থেকে আমি তোমাদের শএুদের জয় করে চলেছি|“‘এবার, আমি তোমায় বলছি য়ে প্রভু তোমার জন্য একটি গৃহ নির্মাণ করবেন| 11 মৃত্যুর পর তুমি যখন তোমার পূর্বপুরুষদের সঙ্গে য়োগ দেবে আমি তোমার নিজের পুত্রকে নতুন রাজা করব এবং তার রাজত্ব সুদৃঢ় করব| 12 তোমার পুত্র আমার জন্য একটি মন্দির বানাবে আর আমি তোমার পুত্রের পরিবারকে আজীবন রাজত্ব করতে দেব| 13 তোমার আগে যিনি রাজা হিসাবে শাসন করতেন সেই শৌলের ওপর থেকে যদিও আমি আমার সমর্থন সরিয়ে নিয়েছিলাম কিন্তু তোমার পুত্রকে আমি সব সময়ই ভালবাসব| আমি হব তার পিতা এবং সে হবে আমার পুত্র| 14 তাকে চির জীবনের জন্য আমার মন্দির ও রাজত্বের ভার অর্পণ করব| আর তার শাসন চিরস্থায়ী হবে|”‘ 15 নাথন দায়ূদকে এই দর্শন এবং ঈশ্বর যা বলেছেন তা জানালেন| 16 রাজা দায়ূদ তখন পবিত্র তাঁবুতে গিয়ে প্রভুর সামনে বসে বললেন, “হে প্রভু ঈশ্বর, তুমি কোন অজ্ঞাত কারণে আমার ও আমার পরিবারের প্রতি বরাবর অসীম করুণা করে এসেছো|” 17 ঈশ্বর এটা কি তোমার কাছে এত ক্ষুদ্র, য়ে তুমি আমায় দূর ভবিষ্যতে আমার পরিবারের ভাগ্য বলবে? হে ঈশ্বর, তুমি কি আমাকে সামান্য লোকের চেয়ে বেশী কিছু দেখো? 18 তুমি আমার জন্য এতো করেছ আমি আর কি-ই বা বলতে পারি! তুমি তো জানোই আমি তোমার আজ্ঞাবহ দাসানুদাস মাত্র| 19 হে প্রভু, শুধু তোমার ইচ্ছাতেই আমার জীবনে এই সব মহত্ ঘটনা ঘটেছে| তুমি এ সমস্ত মহত্ ঘটনাকে জ্ঞাত করতে চেয়েছিলে| 20 এ জগতে তোমার মতো আর কেই বা আছে? তুমি ছাড়া অন্য কোন ঈশ্বর নেই| তুমি ছাড়া আর কোন দেবতা কখনো এতো বিস্মযকর ও মহান কাজ করেননি! 21 ইস্রায়েলই পৃথিবীতে এক মাত্র দেশ যার জন্য তুমি এত মহত্ ও শ্রদ্ধাপূর্ণ ভয়ের কাজকর্ম করেছ| তুমিই আমাদের মিশর থেকে উদ্ধার করে মুক্ত করেছ| নিজ গুণেই তুমি খ্যাতি অর্জন করেছ| তোমার ভক্তদের নেতৃত্ব দিয়ে তুমি বিজাতীযদের আমাদের জন্য তাদের নিজস্ব বাসভূমি ত্যাগ করতে বাধ্য করেছ| অন্য কোন লোকের ঈশ্বর এই রকম করেনি| 22 ইস্রায়েলীয়দের তুমি চির কালের জন্য তোমার লোক হিসেবে বেছে নিয়েছো| এবং তুমিই তাঁদের ঈশ্বর হয়েছো| 23 “হে প্রভু, তুমি আমার ও আমার পরিবারের কাছে য়ে প্রতিজ্ঞা করলে তা য়েন চির দিন তোমার স্মরণে থাকে| তুমি যা বললে তাই য়েন ঘটে| 24 তোমার নাম চির কালের জন্য বিশ্বাস ভাজন ও মহান হোক| লোকরা য়েন বলে, ‘সর্বশক্তিমান প্রভু হলেন ইস্রায়েলের ঈশ্বর!’ য়েন তোমার সেবক হিসাবে দায়ূদের গৃহ চির কালের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়| 25 “হে প্রভু, তুমি আমাকে, তোমার দাসকে বলেছ য়ে, আমার বংশকে তুমি রাজবংশে পরিণত করবে| তাই আমি এতো সাহস করে তোমার কাছে এই সমস্ত প্রার্থনা করতে পারছি| 26 হে প্রভু, তুমিই ঈশ্বর, তুমি তোমার নিজের কথা দিয়েই আমার জন্য এই সব জিনিষ করতে সম্মত হয়েছিলে| 27 প্রভু, তুমি দযা করে আমার পরিবারকে আশীর্বাদ করেছ এবং আমার কাছে প্রতিজ্ঞা করেছ য়ে আমার পরিবার তোমায় সেবা করে চলবে| প্রভু য়েহেতু তুমি বয়ং আমার পরিবারকে আশীর্বাদ করেছ তারা চির কালই তোমার আশীর্বাদ-ধন্য থাকবে|”
1 দায়ূদ পলেষ্টীয়দের আক্রমণ করে তাদের যুদ্ধে পরাজিত করেন এবং পলেষ্টীয়দের কাছ থেকে গাত্ ও তার পার্শ্ববর্তী ছোটখাটো শহরগুলি দখল করে নিয়ে নেন| 2 এরপর তিনি মোয়াবীয়দের হারিয়ে তাদের নিজের বশ্যতা স্বীকার করতে বাধ্য করান| মোয়াবীয়রা দায়ূদের জন্য নিয়মিত উপঢৌকন পাঠাতো| 3 সোবার রাজা হদরেষরের সেনাবাহিনীর সঙ্গেও দায়ূদ যুদ্ধ করেন| হদরেষর ফরাত্ নদী পর্য়ন্ত তার রাজত্ব বিস্তারের চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু দায়ূদ তার সেনাবাহিনীকে হমাত পর্য়ন্ত পিছু হঠতে বাধ্য করেছিলেন| 4 তিনি হদরেষরের কাছ থেকে 7,000 রথের সারথী সহ 1,000 রথ, 20,000 সৈনিক আদায করা ছাড়াও হদরেষরের অধিকাংশ রথ নষ্ট করে দিয়েছিলেন| শুধুমাত্র 100 রথ তিনি অবশিষ্ট রেখেছিলেন| 5 অরামীয়রা দম্মেশক থেকে সোবার রাজা হদরেষরকে সাহায্য করতে এলে দায়ূদ তাদেরও পরাজিত করেন এবং 22,000 অরামীয় সেনাকে হত্যা করেন| 6 এরপর দায়ূদ অরামের দম্মেশকে দুর্গ বানান| অরামীয়রা তাঁর বশ্যতা স্বীকার করে তাঁর জন্য উপঢৌকন আনতে শুরু করে| প্রভু দায়ূদকে সর্বত্র বিজয়ী করেছিলেন| 7 হদরেষরের সেনাবাহিনীর থেকে সোনার ঢালগুলি দায়ূদ জেরুশালেমে এনেছিলেন| 8 টিভত্ ও কূন শহর থেকে তিনি প্রচুর পরিমাণে পিতলও এনেছিলেন| এই শহরগুলি ছিল হদরেষরের অধিকারে| পরবর্তীকালে, শলোমন এই সমস্ত পিতল মন্দিরের জন্য পিতলের জলাধার, পিতলের থামসমূহ এবং পিতলের অন্যান্য জিনিষ বানাবার কাজে ব্যবহার করেছিলেন| 9 হমাতের রাজা তযূ যখন খবর পেলেন, দায়ূদ সোবার রাজা হদরেষরের সেনাবাহিনীকে পরাজিত করেছেন, 10 তখন তিনি তাঁর পুত্র হদোরামকে দিয়ে সন্ধিপ্রস্তাব করে দায়ূদের কাছে আশীর্বাদ নিতে পাঠালেন য়েহেতু দায়ূদ হদরেষরকে পরাজিত করেছিলেন| হদরেষর তযূর সঙ্গে যুদ্ধ করছিলেন| দায়ূদ, হদরেষরকে পরাজিত করায তযূ হদোরামের হাত দিয়ে সোনা, রূপো ও পিতলের বহু মূল্যবান সামগ্রী পাঠিয়েছিলেন| 11 ইদোম, মোযাব, অম্মোন, অমালেক এবং পলেষ্টীয় থেকে দায়ূদ য়ে সোনা, রূপো এবং পিতলের জিনিষপত্র পেয়েছিলেন তা দিয়ে তিনিও একই কাজ করলেন| তিনি এগুলি প্রভুর উদ্দেশ্যে নিবেদন করলেন| 12 লবণ উপত্যকায সরূযার পুত্র অবীশয় 18,000 ইদোমীয়কে হত্যা করে 13 অবীশয় ইদোমে এক সৈন্যবাহিনীর দলও বসাল এবং ইদোমীয়রা দায়ূদের বশ্যতা স্বীকার করে| প্রভু দায়ূদকে সর্বত্রই বিজয়ী করেছিলেন| 14 সমস্ত ইস্রায়েলের শাসক দায়ূদ তাঁর সমস্ত প্রজাদের প্রতি ন্যায় ও সম বিচার নিয়ে ইস্রায়েল শাসন করেন| 15 তাঁর সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন সরূযার পুত্র য়োয়াব| অহীলূদের পুত্র য়িহোশাফট দায়ূদের সমস্ত কার্য়কলাপ লিপিবদ্ধ করে গিয়েছেন| 16 অহীটূবের পুত্র সাদোক আর অবিযাথরের পুত্র অবীমেলক যাজক ছিলেন| শব্শ ছিলেন লেখক| 17 যিহোয়াদার পুত্র বনায়ের দায়িত্ব ছিল করেথীয ও পলেথীযদের পরিচালনা করা| দায়ূদের পুত্ররাও গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন এবং পিতার পাশে থেকে রাজকার্য়ে সহায়তা করতেন|
1 অম্মোনীয়দের রাজা নাহশের মৃত্যু হলে তাঁর জায়গায় তাঁর পুত্র হানূন রাজা হলেন| 2 দায়ূদ তখন বললেন, “নাহশের সঙ্গে আমার বন্ধুর সম্পর্ক ছিল, এই শোকের সময় তাঁর পুত্র হানূনকে আমার সহানুভূতি দেখানো কর্তব্য|” এই বলে তিনি অম্মোনে হানূনকে সমবেদনা জানাতে বার্তাবাহক পাঠালেন| 3 কিন্তু অম্মোনীয় নেতারা নতুন রাজাকে কুমন্ত্রণা দিয়ে বললেন, “মোটেই ভাববেন না য়ে দায়ূদ সহানুভূতি জানানোর জন্য এই সব লোকদের পাঠিয়েছে| এরা আসলে দায়ূদের গুপ্তচর| দায়ূদ আপনার রাজ্য় ধ্বংস করতে চায় তাই আপনার ও আপনার রাজত্বের গোপন খবর সংগ্রহ করতে এদের পাঠিয়েছে|” 4 হানূন তখন দায়ূদের কর্মচারীদের গ্রেপ্তার করে তাদের দাড়ি কেটে পরণের পোশাক ছিঁড়ে তাদের ফেরত পাঠিয়ে দিলেন| 5 দায়ূদের কর্মচারীরা এভাবে ঘরে ফিরতে খুবই লজ্জা পাচ্ছিলেন| কয়েকজন গিয়ে দায়ূদকে তাঁর কর্মচারীদের দুর্গতির কথা জানালে তিনি খবর পাঠালেন, “দাড়ি আবার বড় না হওয়া পর্য়ন্ত তোমরা য়িরীহোতে থাকো| দাড়ি বড় হবার পর ঘরে ফিরে এসো|” 6 অম্মোনীয়রা বুঝলেন য়ে তাঁরা নিজ দোষে নিজেদের দায়ূদের ঘৃণিত শএুতে পরিণত করেছেন| হানূন ও অম্মোনীয়রা তখন 75,000 পাউণ্ড রূপো মূল্যস্বরূপ দিলেন এবং মেসোপটেমিযা, মাখার শহরগুলি ও অরামের সোবা থেকে রথ আর তার জন্য সারথী ভাড়া করে আনলেন| 7 অম্মোনীয়রা 32,000 রথ আনলেন, এছাড়াও তাঁরা অর্থের বিনিময়ে মাখার রাজার সেনাবাহিনীর সাহায্য চাইলেন| মাখার রাজা আর তাঁর সৈন্যসামন্ত এসে মেদবা শহরের কাছে শিবির গেড়ে বসল| আম্মোনীযরাও শহর থেকে বেরিয়ে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে লাগল| 8 দায়ূদ খবর পেলেন অম্মোনীয়রা যুদ্ধের তোড়জোড় করছে| তিনি তখন অম্মোনীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য সেনাপতি য়োয়াবের নেতৃত্বে ইস্রায়েলের সমগ্র সেনাবাহিনী পাঠালেন| 9 তখন অম্মোনীয়রা যুদ্ধের জন্য তৈরী হয়ে শহরের সিংহ দরজা পর্য়ন্ত এলেন| কিন্তু রাজারা যুদ্ধক্ষেত্রে যাননি এবং নিজেরা মাঠে রযে গিয়েছিলেন| 10 য়োয়াব দেখলেন তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য সামনে ও পেছনে সশস্ত্র দুদল সেনাবাহিনী প্রস্তুত হয়ে আছে| য়োয়াব তখন ইস্রায়েলের কিছু সেরা সৈনিককে বেছে নিয়ে তাদের অরামের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পাঠালেন| 11 আর বাদবাকি সৈনিকদের তাঁর ভাই অবীশযের নেতৃত্বে অম্মোনীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পাঠালেন| 12 য়োয়াব অবীশয়কে বললেন, “অরামের সেনারা যদি আমার পক্ষে বেশি শক্তিশালী হয় তো তুমি আমায় সাহায্য করতে এসো| আর যদি ওরা তোমার চেয়ে বেশি শক্তিশালী হয় তো আমি তোমায় সাহায্য করব! 13 চলো এবার বীরত্ব ও সাহসের সঙ্গে আমাদের ঈশ্বরের শহরগুলোর জন্য ও আমাদের দেশের লোকদের জন্য ওদের ওপর ঝাঁপিযে পড়ি| তারপর তো সবই প্রভুর ইচ্ছে!” 14 এই না বলে, য়োয়াব অরামীয় সেনাবাহিনীর ওপর ঝাঁপিযে পড়লেন| অরামীয় সেনারা তখন পালাতে শুরু করল| 15 আর অম্মোনীয় সেনারা যখন তাদের পালাতে দেখল, তখন তারা নিজেরাও অবীশয় আর তাঁর সেনাবাহিনীর হাত থেকে প্রাণ বাঁচানোর জন্য পালাতে শুরু করল| অম্মোনীয়রা নিজেদের শহরে আর য়োয়াব জেরুশালেমে ফিরে গেলেন| 16 অরামীয় নেতারা, তাঁরা ইস্রায়েলীয়দের কাছে হেরে গিয়েছেন দেখে ফরাত্ নদীর পূর্বদিকের অরামীয়দের কাছে সাহায্য চেয়ে দূত পাঠালেন| শোফক ছিলেন অরামের রাজা হদরেষরের সেনাবাহিনীর সেনাপতি| শোফক অন্য অরামীয় বাহিনীরও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন| 17 দায়ূদ যখন অরামের সেনাবাহিনীদের যুদ্ধের জন্য একত্র হবার খবর পেলেন, তিনিও ইস্রায়েলের লোকদের একত্র করে তাদের যর্দন নদীর ওপারে পাঠিয়ে দিলেন এবং অরামীয় সেনাবাহিনীর মুখোমুখি হয়ে তাদের আক্রমণ করলেন| 18 তারা প্রাণ বাঁচাতে পালাতে শুরু করল| দায়ূদ ও তাঁর সেনাবাহিনী 7,000 অরামীয় সারথী, 40,000 অরামীয় সেনা ও অরামীয়দের সেনাপতি শোফককে হত্যা করলেন| 19 হদরেষরের পদস্থ রাজকর্মচারীরা যখন দেখলেন তাঁরা ইস্রায়েলের হাতে পরাজিত হয়েছেন তাঁরা তখন দায়ূদের সঙ্গে সন্ধি স্থাপন করে তাঁর বশ্যতা স্বীকার করলেন এবং অম্মোনীয়দের আর কখনও সাহায্য না করতে স্বীকৃত হলেন|
1 বসন্তের সময় য়োয়াবের নেতৃত্বে ইস্রায়েলের সেনাবাহিনী আবার যুদ্ধ করতে বেরোল| সচরাচর এসময়ই রাজা-মহারাজারা যুদ্ধযাত্রা করলেও দায়ূদ কিন্তু জেরুশালেমেই থাকলেন| ইস্রায়েলীয় সেনাবাহিনী অম্মোনে গিয়ে অম্মোন ধ্বংস করে রব্বা শহর চারপাশ থেকে অবরোধ করে সেখানে শিবির গাড়লো| এই ভাবে রব্বা অবরোধ করে শেষ পর্য়ন্ত য়োয়াবের নেতৃত্বে ইস্রায়েলীয় বাহিনী যুদ্ধ করে রব্বাও ধ্বংস করল| 2 দায়ূদ এসে তাদের রাজার মাথা থেকে মুকুট খুলে নিলেন| মুকুটের ওজন ছিল প্রায় 75 পাউণ্ড এবং এটি ছিল বহুমূল্য পাথর খচিত ও সোনার তৈরী| এবং সেই মুকুটটি দায়ূদের মাথায় পরানো হল, তবে তিনিও রব্বা থেকে আরো অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে এলেন| 3 দায়ূদ রব্বার লোকদের ও অম্মোন শহরের বাসিন্দাদের নিয়ে এলেন এবং তাদের করাত, গাঁইতি আর কুঠার দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করে,আবার জেরুশালেমে ফিরে গেলেন| 4 পরবর্তী কালে, পলেষ্টীয়দের সঙ্গে গেষর শহরে ইস্রায়েলীয়দের যুদ্ধ হয়| সে সময়ে, হূশার সিব্বখয সিপপয নামে এক দানব সন্তানকে হত্যা করল| তাই পলেষ্টীয়রা ইস্রায়েলের কাছে নিজেদের সমর্পণ করল| 5 আর একবার পলেষ্টীয়দের সঙ্গে ইস্রায়েলীয়দের যখন যুদ্ধ হচ্ছিল, যাযীরের পুত্র ইল্হানন লহমিকে হত্যা করেন, যদিও লহমির হাতে একটি বিশাল ও তীক্ষ্ণ বর্শা ছিল| লহমি ছিল গলিযাতের ভাই| গলিযাত ছিল গাতের লোক| 6 এরপর গাতে ইস্রায়েলীয়দের সঙ্গে পলেষ্টীয়দের আবার যুদ্ধ হয়| সে সময় গাতে এক ব্যক্তি বাস করত; তার প্রতি হাতে-পায়ে ছ’টি করে মোট 24টা আঙুল ছিল| দানবের পুত্র ছিল বলে সে এক বিশাল আকার পুরুষ ছিল| 7 ইস্রায়েলকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করার অপরাধে দায়ূদের ভাই শিমিযর পুত্র য়োনাথন তাকে হত্যা করে| 8 এই পলেষ্টীয়রা ছিল গাতের দানবদের সন্তান| দায়ূদ ও তাঁর লোকরা এই সমস্ত দানবদের হত্যা করেছিলেন|
1 শয়তান ইস্রায়েলের লোকদের বিপক্ষে ছিল| তার প্ররোচনায় পা দিয়ে দায়ূদ ইস্রায়েলে আদমশুমারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন| 2 তিনি য়োয়াব ও ইস্রায়েলের নেতাদের ডেকে বললেন, “যাও বের্-শেবা থেকে দান পর্য়ন্ত সমগ্র ইস্রায়েলের জনসংখ্যা গণনা করে আমাকে জানাও| আমি যাতে বুঝতে পারি এদেশে মোট কত জন বাস করে|” 3 কিন্তু য়োয়াব উত্তর দিলেন, “প্রভু তাঁর লোকদের শতগুণ বাড়িযে চলুন! মহারাজ, ইস্রায়েলের সমস্ত বাসিন্দাই তো আপনার অনুগত ভৃত্য| কেন আপনি এই কাজ করতে চাইছেন? আপনি সমস্ত ইস্রায়েলীয়দের পাপের ভাগী করবেন|” 4 কিন্তু রাজা দায়ূদ তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় য়োয়াব তাঁর আদেশ মানতে বাধ্য হলেন| তিনি সমগ্র ইস্রায়েলে ঘুরে ঘুরে জনসংখ্যা গুনে আবার জেরুশালেমে ফিরে খবর দিলেন য়ে 5 ইস্রায়েলে মোট 11,00,000 লোক আছে যারা তরবারির ব্যবহার জানে| আর যিহূদায় এই ধরণের লোকের সংখ্যা 4,70,000| 6 রাজা দায়ূদের নির্দেশ মনঃপুত না হওয়ায য়োয়াব লেবি ও বিন্যামীন পরিবারের বংশধরদের জনসংখ্যা গণনা করেন নি| 7 ঈশ্বরের দৃষ্টিতে দায়ূদ একটি খারাপ কাজ করেছিলেন| তাই প্রভু ইস্রায়েলকে শাস্তি দিলেন| 8 দায়ূদ তারপর ঈশ্বরকে বললেন, “আমি মূর্খের মতো জনসংখ্যা গণনা করে গুরুতর পাপ করেছি| এখন আমি তোমায় অনুনয় করছি, তুমি আমায়, তোমার দাসকে এই পাপ থেকে মুক্ত কর|” 9 প্রভু তখন দায়ূদের ভাব্বাদী গাদকে বললেন, “যাও দায়ূদকে গিয়ে বল: ‘প্রভু এই কথা বলেছেন: তোমাকে শাস্তি দেবার জন্য আমি তিনটে উপায়ের কথা ভেবেছি| তুমি য়ে ভাবে বলবে সে ভাবেই আমি তোমায় শাস্তি দেব|”‘ 10 11 তখন, গাদ নির্দেশ মত দায়ূদকে গিয়ে বললেন, “প্রভু বলেছেন, ‘তোমায় শাস্তি দেবার জন্য তিনটি পথের কথা আমি ভেবেছি| প্রথমটি হল- তিন বছর দেশে দুর্ভিক্ষ হবে| দ্বিতীয়টি হল- যারা তরবারি নিয়ে তাড়া করবে সেই সব শএুদের কাছ থেকে তোমায় তিনমাস ধরে পালিয়ে বেড়াতে হবে| আর তৃতীয়টি হল- তিন দিন তোমাকে প্রভুর হাতে শাস্তি ভোগ করতে হবে| মহামারীতে দেশ ছেযে যাবে| প্রভুর দূতরা ইস্রায়েলের ঘরে ঘরে লোকদের প্রাণ নেবে|’ এবার তুমি বল আমি প্রভুকে কি জানাব|” 12 13 দায়ূদ গাদকে বললেন, “হায! কি বিপদে পড়েছি! আমি কি ভাবে শাস্তি পাবো তা ঠিক করার ভার আমি অন্যদের হাতে দিতে চাই না| প্রভু করুণাময, তিনিই আমায় যথাযোগ্য শাস্তি দেবেন|” 14 অতঃপর প্রভু ইস্রায়েলে মহামারী পাঠালেন, তাতে 70,000 লোকের মৃত্যু হল| 15 প্রভু জেরুশালেমকে ধ্বংস করতে এক জন দেবদূতও পাঠালেন| কিন্তু সে যখন জেরুশালেম ধ্বংস করতে শুরু করল তখন প্রভুর করুণা হল| যিবূষীয় অর্ণানের শস্য মাড়াইযের উঠানের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা সেই দূতকে প্রভু বললেন, “আর নয় থাক! য়থেষ্ট হয়েছে|” 16 দায়ূদ ও নেতারা ওপরে তাকিযে, জেরুশালেমের ওপর প্রভুর তরবারি হাতে প্রভুর সেই দূতকে দেখতে পেলেন| তখন তারা শোকের পোশাক পরে আভূমি নত হলেন| 17 দায়ূদ ঈশ্বরকে বললেন, “আমি জনসংখ্যা গণনা করতে বলে পাপ করেছি| আমিই পাপাত্মা| ইস্রায়েলের লোকরা তো নিরপরাধ| প্রভু আমার ঈশ্বর, মহামারীতে ওদের প্রাণ না নিয়ে তুমি আমায় আর আমার পরিবারকে শাস্তি দাও|” 18 তখন প্রভুর দূত গাদকে বললেন, “দায়ূদকে যিবূষীয় অর্ণানের খামারের কাছে প্রভুর উপাসনার জন্য একটা বেদী নির্মাণ করতে বলো|” 19 গাদ দায়ূদকে একথা জানালে তিনি অর্ণানের খামারে গেলেন| 20 অর্ণান তখন গম ঝাড়াই করছিল| সে পেছন ফিরে দূতকে দেখতে পেল| অর্ণানের চার পুত্র ভয়ে লুকিয়ে পড়লো| 21 দায়ূদ বয়ং হেঁটে হেঁটে টিলার ওপরে অর্ণানের কাছে গেলেন| তাঁকে দেখতে পেয়ে খামার ছেড়ে এসে অর্ণান তাঁর সামনে আভূমি নত হলেন| 22 দায়ূদ বললেন, “তোমার খামার বাড়িটা আমায় বেচে দাও| যা দাম লাগে আমি দেব| তারপর আমি এখানে প্রভুর উপাসনার জন্য একটি বেদী বানাব| তাহলে এই মহামারী বন্ধ হবে|” 23 অর্ণান দায়ূদকে বলল, “আপনিই আমার রাজা ও প্রভু| আপনার যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আপনি অবশ্যই আমার শস্য মাড়াই এর ক্ষেত্রটা নিতে পারেন| এছাড়াও আমি হোমবলির জন্য আপনাকে ষাঁড় আর গম দিচ্ছি এবং মযদা শস্য নৈবেদ্যর জন্য আপনার যা কিছু দরকার সবই আপনাকে দেব|” 24 কিন্তু রাজা দায়ূদ উত্তর দিলেন, “না, তা সম্ভব নয়| আমি তোমার থেকে বিনা মূল্যে কিছু নিয়ে তা প্রভুকে দিতে পারব না| আমি ঈশ্বরকে এমন কিছুই দেব না যার জন্য আমায় দাম দিতে হবে না| তোমাকে আমি এ সব কিছুর পুরো দাম দেব|” 25 তখুনি তিনি অর্ণানকে জায়গাটির জন্য প্রায় 15 পাউণ্ড সোনা দিলেন| 26 তারপর দায়ূদ সেই শস্য মাড়াইযের জায়গায় প্রভুর উপাসনার জন্য বেদী বানালেন| সেই বেদীতে হোমবলি ও মঙ্গল নৈবেদ্য দিয়ে দায়ূদ প্রভুর কাছে প্রার্থনা করলেন| প্রভু আকাশ থেকে বেদীতে অগ্নিশিখা পাঠিয়ে সেই ডাকে সাড়া দিলেন| 27 তারপর প্রভু তাঁর দেবদূতকে উন্মুক্ত তরবারী কোষবদ্ধ করতে আদেশ দিলেন| 28 দায়ূদ দেখলেন, অর্ণানের খামার বাড়িতে প্রভু তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েছেন| তিনি সেখানেই প্রভুর উদ্দেশ্যে বলিদান উত্সর্গ করলেন| 29 পবিত্র তাঁবু এবং হোমবলি অর্পণের বেদীটি ছিল গিবিয়োন শহরে একটি উঁচু জায়গায়| ইস্রায়েলের বাসিন্দারা যখন মরুভূমিতে ঘুরছিলেন তখন মোশি এই পবিত্র তাঁবু বানিয়ে ছিলেন| 30 কিন্তু দায়ূদ ঈশ্বরের দূতের তরবারীর ভয়ে পবিত্র তাঁবুতে ঈশ্বরের সঙ্গে কথা বলতে যাননি|
1 দায়ূদ বললেন, “প্রভু ঈশ্বরের মন্দির ও ইস্রায়েলের লোকদের জন্য বেদী এখানেই বানানো হবে|” 2 দায়ূদ ইস্রায়েলে বসবাসকারী সমস্ত বিদেশীদের এক জায়গায় জড়ো হতে নির্দেশ দিলেন| তারপর তিনি তাদের মধ্যে থেকে পাথর-কাটুরেদের বেছে নিলেন| এদের কাজ ছিল, ঈশ্বরের য়ে মন্দির হবে তার জন্য তখন থেকেই পাথর কেটে রাখা| 3 পেরেক ও দরজার কবতৃা বানানোর জন্য দায়ূদ লোহা আনালেন এবং এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে পিতল সংগ্রহ করলেন| 4 অজস্র এরস কাঠের গুঁড়িও আনা হল| সীদোন ও সোরীযের বাসিন্দারা অনেক অনেক দামী কাঠের গুঁড়ি এনে দিয়েছিল| 5 দায়ূদ বললেন, “আমরা প্রভুর জন্য সুবিশাল একটা মন্দির বানাতে চলেছি| কিন্তু আমার পুত্র শলোমনের বয়স এখনও কম| এসম্পর্কে উপযুক্ত জ্ঞান তার হয়নি| প্রভুর এই সুবিশাল মন্দিরের খ্যাতি তার সৌন্দর্য়্য়ের কারণে পৃথিবীর দেশে দেশে যাতে ছড়িয়ে পড়ে সে কারণে আমি সেই মন্দিরের নকশা ও পরিকল্পনা করে যাচ্ছি|” কথা মতো তাঁর মৃত্যুর আগেই দায়ূদ মন্দিরের জন্য অনেক পরিকল্পনা ও নকশা করে গিয়েছিলেন| 6 দায়ূদ তাঁর পুত্র শলোমনকে ডেকে প্রভু ইস্রায়েলের ঈশ্বরের মন্দির বানানোর নির্দেশ দিয়ে বললেন, 7 “শলোমন, আমি প্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বরের জন্য একটা মন্দির বানাতে চেয়েছিলাম| 8 কিন্তু প্রভু আমাকে জানালেন, ‘দায়ূদ তুমি অনেক যুদ্ধ করেছ| বহু ব্যক্তির রক্তে ঐ হাত রঞ্জিত করেছ| তাই আমার নামে তুমি কোন মন্দির বানাতে পারবে না| 9 কিন্তু তোমার এক পুত্র হবে শান্তির ধারক ও বাহক| তাকে আমি একটি শান্তিপূর্ণ জীবন দেব এবং তার আশেপাশের শএুরা যাতে তাকে উত্যক্ত না করে দেখব| 10 তার নাম শলোমন এবং তার শাসনকালে আমি ইস্রায়েলকে শান্তি দেব| আমি তাকে সন্তান-জ্ঞানে পালন করব এবং তার রাজ্য়কে সুদৃঢ় করব| তার পরিবারের কেউ না কেউ আজীবন ইস্রায়েলে শাসন করবে|”‘ 11 দায়ূদ শলোমনকে আরো বললেন, “প্রভু তোমার সহায় হোন, যাতে তুমি তাঁর কথা মতোই তোমার প্রভু ঈশ্বরের জন্য এই মন্দির বানাতে সফল হতে পারো|” 12 প্রভু তোমায় ইস্রায়েলের রাজা করবেন| রাজ্য় পরিচালনা এবং প্রভু তোমার ঈশ্বরের বিধি ও অনুশাসন অনুসরণ করার মতো জ্ঞান-বুদ্ধি ও বিচার বিবেচনাও য়েন তোমাকে দেন| 13 প্রভু প্রদত্ত মোশির বিধি অনুসরণ করে সতর্ক ভাবে জীবন কাটালে তুমি অবশ্যই সফল হবে| ভয়ের কোন কারণ নেই| সাহসে ভর করে বীরপুরুষের মতো জীবনযাপন করো|” 14 “শোনো শলোমন, প্রভুর মন্দির বানানোর পরিকল্পনার জন্য আমি বহু পরিশ্রম করেছি| আমি 3,750 টন সোনা আর 37,500 টন রূপো ছাড়াও য়ে পরিমাণ লোহা আর পিতল জমিযেছি তা ওজন করা প্রায় অসম্ভব! আর আছে অজস্র কাঠ এবং পাথর| শলোমন, এই সব কিছুই তুমি বাড়াতে পার| 15 সুদক্ষ ছুতোর আর পাথর-কাটুরে ছাড়াও সব রকম কাজে দক্ষ কারিগর আর মিস্ত্রিও তোমার আছে| 16 সোনা, রূপো, লোহা, পিতলের কাজ জানা অসংখ্য় কারিগর তুমি পাবে| এবার তোমার কাজ শুরু কর| প্রভু তোমার সহায় হোন|” 17 তারপর দায়ূদ ইস্রায়েলের সমস্ত নেতাদের তাঁর পুত্র শলোমনকে সাহায্য করার নির্দেশ দিয়ে বললেন, 18 “এখন বয়ং ঈশ্বর তোমাদের সহায়| তিনি আপনাদের শান্তির সময় দিয়েছেন, চারপাশের বহিঃশএুদের পরাজিত করতে আমায় সাহায্য করেছেন| প্রভু ও তাঁর লোকরা এখন এই দেশকে নিয়ন্ত্রণ করছেন| 19 এখন প্রভুকে সমস্ত মন-প্রাণ ঢেলে দাও এবং তিনি যা বলেন তাই কর| তাঁর উপযুক্ত করে মন্দির বানানোর কাজে আত্মনিয়োগ কর| তাঁর নামে মন্দির বানিয়ে সাক্ষ্যসিন্দুক ও আর যা কিছু পবিত্র জিনিস আছে মন্দিরে নিয়ে এসো|”
1 রাজা দায়ূদের বয়স হওয়ায তিনি তাঁর পুত্র শলোমনকে ইস্রায়েলের রাজপদে অধিষ্ঠিত করে 2 ইস্রায়েলের সমস্ত নেতা, যাজক ও লেবীয়দের ডেকে পাঠালেন| 3 তিনি গুনে দেখলেন 30 বছরের বেশি বয়স্ক লেবীয়দের সর্বমোট সংখ্যা 38,000 জন| 4 দায়ূদ আদেশ দিলেন, “24,000 জন লেবীয় প্রভুর মন্দির বানানোর কাজের তত্ত্বাবধান করবে| 6,000 লেবীয় আধিকারিক ও বিচারকের কাজ করবে| 5 4,000 লেবীয় দ্বাররক্ষী হবে| এবং আরো 4,000 জন গায়ক হিসেবে কাজ করবে| আমি এদের জন্য য়ে বিশেষ বাদ্যযন্ত্র বানিয়েছি তাই দিয়ে তারা প্রভুর প্রশংসা গীত গাইবে|” 6 দায়ূদ গের্শোন, কহাত্ ও মরারি লেবির পুত্রদের পরিবারগোষ্ঠী অনুসারে তিন ভাগে ভাগ করলেন| 7 গের্শোন পরিবারগোষ্ঠী থেকে ছিলেন লাদন আর শিমিযি| 8 লাদনের তিন পুত্রের নাম যথাএমে য়িহীযেল, সেথম ও য়োয়েল| 9 আর লাদন পরিবারের নেতা শিমিযির তিন পুত্রের নাম শলোমোত্, হসীযেল ও হারণ| 10 শিমিযির চার পুত্রের নাম যথাএমে য়হত্, সীন, য়িযূশ ও বরীয| 11 য়হত্ ছিল প্রধান এবং সীষ ছিল দ্বিতীয়| কিন্তু য়িযূশ আর বরীযর বেশী পুত্রকন্যা ছিল না বলে তাদের এক পরিবারভুক্ত হিসেবে গণনা করা হয়| 12 কহাতের চার পুত্রের নাম অম্রাম, য়িষ্হর, হিব্রোণ ও উষীযেল| 13 অম্রামের পুত্রদের নাম ছিল হারোণ আর মোশি| হারোণ এবং তাঁর উত্তরপুরুষদের বরাবরের জন্য বিশিষ্ট জন হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল| তাঁরা প্রভুর যাবতীয় পূজো-অর্চনা ও ভজনার কাজ সম্পাদন করতেন, প্রভুর সামনে ধুপধূনো দিতেন ও যাজকের কাজও করতেন| প্রভুর নামে লোকদের আশীর্বাদ করবার মর্য়াদাও তাঁদের দেওয়া হয়েছিল| 14 মোশি ছিলেন ঈশ্বরের লোক| 15 তাঁর পুত্র গের্শোম আর ইলীযেষরকে লেবীয় পরিবারগোষ্ঠীর অন্তর্গত হিসেবে ধরা হয়| 16 ইলীযেষরের বড় ছেলের নাম রহবিয আর 17 গের্শোমের বড় ছেলের নাম ছিল শবূযেল| ইলীযেষরের আর কোনো পুত্র না থাকলেও রহবিয়ের আরো অনেক পুত্র ছিল| 18 য়িষ্হরের বড় ছেলের নাম শলোমীত্| 19 হিব্রোণের পুত্রদের মধ্যে প্রধান য়িরিয, দ্বিতীয় অমরিয, তৃতীয় য়হসীযেল আর চতুর্থ য়িকমিযাম| 20 উষীযেলের পুত্রদের নাম যথাএমে মীখা ও য়িশিয| 21 মরারির পুত্রদের নাম মহলি আর মূশি| মহলির পুত্রদের নাম ইলিয়াসর আর কীশ| 22 ইলিয়াসর অপুত্রক অবস্থাতেই মারা গিয়েছিলেন| তাঁর শুধু কয়েকটি কন্যা ছিল, যারা নিজেদের আত্মীয়দের মধ্যেই কীশের পুত্রদের বিয়ে করেছিল| 23 মূশির পুত্রদের নাম মহলি, এদর ও য়িরেমোত্| 24 কুড়ি বছরের বেশি বয়স্ক লেবির উত্তরপুরুষদের মধ্যে যারা প্রভুর মন্দিরে কাজ করেছিল, পরিবার অনুযায়ী তাদের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল| এরা সকলেই নিজেদের পরিবারের প্রধান ছিল| 25 দায়ূদ বলেছিলেন, “ইস্রায়েলের ঈশ্বর তাঁর লোকদের শান্তি দিয়েছেন| চির দিনের জন্য তিনি জেরুশালেমে থাকতে এসেছেন| 26 তাই লেবীয়দের আর পবিত্র তাঁবু বা প্রভুর সেবার উপকরণ বহিতে হবে না|” 27 ইস্রায়েলের লোকদের প্রতি দায়ূদের শেষ আদেশ ছিল লেবি পরিবারগোষ্ঠীর উত্তরপুরুষের লোকসংখ্যা গণনা করা| 20 বছর বা তার বেশি বয়স্ক সমস্ত লেবীয়দের গোনা হয়েছিল| 28 লেবীয়রা হারোণের উত্তরপুরুষদের মন্দিরে প্রভুর কাজকর্মের সহায়তা করতেন, এছাড়াও তাঁরা মন্দিরের উঠোন এবং আশেপাশের ঘরগুলোর তদারকি করতেন| পবিত্র সামগ্রীর এবং ঈশ্বরের মন্দিরের সমস্ত আসবাবপত্রের শুচিতা রক্ষা করার দায়িত্বও ছিল তাঁদের ওপর| 29 টেবিলের ওপর রুটি রাখবার এবং গম, শস্য নৈবেদ্য ও খামিরবিহীন রুটি রাখবারও দায়িত্ব ছিল তাঁদের ওপর| মন্দিরের বাসন-কোসন এবং নৈবেদ্য সামলানো ছাড়াও জিনিসপত্র মাপা ও ওজন করার কাজও তাঁদেরই করতে হত| 30 প্রতি দিন সকালে ও সন্ধ্যায় তাঁরা প্রভুর প্রশংসা করতেন ও তাঁকে ধন্যবাদ দিতেন| 31 লেবীয়রা প্রভুর কাছে বিশ্রামের দিন, অমাবস্যার দিন ও অন্যান্য উত্সবের দিনগুলিতে হোমবলি উত্সর্গ করতেন| প্রতিদিন তাঁরা প্রভুর সেবা করতেন| প্রতি বার কতজন লেবীয় সেবা করবে সে ব্যাপারে বিশেষ নিয়ম ছিল এবং তাঁরা এই নিয়মগুলি অনুসরণ করতেন| 32 লেবীয়রা তাঁদের আত্মীয়দের, য়ে যাজকরা ছিলেন হারোণের উত্তরপুরুষ প্রভুর মন্দিরে সেবার কাজে সাহায্য করতেন| তাঁরা পবিত্র তাঁবু এবং পবিত্র স্থানেরও যত্ন নিতেন|
1 হারোণের পুত্রদের নাম নাদব, অবীহূ, ইলিয়াসর আর ঈথামর| 2 হারোণের আগেই নাদব আর অবীহূর অপুত্রক অবস্থায় মৃত্যু হয়| তাই ইলিয়াসর এবং ঈথামর যাজকের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন| 3 ইলিয়াসর এবং ঈথামরের পরিবারগোষ্ঠীকে দায়ূদ দুটি পৃথক গোষ্ঠীতে ভাগ করেছিলেন যাতে তাঁরা তাঁদের দায়িত্ব সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে পারেন| দুই পরিবারকে পৃথক করার সময় দায়ূদ ইলিয়াসরের উত্তরপুরুষ সাদোক এবং ঈথামরের উত্তরপুরুষ অহীমেলকের সাহায্য নিয়েছিলেন| 4 ঈথামরের পরিবারের তুলনায় ইলিয়াসরের পরিবার থেকে হওয়া নেতার সংখ্যা বেশি ছিল| ইলিয়াসরের পরিবারের মোট নেতার সংখ্যা ছিল 16 আর ঈথামরের পরিবারের নেতার সংখ্যা ছিল 8| 5 ঘুঁটি চেলে প্রত্যেক পরিবার থেকে নেতা নির্বাচিত করা হত| কিছু লোককে পবিত্র স্থানের দায়িত্বে বেছে নেওয়া হয়েছিল এবং ইলিয়াসর ও ঈথামরের পরিবারগোষ্ঠী থেকে অন্যদের যাজক হিসাবে বাছা হয়েছিল| 6 লেবি পরিবারগোষ্ঠীর নথনেলের পুত্র শময়িয় ছিলেন সচিব| রাজা দায়ূদের সামনে তিনি যাজক সাদোক, অবিযাথরের পুত্র অহীমেলক ও যাজকগণ এবং লেবি পরিবারগোষ্ঠীর নেতাদের নাম লিপিবদ্ধ করেছিলেন| একেকবার অক্ষ নিক্ষেপ করে একেকজনের নাম উঠতো আর শময়িয় তা লিখে নিতেন| এই ভাবে ইলিয়াসর এবং ঈথামর পরিবারের মধ্যে কাজকর্ম ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল| 7 এই ভাবে প্রথম বার উঠেছিল য়িহোযারীব গোষ্ঠীর নাম| দ্বিতীয় বার য়িদযিয গোষ্ঠীর নাম| 8 তৃতীয় বার হারীম গোষ্ঠীর নাম| চতুর্থ বার সিযোরীম গোষ্ঠীর নাম| 9 পঞ্চম বার মল্কিয় গোষ্ঠীর নাম| ষষ্ঠ বার মিয়ামীন গোষ্ঠীর নাম| 10 সপ্তম বার হক্কোষ গোষ্ঠীর নাম| অষ্টম বার অবিয় গোষ্ঠীর নাম| 11 নবম বার য়েশূয় গোষ্ঠীর নাম| দশম বার শখনিয় গোষ্ঠীর নাম| 12 একাদশ বার ইলীয়াশীব গোষ্ঠীর নাম| দ্বাদশ বার যাকীম গোষ্ঠীর নাম| 13 ত্রয়োদশ বার হুপেপর গোষ্ঠীর নাম| চতুর্দশ বার য়েশবাব গোষ্ঠীর নাম| 14 পঞ্চদশ বার বিল্গা গোষ্ঠীর নাম| ষষ্ঠদশ বার ইম্মের গোষ্ঠীর নাম| 15 সপ্তদশ বার হেষীরে গোষ্ঠীর নাম| অষ্টাদশ বার হপিপসেস গোষ্ঠীর নাম| 16 উনবিংশতি বার পথাহিয় গোষ্ঠীর নাম| বিংশতি বার যিহিষ্কেল গোষ্ঠীর নাম| 17 একবিংশতি বার যাখীন গোষ্ঠীর নাম| দ্বাবিংশতি বার গামূল গোষ্ঠীর নাম| 18 ত্রয়োবিংশতি বার দলায় গোষ্ঠীর নাম| আর চতুর্বিংশতি বার উঠল মাসিয় গোষ্ঠীর নাম| 19 এই ভাবে যাদের নাম উঠল তাদের প্রভুর মন্দিরের কাজের জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল| হারোণকে প্রভু ইস্রায়েলের ঈশ্বর প্রদত্ত নিয়ম অনুযায়ীএঁদের মন্দিরের কাজ করতে হত| 20 অন্যান্য লেবিদের উত্তরপুরুষদের মধ্যে যাঁরা ছিলেন তাঁদের তালিকা দেওয়া হল:অম্রামের উত্তরপুরুষদের মধ্যে ছিলেন শবূযেল আর শবূযেলের উত্তরপুরুষদের মধ্যে থেকে য়েহদিয়| 21 রহবিয়র বংশধরদের মধ্যে ছিলেন বড় ছেলে যিশিয়| 22 য়িষহরীয় পরিবারগোষ্ঠী থেকে ছিলেন শলোমোত্| আর শলোমোতের পরিবার থেকে যহত্| 23 হিব্রোণের পুত্রদের মধ্যে যথাএমে যিরিয়, অমরিয়, যহসীয়েল এবং যিকমিয়াম| 24 উষীয়েলের পুত্রদের মধ্যে মীখা আর তার পুত্র শামীর| 25 মীখার ভাই যিশিয়র পুত্রদের মধ্যে সখরিয়| 26 মরারির উত্তরপুরুষদের মধ্যে মহলি, মূশি আর যাসিয়| 27 এবং যাসিয়ের পুত্ররা ছিল শোহম, সক্কুর ও ইব্রি| 28 মহলির পুত্র ইলিয়াসরের কোনো পুত্র ছিল না| 29 কীশের পুত্রদের মধ্যে ছিলেন যিরহমেল| 30 আর মূশির পুত্রদের মধ্যে মহলি, এদর আর যিরেমোত্|পরিবার অনুযায়ীএই সমস্ত লেবির নেতাদের নামই নথিভুক্ত আছে| 31 তারা বিশেষ কাজের জন্য মনোনীত হয়েছিল| তারা তাদের আত্মীয় হারোনের উত্তরপুরুষদের যাজকদের মতো ঘুঁটি চালতো| তারা লেবীয়র রাজা দায়ূদ, সাদোক অহীমেলক এবং যাজক ও লেবীয় পরিবারের নেতাদের সামনে ঘুঁটি চেলে ঠিক করতেন য়ে কে কি কাজ করবে| কাজের ভার দেবার সময় বড় পরিবার ও ছোট পরিবারগুলির সঙ্গে একই রকম ব্যবহার করা হত|
1 দায়ূদ এবং সৈন্যাধ্যক্ষরা আসফের পুত্র হেমন আর যিদূথূনের ঈশ্বরের দৈব্বাণী বীণা, তানপুরা, খোল ও কর্তালের সঙ্গে গানের মাধ্যমে পরিবেশন করার জন্য পৃথক করেছিলেন| এই কাজে যাঁরা নিযুক্ত হয়েছিলেন তাঁদের তালিকা নিম্নরূপ: 2 আসফের পরিবার থেকে এই কাজের জন্য দায়ূদ আসফকে বেছে নিয়েছিলেন| আসফ তাঁর পুত্র সক্কুর, য়োষেফ, নথনিয ও অসারেলকে এই কাজে নেতৃত্ব দিতেন| 3 যিদূথূনের পরিবার থেকে যিদূথূন তাঁর ছয় পুত্র গদলিয়, সরী, শিমিয়ি, যিশায়াহ, হশবিয় ও মত্তিথিয়কে নিয়ে বীণা বাজিযে প্রভুর প্রশংসা করতেন ও প্রভুকে ধন্যবাদ দিতেন| 4 দায়ূদের নিজস্ব ভাব্বাদী হেমনের পুত্রদের মধ্যে ছিলেন বুক্কিয, মত্তনিয়, উষীয়েল, শবূয়েল, যিরীমোত্, হনানিয়, হনানি, ইলীয়াথা, গিদ্দল্তি, রোমাম্তী, এষর, যশ্বকাশা, মল্লোথি, হোথীর, মহসীযোত্ প্রমুখ| 5 ঈশ্বর হেমনকে বলশালী ও বীর্য়বান করেছিলেন| তাঁর চোদ্দ জন পুত্র আর তিনটি কন্যা ছিল| 6 প্রভুর মন্দিরে বীণা, তানপুরা, খোল ও কর্তাল সহ সঙ্গীতে হেমন তাঁর পুত্রদের নেতৃত্ব দিতেন| আর রাজা ছিলেন আসফ, য়িদূথূন এবং হেমনের আদেশকর্ত্তা| দায়ূদ নিজে এদের সবাইকে মনোনীত করেছিলেন| 7 এদের এবং লেবি পরিবারগোষ্ঠী এদের আত্মীয়দের মোট 288 জনকে প্রভুর প্রশংসা করার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল| 8 কে কি করবে তার জন্য অক্ষ নিক্ষেপ করা হয়েছিল| এখানে নবীন এবং প্রবীণ, শিক্ষক এবং ছাত্র সকলের সাথে সমান ব্যবহার করা হত| 9 প্রথম বার আসফ (য়োষেফ) এর পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল|দ্বিতীয় বার গদলিয়র পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল| 10 তৃতীয় বার সক্কুরের পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল| 11 চতুর্থ বার যিষ্রি পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল| 12 পঞ্চম বার নথনিয়র পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল| 13 ষষ্ঠ বার বুক্কিয়র পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল| 14 সপ্তম বার যিশারেলার পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল| 15 অষ্টম বার যিশায়াহের পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল| 16 নবম বার মত্তনিয়র পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল| 17 দশম বার শিমিয়ির পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল | 18 একাদশ বারে অসরেলের পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল| 19 দ্বাদশ বারে হশবিয়ের পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল| 20 ত্রয়োদশ বারে শবূয়েলের পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল| 21 চতুর্দশ বারে মত্তিথিয়র পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল| 22 পঞ্চদশ বারে যিরেমোতের পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল| 23 ষষ্টদশ বারে হনানিয়র পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল| 24 সপ্তদশ বারে যশ্বকাশার পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল| 25 অষ্টাদশ বারে হনানির পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল| 26 উনবিংশতি বারে মল্লোথির পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল| 27 বিংশতি বারে ইলীয়াথার পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল| 28 একবিংশতি বারে হোথীর পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল| 29 দ্বাবিংশতি বারে গিদ্দল্তির পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল| 30 ত্রয়োবিংশতি বারে মহসীয়োতের পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল| 31 আর চতুর্বিংশতি বারে রোমাম্তি এষরের পরিবার থেকে 12 জন পুত্র এবং আত্মীয়কে বাছা হয়েছিল|
1 দ্বাররক্ষীদের গোষ্ঠীর মধ্যে:আসফের পরিবারগোষ্ঠীর কোরহ পরিবার থেকে ছিলেন কোরহের পুত্র মশেলিমিয় আর তাঁর পুত্ররা| 2 মশেলিমিয়র পুত্রদের নাম যথাএমে সখরিয়, যিদীয়েল, সবদিয়, যত্নীয়েল, 3 এলম, যিহোহানন আর ইলিহৈনয়| 4 ওবেদ-ইদোমের পরিবার থেকে ছিলেন তাঁর পুত্ররা, যথাএমে- শময়িয়, যিহোষাবদ, য়োযাহ, সাখর, নথনেল, 5 অম্মীয়েল, ইষাখর আর পিযূল্লতয়| ওবেদ-ইদোম ঈশ্বরের আশীর্বাদে ধন্য হয়েছিলেন| 6 তাঁর পুত্র শময়িয়র পুত্ররাও ছিলেন বীরযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের নেতা| 7 শময়িয়র পুত্রদের নাম অত্নি, রফায়েল, ওবেদ, ইল্সাবদ, ইলীহূ ও সমথিয়| ইল্সাবদের আত্মীয়রা ছিলেন দক্ষ ও কুশলী কর্মী| 8 ওবেদ-ইদোমের 62 জন উত্তরপুরুষের সকলেই ছিলেন প্রতিপত্তিশালী ব্যক্তি এবং সুদক্ষ দ্বাররক্ষক| 9 মশেলিমিযর পরিবার থেকেও ছিলেন শক্তিশালী ও সুদক্ষ 18 জন| 10 মরারি পরিবার থেকে ছিলেন হোষার পুত্র শিম্রি| শিম্রি আসলে বড় ছেলে না হলেও তাঁর পিতা তাঁকেই প্রথম জাত সন্তান বলে মনোনীত করেছিলেন| 11 এছাড়া ছিলেন যথাএমে হিল্কিয়, টবলিয, সখরিয়- সব মিলিয়ে মোট 13 জন| 12 এরা হলেন দ্বাররক্ষীদের দলের নেতারা এবং তাঁদের আত্মীয়দের মতোই তাঁরাও প্রভুর মন্দিরে সেবা করতেন| 13 দ্বাররক্ষীদের প্রত্যেক গোষ্ঠীকে একটি নির্দিষ্ট দরজা পাহারা দিতে হত| অক্ষ নিক্ষেপ করে এই দরজা বেছে নেওয়া হত এবং একাজে বড় ও ছোট পরিবারদের সমান গুরুত্ব দেওয়া হত| 14 মশেলিমিযকে বাছা হয়েছিল পূর্ব দিকের দরজা পাহারা দেবার জন্য| এরপর অক্ষ নিক্ষেপ করে উত্তর দিকের দরজার ভার দেওয়া হয় তাঁর পুত্র বিচক্ষণ সখরিয়কে| 15 ওবেদ-ইদোম পান দক্ষিণ দিকের দরজার দায়িত্ব| ওবেদ-ইদোমের পুত্রদের মন্দিরের ধনাগার রক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়| 16 শুপপীম আর হোষা পশ্চিম দিকের দরজা এবং উত্তরাপথের শল্লেখত্ ফটক রক্ষার দায়িত্ব পান|এই সমস্ত রক্ষীরা সকলে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকতেন| 17 প্রত্যেক দিন সকালে 6 জন লেবীয় দাঁড়াতেন পূর্বদিকের ফটকে, চার জন দক্ষিণ দিকের ফটকে, চার জন উত্তরের ফটকে, দুজন ধনাগারের সামনে, 18 চার জন পশ্চিমদিকের উঠোনে আর দুজন উঠোনের রাস্তার মুখে| 19 মরারি ও কোরহ গোষ্ঠীর দ্বাররক্ষীরা এইভাবে মন্দিরে পাহারা দিতেন| 20 লেবীয় পরিবারগোষ্ঠীর অহিযর দায়িত্ব ছিল ঈশ্বরের মন্দিরের দুর্মূল্য জিনিসপত্র ও কোষাগার আগলে রাখা| 21 গের্শোন বংশের লাদন পরিবারগোষ্ঠীর নেতাদের এক জন ছিলেন য়িহীযেলি| 22 য়িহীযেলির পুত্র সেথম আর তাঁর ভাই য়োয়েলেরও কাজ ছিল প্রভুর মন্দিরের মূল্যবান জিনিসপত্রের ওপর নজর রাখা| 23 এছাড়া অম্রাম, যিষহর, হিব্রোণ আর উষীয়েলের পরিবারগোষ্ঠী থেকে অন্যান্য দলপতিদের বেছে নেওয়া হয়েছিল| 24 প্রভুর মন্দিরের দুর্মূল্য জিনিসপত্র যাঁরা দেখাশোনা করত, গের্শোনের পুত্র মোশির পৌত্র শবূযেল তাঁদের নেতা ছিল| 25 এঁরা ছিলেন শূবয়েলের আত্মীয়রা: ইলিযষেরের থেকে তাঁর আত্মীয়রা ছিলেন: ইলীযষেরের পুত্র রহবিয, রহবিযর পুত্র য়িশাযাহ, য়িশাযাহর পুত্র য়োরাম, য়োরামের পুত্র সিখ্রি আর সিখ্রির পুত্র শলোমোত্| 26 শলোমোত্ আর তাঁর আত্মীয়দের কাজ ছিল দায়ূদ মন্দিরের জন্য য়ে সব জিনিসপত্র সংগ্রহ করেছেন তার দেখাশোনা করা|সেনাবাহিনীর অধ্যক্ষরাও মন্দিরের জন্য অনেক কিছু দান করেছিলেন| 27 তাঁরা যুদ্ধের সময় য়ে সব জিনিস আহরণ করেছিলেন তাঁর অনেক কিছুই প্রভুর মন্দির বানানোর কাজে দান করেন| 28 শলোমোত্ আর তাঁর আত্মীয়রা ভাব্বাদী শমূযেল, কীশের পুত্র শৌল, নেরের পুত্র অব্নের, সরূযার পুত্র য়োয়াবের দেওয়া পবিত্র ও দুর্মূল্য সম্পদ এবং লোকেরা প্রভুর মন্দিরে য়ে সব জিনিসপত্র দান করতেন এবং তার দেখাশোনা করতেন| 29 য়িষ্হর বংশের কনানিয ও তাঁর পুত্রদের মন্দিরের বাইরে ইস্রায়েলে বিভিন্ন জায়গায় আধিকারিক ও বিচারকের কাজ দেওয়া হয়েছিল| 30 হিব্রোণ বংশের হশবিয আর তাঁর আত্মীয়রা 1,700 জন সৈন্যসহ ইস্রায়েলে যর্দন নদীর ওপারে পশ্চিমদিক পর্য়ন্ত প্রভুর যাবতীয় কাজ এবং রাজার কাজের দায়িত্বে ছিলেন| 31 হিব্রোণ বংশের পারিবারিক ইতিহাস থেকে জানা যায় য়ে য়িরিয ছিলেন এই বংশের নেতা| দায়ূদের রাজত্বের 40 তম বছরে, তিনি লোকদের পারিবারিক ইতিহাস ঘেঁটে শক্তিশালী ও দক্ষ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছিলেন| গিলিয়দের যাসেরে বসবাসকারী হিব্রোণ পরিবারের অনেককে এই ভাবে খুঁজে বার করা হয়েছিল| 32 য়িরিযর মোট 2,700 জন শক্তিশালী ও কর্মপটু আত্মীয় ছিলেন, যাঁরা তাঁদের পরিবারের নেতা| রাজা দায়ূদ এই 2,700 জনকে রূবেণ, গাদ ও মনঃশি পরিবারগোষ্ঠীর অর্ধেককে নেতৃত্ব দেবার দায়িত্ব দিলেন, যারা প্রভু ও রাজার কাজে নিযুক্ত ছিলেন|
1 রাজার সৈন্যবাহিনীতে য়ে সমস্ত ইস্রায়েলীয়রা কাজ করতেন এবারে তার একটা তালিকা দেওয়া যাক| 24,000 সেনার এক একটি দল প্রতি মাসে একটা দল হিসেবে সারা বছর জুড়ে কাজে নিযুক্ত থাকত| এই দলে পরিবারের নেতা থেকে শুরু করে সেনাপতি, সৈন্যাধ্যক্ষ, সাধারণ সান্ত্রী সবাই থাকত| 2 বছরের প্রথম মাসে 24,000 সৈন্যর য়ে দলটি কাজ করত তাদের দায়িত্বে থাকতেন পেরসের উত্তরপুরুষ সব্দীযেলের পুত্র যাশবিযাম| প্রথম মাসে যাশবিযাম সৈন্যাধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করতেন| 3 4 দ্বিতীয় মাসের দলটির দায়িত্বে থাকতেন অহোহর দোদয| তাঁর দলে 24,000 লোক ছিল| 5 তৃতীয় মাসের সেনাপতি ছিলেন নেতৃস্থানীয যাজক যিহোয়াদার পুত্র বনায়| তাঁর দলে 24,000 পুরুষ ছিল| 6 তাঁকে পরিচালনার কাজে তাঁর পুত্র অম্মীষাবাদ সাহায্য করতেন| বনায় ছিলেন সেই তিরিশ জন বীর যোদ্ধার অন্যতম| 7 চতুর্থ মাসের সেনাপতি ছিলেন য়োয়াবের ভাই অসাহেল| তাঁর পরে তাঁর পুত্র সবদিয় এই দায়িত্ব নিয়েছিলেন| তাঁর দলে 24,000 পুরুষ ছিল| 8 পঞ্চম মাসের সেনাপতি হিসেবে কাজ করেছিলেন সেরহ পরিবারের শমহূত্| তাঁর দলে 24,000 পুরুষ ছিল| 9 ষষ্ঠ মাসে সৈন্যদল পরিচালনা করতেন তকোযার ইক্কেশের পুত্র ঈরা| তাঁর দলে 24,000 পুরুষ ছিল| 10 সপ্তম মাসের দায়িত্বে ছিলেন ইফ্রয়িমের উত্তরপুরুষের পলোনার অধিবাসী হেলস| তাঁর দলে 24,000 পুরুষ ছিল| 11 অষ্টম মাসের দায়িত্বে ছিলেন হূশাতের অধিবাসী সেরহ পরিবারের সিব্বখয| তাঁর দলে 24,000 পুরুষ ছিল| 12 নবম মাসের দায়িত্বে ছিলেন অনাথোতের বিন্যামীন পরিবারগোষ্ঠীর অবীযেষর| তাঁর দলে 24,000 পুরুষ ছিল| 13 নটোফাতের সেরহ পরিবারের মহরযের দায়িত্ব ছিল দশম মাসের সৈন্যদল পরিচালনা করা| তাঁর দলে 24,000 পুরুষ ছিল| 14 পিরিযাথোনের ইফ্রয়িম পরিবারগোষ্ঠীর বনায় একাদশ মাসে সৈন্যদল পরিচালনা করতেন| তাঁর দলে 24,000 পুরুষ ছিল| 15 এবং দ্বাদশ মাসে সৈন্যদল পরিচালনা করতেন নটোফাতের অত্নিয়েল পরিবারের হিল্দয| তাঁর দলে 24,000 পুরুষ ছিল| 16 ইস্রায়েলের বিভিন্ন পরিবারগোষ্ঠীর নেতারা ছিলেন:রূবেণের বংশে: সিখ্রির পুত্র ইলীযেষর, শিমিযোন বংশে: মাখার পুত্র শফটিয়| 17 লেবির বংশে: কমূযেলের পুত্র হশবিয, হারোণ বংশে: সাদোক| 18 যিহূদার বংশে: ইলীহূ নামে দায়ূদের জনৈক ভাই| ইষাখরের বংশে: মীখায়েলের পুত্র অম্রি| 19 সবূলূনের বংশে: ওবদিযর পুত্র য়িশ্ামাযয, নপ্তালির বংশে: অস্রীযেলের পুত্র য়িরেমোত্| 20 ইফ্রয়িম বংশে: অসযিযের পুত্র হোশেয, পশ্চিম মনঃশিতে: পদাযের পুত্র য়োয়েল| 21 এবং পূর্ব মনঃশিতে: সখরিয়র পুত্র য়িদ্দো, বিন্যামীন বংশে: অব্নেরের পুত্র যাসীযেল এবং 22 দান বংশের নেতা ছিলেন য়িরোহমের পুত্র অসরেল|ইহারাই ইস্রায়েল পরিবারগোষ্ঠীর নেতা ছিল| 23 রাজা দায়ূদ ইস্রায়েলের জনসংখ্যা গণনা করবেন বলে মনস্থির করেছিলেন| কিন্তু ইস্রায়েলের জনসংখ্যা প্রায় গণনার অতীত ছিল কারণ ঈশ্বর বলেছিলেন, মহাকাশের অগণিত নক্ষত্রের মতোই তিনি ইস্রায়েলের জনসংখ্যা বৃদ্ধি করবেন| দায়ূদ কেবলমাত্র 20 বছর বা তার বেশি বয়সের যারা ইস্রায়েলে বাস করত তাদের গণনা করেছিলেন| 24 সরূযার পুত্র য়োয়াবকে দিয়ে তাদের জনসংখ্যা গণনার কাজ শুরু করেছিলেন, কিন্তু তাও শেষ হয়নি| এর ফলে ঈশ্বর লোকদের প্রতি রুদ্ধ হয়েছিলেন; য়ে কারণে ‘রাজা দায়ূদের ইতিহাস’ গ্রন্থে ইস্রায়েলের কোন জনসংখ্যার উল্লেখ করা হয় নি| 25 রাজসম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব য়াঁদের ওপর দেওয়া হয়েছিল তাঁদের তালিকা নিম্নরূপ:অদীযেলের পুত্র অস্মাবত্ ছিলেন রাজার কোষাধ্যক্ষ| গ্রাম, দুর্গ ও ছোট শহরগুলোর কোষাগারের দায়িত্বে ছিলেন উষিযের পুত্র য়োনাথন| 26 কলূবের পুত্র ইষ্রি কৃষকদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন| 27 রামার শিমিযির কাজ ছিল রাজার দ্রাক্ষা ক্ষেতগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করা| এই সমস্ত ক্ষেত থেকে য়ে দ্রাক্ষারস প্রস্তুুত হত শিফমের সব্দি তার রক্ষণাবেক্ষণ ও তদারকি করতেন| 28 গদেরের বাল-হানন পশ্চিমের পার্বত্য অঞ্চলের জলপাই গাছগুলি এবং সুকমোরাগাছগুলি রক্ষণাবেক্ষণ করতেন| তেলের ভাঁড়ার সামলাতেন য়োযাশ| 29 শারোণের আশেপাশের গবাদি পশুর দায়িত্ব ছিল সিট্রযের ওপর| অদ্লযের পুত্র শাফট ছিলেন সমভূমিতে য়ে সমস্ত গবাদি পশু চরে বেড়ায় তার দায়িত্বে| 30 উট তদারকির দায়িত্ব ছিল ইশ্মায়েলের ওবীলের ওপর| গাধার তদারকিতে ছিলেন মেরোণোথের য়েহদিয| 31 মেষ চরাতেন হাগরের যাসীষ|এই সমস্ত লোকরা ছিলেন নেতা যারা রাজা দায়ূদের সম্পত্তি দেখাশোনা করতেন| 32 দায়ূদের কাকা য়োনাথন ছিলেন বিচক্ষণ পরামর্শদাতা ও লেখক| হক্মোনির পুত্র য়িহীযেল রাজপুত্রদের দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন| 33 অহীথোফল ছিলেন রাজার মন্ত্রণাদাতা এবং অর্কীয হূশয় ছিলেন রাজার বন্ধু| 34 পরবর্তীকালে মন্ত্রণাদাতা হিসেবে অহীথোফলের জায়গা নিয়েছিলেন বনায়ের পুত্র যিহোয়াদা আর অবিযাথর| সেনাবাহিনীর অধ্যক্ষর দায়িত্বে ছিলেন য়োয়াব|
1 রাজা দায়ূদ ইস্রায়েলের সমস্ত পরিবারগোষ্ঠীর নেতাদের, সৈন্যদলের সেনাপতিদের, সৈন্যাধ্যক্ষদের, সেনানাযকদের ও সৈনিকদের, বীর যোদ্ধাদের, রাজকর্মচারী, যারা রাজার সম্পত্তি এবং রাজা ও রাজপুত্রের পশুগুলি দেখাশুনা করতেন এবং রাজার গন্যমান্য আধিকারিকদের জেরুশালেমে আসতে নির্দেশ দিলেন| 2 এঁরা সকলে এক জায়গায় জড়ো হবার পর রাজা দায়ূদ উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, “আমার লোকরা ও আমার ভাইরা, আমার মনে বহু দিন ধরে ইচ্ছে ছিল প্রভুর সাক্ষ্যসিন্দুকটা রাখার মতো একটা জায়গা বানানো| আমি চেয়েছিলাম সেই জায়গাটি হবে ঈশ্বরের পাদুকাদানি|এ কারণে আমি ঈশ্বরের একটা মন্দির বানানোর পরিকল্পনাও করেছিলাম| 3 কিন্তু ঈশ্বর আমায় বললেন, ‘দায়ূদ, তুমি একজন সৈনিক| বহু লোককে তুমি হত্যা করেছ| তুমি কখনোই আমার নামে একটি বাড়ি বানাবে না কারণ তুমি রক্তপাত ঘটিয়েছ|’ 4 “প্রভু ইস্রায়েলের ঈশ্বর যিহূদার পরিবারগোষ্ঠীকে ইস্রায়েলের 12টি মূল পরিবারগোষ্ঠীকে নেতৃত্বের দায়িত্ব দিয়েছিলেন| আর ঐ পরিবারগোষ্ঠী থেকে আমার পিতার পরিবার ও আমাকে বরাবরের মতো ইস্রায়েলে রাজত্ব করার জন্য প্রভু মনোনীত করেছিলেন| 5 প্রভু আমাকে বহুপুত্রক করেছেন এবং তার মধ্যে থেকে আমার পুত্র শলোমনকে তিনি ইস্রায়েলের নতুন রাজা হিসেবে বেছে নিয়েছেন| কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ইস্রায়েল হল প্রভুর রাজত্ব| 6 প্রভু আমাকে বললেন, ‘দায়ূদ, তোমার পুত্র শলোমন আমার মন্দির ও তার সংলগ্ন সব কিছু বানাবে| কেন? কারণ আমি শলোমনকে আমার সন্তান হিসেবে বেছে নিয়েছি এবং আমি হব তার পিতা| 7 শলোমন আমার বিধি এবং আদেশগুলো বর্তমানে মেনে চলে| ও যদি বরাবর তাই করে আমিও তাহলে চিরদিনের মতো শলোমনের রাজত্বের ভিত শক্তিশালী ও দৃঢ় করে তুলব|” 8 দায়ূদ বলল, “এখন, ইস্রায়েলের সমস্ত লোক এবং ঈশ্বরের সাক্ষাতে আমি তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছি, যত্নসহকারে এবং ভক্তিভরে প্রভুর সমস্ত নীতি-নির্দেশ মেনে চলো| এক মাত্র তাহলেই তোমরা এই ভালো ভূখণ্ডের অধিকারী হতে পারবে এবং এই দেশ চির দিনের মতো তোমাদের উত্তরপুরুষদের হাতে তুলে দিয়ে য়েতে পারবে| 9 “আর তুমি আমার পুত্র শলোমন, তুমিও ঈশ্বরকে পিতা রূপে জানবে| পবিত্র মনে, আনন্দ ও ভক্তিভরে আজীবন ঈশ্বরের সেবা করো| কারণ ঈশ্বর সর্বত্র বিরাজমান, তিনি তোমার মনের সমস্ত কথাই জানতে পারেন| তুমি যদি কখনও তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করো, তিনি নিশ্চয়ই তোমার ডাকে সাড়া দেবেন| আর যদি কখনও তাঁর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও, তিনিও চির দিনের মত তোমায় ত্যাগ করে যাবেন| 10 মনে রেখো, প্রভু বয়ং তাঁর মন্দির বানানোর কাজ তোমার হাতে অর্পণ করেছেন| সুতরাং সবল হও এবং সফলতার সঙ্গে এটি সম্পূর্ণ কর|” 11 এরপর দায়ূদ, তাঁর পুত্র শলোমনের হাতে মন্দির ও তার শৌধ, ভাঁড়ার ঘর, ওপর তলার ঘর, এর ভেতরের ঘর, করুণা আসনের ঘর- এ সবের নকশা তুলে দিলেন| 12 দায়ূদ মন্দিরের, এমনকি মন্দিরের উঠানের, এর চারদিকের ঘরের, মন্দিরে ব্যবহৃত পবিত্র জিনিষপত্র রাখার মত ভাঁড়ার ঘর সব কিছুর পুঙ্খানুপুঙ্খ পরিকল্পনা করেছিলেন| তারপর তিনি এই সব পরিকল্পনা শলোমনকে দেন| 13 তিনি যাজক ও লেবীয়দের কার্য়াবলী সম্পর্কে রয়োজনীয় নির্দেশ দিলেন| তিনি প্রভুর মন্দির তৈরীর সমস্ত কাজ সম্পর্কে এবং ঈশ্বরের সেবায যত জিনিষ ব্যবহৃত হয় সব কিছু সম্পর্কেও নির্দেশ দিলেন| 14 এছাড়াও তিনি শলোমনকে মন্দির সেবার জন্য রয়োজনীয় জিনিষপত্র বানাতে কি পরিমাণ সোনা এবং রূপো লাগবে তা বোঝালেন| সোনার বাতি ও সোনার বাতিদান, রূপোর বাতি ও রূপোর বাতিদান এবং বিভিন্ন বাতিদানগুলি তাদের ব্যবহার অনুযায়ীকোথায় থাকবে তাও পরিকল্পনা করা ছিল| 15 16 দায়ূদ বললেন, “পবিত্র রুটি রাখার জন্য কত সোনার প্রয়োজন হবে| রূপোর টেবিলের জন্য কতটা রূপো লাগবে| 17 কাঁটাচামচ ও বাসনপত্রের ও কলসের জন্য কি পরিমাণ খাঁটি সোনা দরকার| 18 এবং কলম তৈরীর জন্য কতটা খাঁটি সোনা ব্যবহৃত হবে, প্রতিটি সোনার পাত্রের জন্য কতটা সোনা এবং প্রতিটি রূপোর পাত্রের জন্য কতটা রূপো ব্যবহৃত হবে, যেখানে ধুপ রাখা হবে সেই বেদীটি বানাতে কতটা সোনা দরকার, এসবই দায়ূদ শলোমনকে ভাল করে বুঝিযে দিলেন এবং প্রভুর রথ, করুণা আসনএবং সাক্ষ্যসিন্দুকের ওপর ডানা ছড়িয়ে রাখা সোনার করুব দূতদের জন্য তিনি যত নকশা ও পরিকল্পনা করেছিলেন সে সমস্তই শলোমনকে দিলেন| 19 দায়ূদ বললেন, “এসব প্রভুর আদেশে আমিই লিপিবদ্ধ করেছি| প্রভু আমাকে এই সমস্ত নকশার সব কিছু ভাল করে বুঝতে ও করতে সাহায্য করেছিলেন|” 20 এছাড়াও দায়ূদ তাঁর পুত্র শলোমনকে বললেন, “ভয় পেও না| বুকে সাহস নিয়ে বীরের মতো এই কাজ শেষ করো| আমার প্রভু ঈশ্বর একাজে তোমার সহায় হবেন| কাজ শেষ না হওয়া পর্য়ন্ত তিনি বয়ং তোমার পাশে পাশে থাকবেন, তোমাকে ছেড়ে যাবেন না| তুমি অবশ্যই প্রভুর মন্দির বানাতে পারবে| 21 যাজক ও লেবীয়রা ছাড়াও সমস্ত দক্ষ কারিগররা ঈশ্বরের মন্দির বানাতে তোমাকে সাহায্য করতে প্রস্তুত হয়ে আছে| রাজকর্মচারী ও লোকরাও তোমার সমস্ত নির্দেশ মেনে চলবে|”
1 ইস্রায়েলের য়ে সমস্ত লোক একসঙ্গে জড়ো হয়েছিল রাজা দায়ূদ তাদের বললেন, “ঈশ্বর যদিও আমার পুত্র শলোমনকে বেছে নিয়েছেন, ও এখনও তরুণ| এই কাজের মতো য়থোপযুক্ত অভিজ্ঞতা বা বিচারবুদ্ধি ওর হয়নি| তবে এই কাজটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটা কোনো মানুষের বসতি বাড়ি তৈরির ব্যাপার নয়| এটা বয়ং প্রভু ঈশ্বরের জন্য| 2 আমি আমার প্রভুর মন্দির বানানোর উপাদান প্রস্তুত করার জন্য আমার যথাসাধ্য করেছি| সোনার জিনিসের জন্য সোনা, রূপোর জিনিষের জন্য রূপো দিয়েছি| আমি পিতলের জিনিষপত্রের জন্য পিতল দিয়েছি| লোহা আর কাঠের জিনিসের জন্য আমি লোহা আর কাঠ দিয়েছি| তাছাড়াও গোমেদক মনিত, তেজস্বী পাথর, শ্বেত পাথর, নানা রঙের দুর্মূল্য পাথর ও অনেক কিছুই প্রভুর মন্দির বানানোর জন্য দিয়েছি| 3 ঈশ্বরের মন্দির যাতে সত্যি সত্যিই ভাল ভাবে বানানো হয় সে জন্য আমি আরো বেশ কিছু পরিমাণ সোনা ও রূপো উপহার হিসেবে দিচ্ছি| 4 ওফীর থেকে 110 টন খাঁটি সোনা ছাড়াও আমি মন্দিরের দেওয়াল মুড়ে দেবার জন্য 260 টন খাঁটি রূপো এই কাজের জন্য দান করছি| 5 এই সব সোনা ও রূপো দিয়ে যাতে দক্ষ কারিগররা এবং যারা স্বেচ্ছাসেবক হবে প্রভুর কাছে মন্দিরের জন্য বিভিন্ন জিনিসপত্র বানাতে পারে সে জন্যই আমি এই সমস্ত কিছু দিলাম|” 6 ইস্রায়েলের কিছু পরিবারগোষ্ঠীর নেতারা, সৈন্যাধ্যক্ষ, সেনাপতি, সেনানাযক থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীরা সকলেই স্বেচ্ছায আধিকারিকদের সঙ্গে রাজার এই পরিকল্পনায কাজ করতে এগিয়ে এলেন| 7 তাঁরা ঈশ্বরের গৃহে সব মিলিয়ে 190 টন সোনা, 375 টন রূপো, 675 টন পিতল, 3,750 টন লোহা তো দান করলেনই, 8 উপরন্তু যাদের কাছে দামী ও দুর্মূল্য পাথর ছিল তাঁরা সেগুলিও দান করলেন| গের্শোন পরিবারের য়িহীযেল এই সমস্ত দামী পাথরের দায়িত্ব নিলেন| 9 লোকরা সকলেই খুব উত্ফুল্ল ছিল য়েহেতু তাদের নেতারা খুশি মনে এই সমস্ত দান করছিলেন| রাজা দায়ূদও খুবই আনন্দিত হলেন| 10 রাজা দায়ূদ তারপর সমবেত লোকদের সামনে প্রভুর প্রশংসা করে বললেন:“প্রভু ইস্রায়েলের ঈশ্বর, হে আমাদের পিতা, যুগে যুগে, আবহমান কাল য়েন তোমারই বন্দনা হয়! 11 যা কিছু সত্য, শক্তি, মহিমা, বিজয় ও সন্মান, এসবই তো তোমার, কারণ এই পৃথিবী ও আকাশ- এই মহাবিশ্বের সব কিছুই তোমার| হে প্রভু, এই রাজত্বও তোমার| তুমিই শীর্ষস্থানীয| সব কিছুর শাসক, সবেরই নিযামক| 12 সম্পদ ও সম্মান, তোমার কাছ থেকেই আসে| তুমি সব কিছু শাসন কর| ক্ষমতা ও শক্তি তোমার হাতে রযেছে| এক মাত্র তুমিই আর কাউকে মহান ও শক্তিশালী করতে পার| 13 হে আমাদের ঈশ্বর, তোমাকে ধন্যবাদ, আমরা সকলে তোমারই মহান নাম বন্দনা করি| 14 আমরা যা কিছু দান করেছি প্রকৃতপক্ষে সেসব আমার বা আমার লোকদের কাছ থেকে আসেনি| সে সব তোমার কাছ থেকেই এসেছে| আমরা তোমায় তাই দিচ্ছি যা আমরা তোমার হাত থেকেই পেয়েছি| 15 আমরা তো আমাদের পূর্বপুরুষের মতোই এই পৃথিবীতে শুধুই পথিক, আমাদের জীবন এই পৃথিবীতে ক্ষণিকের ছায়া মাত্র ও আশাবিহীন| 16 হে আমাদের প্রভু, তোমার নামকে সম্মানিত করবার জন্য, তোমার মন্দির তৈরী করবার জন্য আমরা যা কিছু সংগ্রহ করেছি তার সবই তোমার কাছ থেকেই এসেছে| এ সমস্ত তোমারই| 17 আমার ঈশ্বর, আমি জানি তুমি মানুষের পরীক্ষা নাও আর যখন কেউ ভাল কিছু করে তুমি আনন্দিত হও| আমার অন্তঃকরণ থেকে এই সমস্ত কিছু আমি তোমায় দান করলাম| আমি দেখতে পাচ্ছি, তোমার ভক্তরা সবাই আজ এখানে জড়ো হয়েছে আর তোমাকে এইসব কিছু দেওয়া হচ্ছে বলে, তারা সকলেই খুবই আনন্দিত| 18 প্রভু, তুমি আমাদের পূর্বপুরুষ অব্রাহাম, ইসহাক আর ইস্রায়েলের ঈশ্বর| তোমার ভক্তদের সঠিক পরিকল্পনায সাহায্য করো| তোমার প্রতি তাদের ভক্তি ও বিশ্বাস অক্ষুণ্ন রাখতেও সাহায্য করো! 19 আর আমার পুত্র শলোমনেরও যাতে তোমার প্রতি অটুট ভক্তি থাকে, তোমার বিধি ও নির্দেশ যাতে মেনে চলতে পারে তা তুমি দেখো| আমি য়ে রাজধানীর পরিকল্পনা করেছি তা বানাতে তুমি শলোমনকে সাহায্য করো|” 20 তারপর দায়ূদ সমবেত সমস্ত ধরণের লোকদের উদ্দেশ্য করে বললেন, “এবার তোমরা সকলে মিলে প্রভু তোমাদের ঈশ্বরের প্রশংসা করো|” তখন সমবেত লোকরা তাদের পূর্বপুরুষের প্রভু ঈশ্বরের প্রশংসা করতে লাগলেন| মাটিতে মাথা নত করে তারা সকলে প্রভু ও রাজার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলো| 21 পরের দিন লোকরা প্রভুর উদ্দেশ্যে পেয় নৈবেদ্যসহ 1,000 ষাঁড়, 1,000 মেষ ও 1,000 মেষশাবক বলিদান করল এবং হোমবলি উত্সর্গ করল| এবং ইস্রায়েলের সমস্ত লোকেদের উত্সবে খাওয়ার জন্য প্রচুর পরিমাণে মঙ্গল নৈবেদ্য উত্সর্গ করল| 22 প্রভুর সামনে বসে পানাহার করতে করতে সেদিন সকলে উল্লসিত হয়ে উঠেছিল|এরপর সকলে মিলে সেখানেই পবিত্র তেল ছিটিয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য শলোমনকে রাজপদে ও সাদোককে যাজকের পদে অভিষিক্ত করল| 23 তারপর শলোমন রাজা হয়ে তাঁর পিতার জায়গায় প্রভুর সিংহাসনে বসলেন| শলোমন জীবনে খুবই সফল হয়েছিলেন| ইস্রায়েলের সকলেই শলোমনকে মান্য করতেন| 24 সমস্ত নেতা, সৈনিক, দায়ূদের অন্যান্য পুত্ররাও তাঁকে রাজা হিসেবে মেনে নিয়েছিলেন এবং তাঁর আজ্ঞাধীন ছিলেন| 25 প্রভু শলোমনকে অত্যন্ত মহত্ ও শক্তিশালীও করেছিলেন আর ইস্রায়েলের সমস্ত লোক একথা জানতেন| প্রভু শলোমনকে এক জন রাজার যথাযোগ্য মর্য়াদা দিয়েছিলেন যা তাঁর আগে ইস্রায়েলের অন্য কোন রাজাই পাননি| 26 য়িশযের পুত্র দায়ূদ 40 বছর ইস্রায়েলে রাজত্ব করেছিলেন| তিনি হিব্রোণে সাত বছর এবং জেরুশালেমে 33 বছর রাজত্ব করেন| 27 28 ভাল ও দীর্ঘ জীবনযাপন করার পর বার্ধক্যের কারণে দায়ূদের মৃত্যু হয়| তিনি জীবনে বহু সম্পত্তি ও খ্যাতি লাভ করেছিলেন| তাঁর পরে তাঁর পুত্র শলোমন নতুন রাজা হলেন| 29 রাজা দায়ূদ আজীবন য়ে সমস্ত কাজ করেছিলেন তা ভাব্বাদী শমূযেল, ভাব্বাদী নাথন ও ভাব্বাদী গাদের লেখা পুস্তকে বর্ণিত হয়েছে| 30 এই সমস্ত পুস্তকে ইস্রায়েলের রাজা হিসেবে তিনি যা কিছু কাজ করেছিলেন সে সবেরই উল্লেখ আছে| এই সমস্ত লেখকরা ইস্রায়েল ও তার প্রতিবেশী রাজ্যের ব্বিরণ এবং দায়ূদের ক্ষমতা শক্তি ও তাঁর জীবনের সমস্ত ঘটনা লিখে গিয়েছেন| |